বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১০, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ফ্যাসিস্ট সরকারের বসিয়ে দেয়া প্রধান শিক্ষকের দুর্নিতি-অনিয়ম ও কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন এবং স্মারক লিপি প্রদান   * চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আল মামুনু ও দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা ;   * ভবদহের সমস্যা মেটে না কেন? ব্যাখ্যা চায় মানবাধিকার কমিশন   * এস আলম গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকি ৭০৭১ কোটি টাকা   * কক্সবাজারে ৮কেজি ওজনের ২১ কোটি টাকার তিমি বমি উদ্ধার   * ২৩ দিনের জন্য বান্দরবান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা;   * সরকার মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিতকরণে বদ্ধপরিকর: প্রধান উপদেষ্টা   * কুমিল্লা কাপ্তানবাজার ইসলামী সেবা সংস্থার আয়োজনে মাহফিল অনুষ্ঠিত   * চট্টগ্রামের আজা নাজিরহাটে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও জরিমানা   * এস আলম গ্রুপের কর্ণধার সাইফুল আলম মাসুদ সহ তার স্ত্রী পরিবারের সদস্যদের দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞ ;মােঃ জানে আলম সাকী,ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।  

   সাক্ষাতকার
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কার্যক্রম আরও দৃশ্যমান হওয়া প্রয়োজনঃ মানবাধিকার খবরকে একান্ত সাক্ষাৎকারে ড. মিজান
  Date : 22-02-2022

মানবকল্যাণে নিয়োজিত মানবাধিকার খবর ১০ বছরে পদাপর্ণ উপলক্ষে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ‘ল’ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্স এর পরিচালক ও মানবাধিকার খবরের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান মানবাধিকার খবরকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। যেখানে উঠে এসেছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার পরিস্থিতি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা সহ সামাজিক রাজনৈতিক ও বুদ্ধিভিত্তিক ভাবনা। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মানবাধিকার খবরের সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান মোঃ রিয়াজ উদ্দিন।

মানবাধিকার খবরঃ আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন? আপনাকে মানবাধিকার খবরের ১০ বছর পদার্পণ উপলক্ষে শুভেচ্ছা।

ড. মিজানঃ ওয়ালাইকুমসালাম। আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। আপনাকেও শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
মানবাধিকার খবরঃ বর্তমান বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি সামগ্রিক ভাবে কি অবস্থায় আছে বলে আপনি মনে করেন?
ড.মিজানঃ ধন্যবাদ মানবাধিকার খবরকে। আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার আগেই মানবিক কাজে নিয়োজিত মানবাধিকার খবর পত্রিকার ১০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে এ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রোটারিয়ান মোঃ রিয়াজ উদ্দিনকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। ১০ বছর দীর্ঘ একটা সময়। ১০ বছর ধরে মানবিক কাজে নিবেদিত থেকে বাংলাতে সারা বিশ্বের মধ্যে একমাত্র নিয়মিত সৃজনশীল পত্রিকা প্রকাশ করছেন এবং সারাদেশের অগনিত পাঠকরা সেটি পাঠ করছেন। আর এতে মানবাধিকার বিষয়ে মানুষ অবগত হচ্ছে। আমার মনে হয় আপনি এর মাধ্যমে কিন্তু মানবাধিকার বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে এবং মানবাধিকার রক্ষায় বিরাট ভূমিকা পালন করছেন। সে জন্য আমি ব্যক্তিগত ভাবে আপনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং আপনি যে প্রশ্নটি করেছেন বর্তমান বাংলাদেশে মানবাধিকারের সার্বিক পরিস্থিতি কি রকম?
