খাগড়াছড়িতে ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ঢল নামবে, এ প্রত্যাশা করছেন এখানকার পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের পাশাপাশি ১২ এপ্রিল থেকে খাগড়াছড়িতে শুরু হবে বৈসাবী উৎসব। ফলে পর্যটকদের আনাগোনা এবারে বাড়বে। পর্যটক মোটেল-হোটেলগুলোতে এখন থেকে বুুকিং চলছে।
পর্যটকরা এখানকার আলুটিলা গুহা, রিচাংঝর্ণা, দেবতা পুকুর, পানছড়ির শান্তিকুটির, হাতিরমাথা, হর্টিকালচার পার্কসহ সব পর্যটন সম্পটগুলোতে পর্যটকদের ভিড় বাড়তে পারে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্টরা। এসব স্পটগুলো নানাভাবে সাজিয়ে আরও আকর্ষণীয় করে তুলছে। হোটেল মালিকরা জানান, তাদের হোটেলে আগাম বুকিং নেওয়া হচ্ছে। পর্যটন মোটেলের উত্তম কুমার মজুমদার ম্যানেজার বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান, তাদের মোটেলে বুকিং হচ্ছে প্রতিদিন। তিনি জানান, ১০দিন ছুটি থাকায় ১৪ এপ্রিল এর পর থেকে বেশি বুকিং দিচ্ছে পর্যটকরা। তবে এখনো মোটামুটি বুকিং দিচ্ছে পর্যটকরা। পাহাড়ে চাকমা, মারমা ত্রিপুরাদের বৈসাবী উৎসব এখানে ১২ এপ্রিল ফুল বিজুর মধ্যে দিয়ে শুরু হবে। এ সময়ে এখানকার ঐতিহ্যবাহী নানান সংস্কৃতিক কর্মকান্ড তুলে ধরা হয়। প্রতিবছর সমতলের লোকজন এ উৎসবে পাহাড়ে ভিড় করে। এবারে ঈদও বৈসাবী একসাথে যোগ হওয়ায় পর্যটনদের আকর্ষণ এখন খাগড়াছড়ি। তাই হোটেল মটেলগুলোতে কতৃপক্ষরা এখন বুকিং নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের আশা এবারেও বিগত দিনের চেয়েও বেশি পর্যটক নামবে এখানে।
মােঃ জানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।