দেখুন, এখানে মানবাধিকার পরিস্থিতি সার্বিক ভাবে বলাটা কিন্তু কঠিন ব্যাপার। এখানে আমাকে মানবাধিকার পরিস্থিতিকে দুটো ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। একটি হচ্ছে রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার আপরটি হচ্ছে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, চুক্তি বা সামাজিক অধিকার এই ক্ষেত্রে মানবাধিকার পরিস্থিতি কি রকম। একটি কথা বোধহয় সকল তর্কের অতীত। সেটি হচ্ছে যে, বাংলাদেশ নানাভাবে অর্থনৈতিক দিক থেকে সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ইন্ডিকেটরে বাংলাদেশ বিশ্বের অনেক দেশকে পিছনে ফেলে ও দ্রæততম গতিতে অর্থনৈতিক ভাবে এগিয়ে চলছে। সেই দিক থেকে যদি চারপাশে তাকাই আমরা কিন্তু স্বাভাবিক চোখেও দেখতে পাবো অর্থনৈতিক যে প্রবৃদ্ধি ঘটছে দেশে। নাগরিকরা যে আগের তুলনায় অনেক ভালো আছেন দেশে এটা কিন্তু দৃশ্যমান এখন।
তবে আমরা জানি যে, আমাদের নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে আমরা হয়তো যতটা সফলতা অর্জন করতে চেয়েছিলাম বা প্রত্যাশা করেছিলাম হয়তো সেখানে কিছুটা ঘাটতি থাকতে পারে । বিশেষ করে আমাদের মনে হয় সাধারণ মানুষ তা অনেক সময় প্রশাসন কর্তৃক হয়রানির শিকার হয় । যে প্রশাসন হতে পারে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অনেক সময় হতে পারে আমাদের বেসামরিক প্রশাসন সিভিলাইজেশনের । সেটা আমাদের জেলা পর্যায়, উপজেলা পর্যায় বা গ্রাম পর্যায়ে হয়ে থাকে । আমারা কিন্তু যে সত্যটা বাংলাদেশের জন্মের সময় জেনেছি, যে সরকারী কর্মচারী-কর্মকর্তা হচ্ছে জনগণের সেবক। এই সেবক কথাটা যথার্থ যে পরিচয় সে প্রমাণ সকল সময় যে পাই এমনটা নয়। আমাদের এই ক্ষেত্রে তারা যদি সত্যিকার অর্থেই জনগণের সেবক হিসেবে তাদের ভূমিকা পালন করতে পারতেন তাহলে হয়তো নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার ক্ষেত্রেও আমরা আরো বেশি অগ্রগতি সাধন করতে সক্ষম হতাম। তবে গোটা বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতির অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় নিঃসন্দেহে অনেকটা ভালো।
মানবাধিকার খবরঃ বিশ্বে বর্তমান মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আপনার মন্তব্য কি ? কোন্ দেশ কি ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে আপনি মনে করছেন?
ড. মিজানঃ দেখুন, বিশ্বব্যাপী কিন্তু মানবাধিকারই যে ঝড় অতীতে লক্ষ্য করেছি সে ঝড়টা কিন্তু পশ্চিমা বিশ্বের তাদের মেরু হিসেবে পালন করতে চায় । বিশ্ব রাজনীতিতে এ কারনে কিন্তু মানবাধিকারী যে ঝড় টা কিন্তু স্থিতি থেমে গেছে কিন্তু মানবাধিকার আন্দোলনটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে । দেখুন, আজকে আফগানিস্থানে যে অবস্থা, আজকে সিরিয়াতে যে অবস্থা , আজকে ইয়েমেনে যে অবস্থা , আজকে মিয়ানমারের যে অবস্থা সব কিছুর পিছনে যদি একটু খাতিয়ে দেখেন, দেখবেন পিছনের শক্তি তাদের ভিতরে প্রতিযোগিতা একটি অশুভ যে প্রতিযোগিতার কারণে এ রাষ্ট্র ব্যাপ্তি জনগন নিপীড়িত ও নির্যাতিত হচ্ছেন এবং আমার মনে হয় চরম ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে। সেই তুলনায় উন্নয়নশীল বিশ্বে আমরা যে আচারণ করেছি আমরা মনে করি উন্নত বিশ্ব যদি তারা মানবাধিকারের প্রতি সত্যিকার অর্থে অনুগত প্রকাশ করতো শতভাগে তারা মানবাধিকার সুরক্ষায় কাজ করে যেতেন, তাহলে বিশ্ব মানবাধিকার পরিস্থিতি আরো অনেক উন্নতি লাভ করতে সক্ষম হতো । আজকে কিন্তু মানবাধিকার একটা বিরাট অংশ জুড়ে রয়েছে আমাদের এই ক্লাইমেট চেঞ্জ বা পরিবেশে যে পরিবর্তনটি ঘটছে এটার পিছনে কিন্তু আমরা জানি আবারো বিশ্বের উন্নত তাদের অবদানের কারনেই কিন্তু আমাদের এই ক্লাইমেট চেঞ্জ। আজকে আমার সম্ভাবনা দেখি যে বাংলাদেশের অনেক অংশ সমুদ্রের নিচে তলিয়ে যাবে । মালদ্বীপ নামক দেশটি হয়তো ভবিষ্যতে সাগরের নিচে তলিয়ে যাবে । এই সম্ভাবনা দেশটি পিছনে ভূমিকা পালন করেছে আমরা নই মালদ্বীপের জনগন নয় এর মূল ভূমিকা পালন করেছে পশ্চিমা রাষ্ট্র সমূহ যারা তাদের উন্নয়নের জন্য তারা পরিবেশের দিকে কখনোই ভ্রæক্ষেপ করেন নাই। এখন এদের ক্ষতিপূরণ আমাদের কে দিতে হচ্ছে। সেই তুলনায় আমি বলবো যে মানবাধিকার পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক বেশি তূলনামুলক একটি বিপদের মুখে রয়েছে । মানবাধিকার নিয়ে যতটা সজাগ ছিলো পৃথিবী ব্যাপী যে জোরদার আন্দোলন ছিল, আন্দোলন অনেক দূর্বল হয়ে গেছে।
মানবাধিকার খবরঃ বাংলাদেশের সাথে ভারত ,মায়ানমার সীমান্তে প্রায় বাংলাদেশীদের হত্যা নির্যাতন মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটছে, হত্যাযজ্ঞ বন্ধে দেশগুলো উদ্যোগ নিলেও কোনো কাজে আসছেনা । এই ব্যাপারে আপনার মূল্যবান মন্তব্যটা কি ?
ড. মিজানঃ আমি বলবো যে আমাদের আন্তঃরাষ্ট্র সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটা স্পর্শকাতর বিষয় কিন্তু আমাদের জন্য অতি গুরুত্ব বিষয়ে অবতরণ করেছেন এই প্রশ্নের মাধ্যমে। আমরা জানি আমাদের বাংলাদেশে যারা নিরীহ জনগন তাদের নিরীহ অর্থে বলবো যে তারা কিন্তু সন্ত্রাসী নয়। তাদের হাতে কিন্তু অস্ত্র নিয়ে ঘুরা ফেরা করেনা । তারা কিন্তু সন্ত্রাসী আক্রমন করেনা । হয়তো তারা হবে নিতান্তই দরিদ্র মানুষ, তাই হয়তো ক’টা শাড়ি বা দ্রব্য আনতেই পারে। পাসপোর্ট ভিসা নেই, আমি কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে সীমান্তের ওপারে চলে যাচ্ছি। এই অপরাধ একজন মানুষ হয়তো করতেই পারে ।
আপনাকে আমি নিশ্চিত হয়ে একটা কথা বলতে পারি যে পৃথিবীর যেখানে আপনি যাননা কেনো! যখন দু`টো রাষ্ট্রের মধ্যে এরকম পরস্পর বর্ডার থাকে, যেখানে ইজরাইল বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উচ্চ দালান আমি করে দেয়নি। সেখানে যদি বর্ডার থাকে উভয় পক্ষ থেকে আনাগোনা হয়ে থাকে এটা হচ্ছে বাস্থবতা । যে মানুষ মানুষের পরস্পরের সাথে কথা বলবে , তারা মিলিত হবে, তারা আত্মীয় সম্পর্ক হবে এমনটি তারা দেখা করতে চাইবে এটা স্বাভাবিক । কিন্তু সেই অপরাধের জন্য আপনি একজন মানুষের জীবন কেড়ে নিতে পারেন না। এটাই আমি বলবো বড় মাপের মানবাধিকার লঙ্ঘন । আমার প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্র যারা বন্ধু হিসেবে মনে করি তাদের কাছ থেকে কিন্তু এরকম আচরণ প্রত্যাশা করিনা ।
আমার মনে পড়ছে যে, যখন আমি মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্বে ছিলাম তখন ১৩ বছরের একটা ছোট মেয়ে ফেলানী । সেই ফেলানীর মৃতদেহ আমরা দেখেছি, কুড়িগ্রামে কাঁটাতারের বেড়ার উপরে কয়েক ঘন্টা ঝুলে ছিলো। এর চেয়ে বড়তম, অধিকতম, নিষ্ঠুরতম, বেদনাদায়ক আর কোনো ছবি কখনো আপনি খুঁজে পাবেননা। তখনো কিন্তু আমরা দেখেছি যে ভারত কিন্তু ফেলানীর হত্যার ব্যাপারে নির্বিকার থাকতে চেয়েছিল এবং প্রথম অবস্থায় তারা যে তাকে গুলি করেছে সেই বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স জওয়ানকে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে তারা কিন্তু প্রস্তুত ছিলোনা। আমার মনে আছে তখন আমি ভারতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রধান সাবেক বিচারপতি বালাকৃষ্ণ এর কাছে একটি চিঠি লিখেছিলাম এবং আমি সেই চিঠিতে বলেছিলাম আন্তর্জাতিক আইনে প্রতি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করে যে কেন ভারতে এ আচরণ আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন , মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং এখানে উচিৎ হবে মানবাধিকার কমিশনকে এগিয়ে এসে বিচারের ব্যবস্থা করা। আমি অনেকটা সন্তুষ্ট হয়েছিলাম যে, আমার চিঠিটা পাবার পরেই বালাকৃষ্ণ নিজে স্ব-শরীরে পশ্চিমবঙ্গে যান। বিএসএফের সঙ্গে বসেন এবং পরবর্তীতে বিএসএফের জওয়ানের বিরুদ্ধ একটি মামলা রজ্জু হয়। যদিও আমরা বিচারে কাঙ্খিত ফল লাভ করিনি অর্থাৎ যে বিচারটি অনুষ্ঠিত হয়েছে এই পদক্ষেপ টুকু পেয়েছে এই ব্যাপারে কিন্তু আমাদের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনে একটি উদ্যোগ নিয়েছিলাম সে উদ্যোগের কারণে এ কাজটি করতে সফল হয়েছিলাম। এ ধরনের সীমান্তবর্তী নির্যাতন হত্যা করা তাদের প্রাণকেড়ে নেওয়া এটা কোনক্রমেই গ্রহণ যোগ্য নয় । এটি অপ্রত্যাশিত এবং আমাদের প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের কাছ থেকে আমরা কখনোই এরকম আচরণ আশা করিনা।
মানবাধিকার খবরঃ সমাজ ও দেশের উন্নয়ন কোন প্রতিদ্বন্দী ছাড়াই স্বাধীন ভাবে আপনি আপনার প্রতিষ্ঠানে ও অন্যরা পেশাগত কাজ করতে পারছেন কি ? বলে আপনি মনে করছেন?
ড. মিজানঃ ধন্যবাদ, মানবাধিকার খবরকে। পেশাগত কাজের কথা বলছেন শুধু আমার পেশা কি এবং সে পেশার কাজটা কি সেই বিষয়ে কিন্তু স্পষ্ট সঠিক ধারণা থাকার খুবই দরকার। আমি তো মনে করিনা যে, আমার পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কোন রকম প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে বা রয়েছে। আমি স্বাধীন ভাবে আমার জ্ঞান চর্চা করতে পারি, মানবাধিকারকর্মী হিসেবে আমার ভূমিকা আমি পালন করতে পারি এবং সেক্ষেত্রে আমার রাষ্ট্রের যে কোন অঙ্গ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমি সম্পর্ক সাপোর্ট করতে পারি এবং এক্ষেত্রে কোনো রকম বিধি-নিষেধ বা বাধার সম্মুখীন হয়েছি বলে কিন্তু আমি মনে করিনা। তবে, এখানে আমি একটি কথা স্পষ্টকরে বলতে চাই যে, যদি কেউ বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিশ্বাসী না করে, যদি কেউ এখন পর্যন্ত আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর নামে সম্বোধন করতে দ্বিধা বোধ করে, বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণ করতে দ্বিধা বোধ করেন, আমার তো মনে হয় সে রকম ব্যক্তির পেশা বা তার কোন রকম কাজ করার অধিকার এ রাষ্ট্রে থাকা উচিত বলে আমি মনে করিনা । আমি বিশ্বাস করি প্রত্যেকটি মানুষের স্বাধীন চিন্তা এবং মত প্রকাশে স্বাধীনতা থাকা উচিত । তবে কোনো স্বাধীনতাই কিন্তু লাইসেন্স নয়, ঘড় খরনবৎঃু রং ধ ষরপবহপব । যেমন ইচ্ছে তেমন কিন্তু করতে পারিনা । একটা কিন্তু ঞযবৎব রং ধ ভৎধসব ড়িৎশ একটা কাঠামো আছে, কাঠামোটির ভিতরে থেকেই আমার পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে হবে। বাংলাদেশে আমি পেশাগত দায়িত্ব পালন করব। তাই, বাংলাদেশের প্রতি আমার আনুগত্য, আমার বিশ্বাস; সেটি কিন্তু প্রমান থাকতে হবে। বাংলাদেশের যিনি স্থপতি বঙ্গবন্ধু, জাতির পিতা, তার প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা আমাকে জানাতে হবে এবং সেখানে যদি কার্পণ্য করে থাকি আমার তো মনে হয় না বাংলাদেশ নিয়ে কাজ করবার কোনো অধিকার আমার রয়েছে বলে অন্ততপক্ষে আমি সেটি স্বীকার করতে চাইনা।
মানবাধিকার খবরঃ আপনি সমাজে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সচেতনতা মূলক কোন কাজ করছেন কি? ভবিষ্যতে কি ধরনের কাজ করতে চান?
মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্য কি করা যেতে পারে বলে আপনি মনে করেন ?
ড. মিজানঃ দেখুন, মানবাধিকার তো আসলে বিশাল একটি ভুবন। সেই ভুবনে কোন ব্যক্তির একার পক্ষে বা কোনো সংগঠনের একার পক্ষে কিন্ত সব কিছু করা সম্ভব নয়। একটা সমন্বিত প্রচেষ্টার দরকার এবং এই প্রচেষ্টা অব্যাহত এবং এটি চলতে থাকবে। কেননা মানবাধিকারের কিন্তু এমন কোন লক্ষ্য নেই যে আমি সেই লক্ষ্য পৌঁছে গেছি আর মানবাধিকার আন্দোলন শেষ হয়ে গেলো; আর কোন কিছু প্রয়োজন নেই। ব্যাপারটা কিন্তু এমনটা নয়। ঠিক যেমন আমাদের চাহিদা যেমনটি শেষ নেই, ঠিক তেমনি একটি মানুষের জীবনের যে মানদন্ড সেই মানদন্ড উচুতে উচুতে আরও উন্নত করতে পারি এবং যেটা ইংরেজিতে বলা হয় স্কাই ইজ দ্যা লিমিট (ংশু রং ঃযব ষরসরঃ) আকাশ হচ্ছে আমার সেই সীমানা যে আকাশ পর্যন্ত আমাকে যেতে। হবে এখন যদি ওটি হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আপনি কিন্তু যে মানবাধিকার যে সর্ব ক্ষেত্রে বিচরণ করছেন তা কিন্তু নয়। আমি একটা ছোট ক্ষেত্রকে নির্বাচন করে নিয়েছি সেটা হচ্ছে আমি চাই যে মানবাধিকার সুরক্ষার জন্যে দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমাদের দেশে আইনের জ্ঞান সম্পূর্ণ কিছু মানুষের দরকার। আমরা জানি, অনেক সময় আমরা প্রাক্তন আইন মন্ত্রী মরহুম আব্দুল মতিন খসরু সাহেব বলেছিলেন যে, বাঘে আচরদিলে আঠারো ঘা আর উকিল আচর দিলে নাকি তেত্রিশ ঘা। সেরকম উকিল দিয়ে কিন্তু আমরা চাই না, সে উকিল দিয়ে কিন্তু দরিদ্র মানুষের কোন রকম অধিকার রক্ষা করা যায় না। যে আমি বর্তমানে যে কাজে জড়িত রয়েছি সেটা হচ্ছে দরিদ্র মানুষের জন্য আইনজীবী তৈরি করা। প্রতি বছর আমি পঞ্চাশ জন ছাত্র-ছাত্রীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকি এবং আমার স্বপ্নটা হচ্ছে প্রতি বছর এ পঞ্চাশ জনের মধ্য থেকে অন্তত পক্ষে যেন দশ জন মানবাধিকার অঙ্গনে থেকে যায়। ভবিষ্যতে সারাটা জীবন দরিদ্র এবং প্রান্তিক জনগণের হয়ে কাজ করবে তাদের বন্ধু হয়ে তাদের সহযোগী হয়ে মানবাধিকার কর্মী হিসেবে সারাটি জীবন কাটিয়ে দিবে। আমি এরকম কয়েকটি বলতে পারি কয়েকটি দল আমি তৈরি করতে আমার শ্রম, আমার সময়, ব্যয় করে চলেছি।
মানবাধিকার খবরঃ ১০ই ডিসেম্বর বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। মানবাধিকার কি এবং কেন? জাতিসংঘ ঘোষিত ৩০টা ধারার প্রয়োজনিয়তা সম্পর্কে পাঠকদের উদ্দেশ্যে কিছু বলুন।
ড. মিজানঃ দেখুন ১০ই ডিসেম্বর এটা হচ্ছে সেই তারিখ ১৯৪৮ সালে যখন সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহিত হয়েছিল পরবর্তীতে ১০ই ডিসেম্বর দিনটি বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে জাতিসংঘ ঘোষণা করে এবং প্রতিনিয়ত আমরা যারা মানবাধিকার অঙ্গনে রয়েছি। ঠিক আপনি বা মানবাধিকার খবর বা আপনারা প্রতিবছর ১০ই ডিসেম্বরে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস হিসেবে পালন করে থাকেন এবং সেটাই প্রত্যাশিত এখন এই যে , সর্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণাপত্র গৃহীত হলো ১৯৪৮ সালে এটি কিন্তু কোন আইনত বাধ্যগতা নেই
এটি হচ্ছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের একটি সিদ্ধান্ত রেজুলেশন। সেটায় ৩০ টি ধারা রয়েছে।
৩০ টি ধারার মধ্যে ২৮ টি ধারাতে আপনার অধিকার সর্ম্পকে বলা আছে। যে কি কি অধিকার একজন ব্যক্তি ভোগ করবে এবং রাষ্ট্র সে অধিকার পূরণ নিশ্চিত করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এবং সেখানে কিন্তু যেমন আছে নাগরিক অধিকার, রাজনৈতিক অধিকার, অর্থনৈতিক অধিকার, সামাজিক অধিকার এবং সাংস্কৃতিক অধিকার। এর মাঝেও আমরা জানি যে, অধিকার পূরণ কি বিচ্ছিন্ন ভাবে আলাদা ভাবে কখনো দেখা যায়না। অধিকার গুলো একটি অপরটির উপর অঙ্গা-অঙ্গিভাবে জড়িত এবং তার যে একত্রে একত্রিত হয়ে আছে এই একটি কে বাদ দিলে আপনি অধিকার প্রতিষ্ঠা করবেন এটা কিন্তু সম্ভব হবেনা। কেননা, মানবাধিকার মানে হচ্ছে সকল অধিকার সংমিলন এবং সেই সংমিলনটি আমাদের সকলের মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। আমি একজন নাগরিক হিসেবে একজন মানুষ হিসেবে যেহেতু আমি জন্মগ্রহণ করেছি, তাই মানবাধিকার আমার রয়েছে। এই মানবাধিকার থেকে আমাকে বঞ্চিত করা যায়না। এমন কোন শক্তি নেই পৃথিবীতে যা মানবাধিকার হরণ করবে কেননা আমরা বিশ্বাস করি যার দেবার ক্ষমতা কারো নেই, তা হরণ করার ক্ষমতাও কারো থাকা উচিত নয়। মর্যাদা কিন্তু মানুষ পায় তার জন্ম সূত্রে। মানুষ হিসেবে জন্ম গ্রহণ করেছি এর জন্যই কিন্তু মানবিক মর্যাদা রয়েছে এটা যারা আমরা ধর্মের বিশ্বাস করি আমরা বলব এটা সৃষ্টিকর্তার দান আর যারা ধর্মে বিশ্বাস করেনা তারাও কিন্তু বলে এটা প্রকৃতির দান আমরা যেভাবেই দেখিনা কেন এটা কিন্তু কোন মানুষের কোন প্রেসিডেন্ট কোন প্রধানমন্ত্রী কিন্তু উপহার দেয়নি। সুতরাং কোন প্রেসিডেন্ট কোন প্রধানমন্ত্রী বা কোন সরকার আমার এই মর্যাদা থেকে হরণ করতে পারেনা। লুণ্ঠন করতে পারেনা, এটা হচ্ছে তারা মানবাধিকারী মূল কথা। এই জায়গাটি, এই চেতনাটি আমাদের বিশ্বের প্রত্যেকটি মানুষের ভিতরে ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। প্রত্যেকে যেনো জানে আমি কখনোই কোনরকম ব্যক্তির সঙ্গে এমন কোন আচরণ করবনা, যাতে করে তার মর্যাদা ক্ষুন্ন হতে পারে, খর্বিত হতে পারে। মানবাধিকার দিবসে এটি মূলকথা এবং এই বাণীটি আমরা যত বেশি পারি ততো বেশি প্রচার করতে সক্ষম হই।
আমার পরবর্তী প্রশ্ন একটু ব্যতিক্রম, প্রশ্নটি হল জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সারাজীবন বাঙালি জাতির বাঙালির জন্য সংগ্রাম করে গেছেন তাহলে অধিকার রক্ষার জন্য তার সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা এই দেশের সংকট মুহুর্তে হোক, সু-সময়ে হোক দুঃসময়ে হোক, সেও বাংলার মানুষের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে অধিকার রক্ষার জন্য দরিদ্র থেকে মুক্তি জন্য আমরা কি পারিনা তাকে এই বিশ^ মানবাধিকার দিবসে সম্মাননা জানাতে! আমরা ঘর থেকে তাকে সম্মাননা জানাতে, এটা উচিত কিনা? উচিত যদি হয়ে থাকে আমরা সবাই মিলে মানবাধিকার খবরসহ সবাই যে যেখানে আছি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা কে আমরা উৎসাহ উদ্দীপনা জানাতে পারি এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কি ?
দেখুন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কিন্তু বিশে^র অনেক স্থান থেকে অনেক পুরস্কার পেয়েছেন। আমি যেটা মনে করি সেটা হচ্ছে যে, আজকে আমাদের বাংলাদেশ, আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের যে অবস্থানে রয়েছে সে অবস্থানে কিন্তু নিয়ে এসেছেন আমাদের অতি প্রিয় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর অবদান কোন ক্রমেই ছোট করে দেখতে পারিনা। বিশেষ করে দেখুন, আপনি যে আইনের কথা বলেন তাহলে কিন্তু একজন বিধবাকে ভাতা দিতে হবে বা বাধ্য-বাধকতা রয়েছে। একজন পঙ্গু ব্যক্তি কে বিশেষ অধিকার দিতে হবে বা একজন নারীকে তার খোরপোষের ব্যবস্থা করে দিতে হবে বা মনে করুন আমার মাথার ওপর কোনো ছাদ নেই তাই আমাকে একটি বাড়ি দিতে হবে, আমি ভূমিহীন কৃষক তাই আমাকে একটি ভূমি দিতে হবে, এইরূপ কিন্তু আইনত কোন বাধ্যগত বাংলাদেশ আজ পর্যন্ত নেই। কিন্তু, এই কাজগুলো কিন্তু চলছে বাংলাদেশে। কিভাবে চলছে! শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি, তার চিন্তার কারনে। সেই ব্যক্তিটি হচ্ছে আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওনার জন্যই কিন্তু আজকে বিধাব ভাতা, বয়স্ক ভাতা। ওনার জন্যই কিন্তু আমরা দেখছি আশ্রায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে মানুষকে তাদের বাড়ি, তাদের ঠিকানা দিয়ে দেওয়া, ভূমিহীনদের মাঝে খাস জমি বন্টন করে তাদেরকে ভূমি মালিক করে দেওয়া। এই যে কাজ গুলো হচ্ছে, এইগুলো কিন্তু মানবাধিকারের কাজ।
উনি রাষ্ট্রের ক্ষমতা থেকে এই কাজগুলো যদি করেন উনি কিন্তু রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ভোগ করছে এটা নয়। উনি প্রকারন্তরেই কিন্তু সাধারণ জনগণের অধিকার উনি সুরক্ষিত করছেন সে গুলোকে আরো ব্যাপ্তি উনি বৃদ্ধি করছেন এবং সেগুলোর মানবাধিকার সুরক্ষার কাজটি দৃঢ় ভাবে করবার জন্য একটি ভিত্তি কিন্তু স্থাপন করে দিয়ে যাচ্ছেন। উনি যদি এ কাজ করে থাকেন তাহলে এই মুহূর্তে ওনার চেয়ে বড় মানবাধিকার কর্মী আর কে আছে! সুতরাং, সেই মানবাধিকার কর্মী ড. মিজানুর রহমানকে যদি আপনি পুরস্কার দিতে পারেন, আপনি যদি একজন শ.ম. রেজাউল করিমকে পুরস্কার দিতে পারেন। তাহলে তো আমরা কোথায়! আমরা কতটুকু করেছি! আর শেখ হাসিনা কি করেছেন, সুতরাং সর্বাজ্ঞে যদি পুরস্কার পাওয়া উচিত মানবাধিকারের জন্য সেটা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি মনে করি আপনি একজন মানবাধিকার কর্মী হিসেবে বা বিশেষ করে আপনার এই মানবাধিকার খবরের সম্পাদক হিসেবে আপনি যদি এই উদ্যোগটি যদি গ্রহণ করেন আমার মনে হয় আপনি সবার প্রশংসার পাত্র হবেন। যে কাজটি হয়তো আমাদের দেশের অনেক মানবাধিকার সংগঠন করতে পারতো, কিন্তু আজও করে নাই; সে কাজটি করে আপনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে পারেন।
ধন্যবাদ, আপনার কথা আমরা ভবিষ্যতে চেষ্টা করব পালন কর বার জন্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সম্মাননা জানানোর জন্য।
আমার পরবর্তী প্রশ্ন হচ্ছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন নিয়ে ,জাতীয় মানবাধিকার কমিশন দেখতে পাই পত্র-পত্রিকায় মিডিয়াতে বর্তমানে তারা নাকি কোন কাজ করছে না। আপনার আমলে যখন আপনি মানবাধিকার চেয়ারম্যান দায়িত্বে ছিলেন তখন আপনি ছোটাছুটি করেছেন, দৌড়া-দৌড়ি করছেন। যেখানে মানবাধিকারের লংঘন হচ্ছে সেখানে আপনি ছুটে গেছেন খোঁজ খবর নিয়েছেন। কিন্তু, বর্তমানে নাকি পত্র-পত্রিকায় মিডিয়াতে লোকমুখে জানতে পারি মানবাধিকার কমিশন কোন কাজ করছে না। অথচ, এই মানবাধিকার কমিশন বাংলাদেশের সংবিধান স্বীকৃত একটি সরকারি প্রতিষ্ঠান। যে সরকারের কোথায় কোথায় মানবাধিকার কাজ করছে, কোথায় মানবাধিকার লংঙ্ঘন হচ্ছে সেগুলো তুলে ধরা। কোথায় মানবাধিকার লংঘন হচ্ছে সেটা তুলে ধরা। কিন্তু এই কাজগুলো তারা করছেন না, তারা প্রচার-প্রচারণা করছে না। তাদের কোনো উল্লেখযোগ্য একটিভিটিস নেই। এ ব্যাপারে আপনার কি পরামর্শ ?
দেখুন, যেহেতু আমি মানবাধিকার কমিশনের দায়িত্বে ছিলাম কোন এক সময়, তাই এই কমিশন সম্পর্কে কোন মন্তব্য আমার জন্য খুব একটা শোভনীয় নয়। আমি আমার মত চেষ্টা করছি দায়িত্ব পালন করবার জন্য। তবে আমি মনে করি যে, প্রত্যেকটি কমিশনই হচ্ছে স্বাধীন স্বকীয়। প্রত্যেকের হয়তি নিজস্ব ধরন থাকে কাজ করবার, নিজের মতো করে অনেকে কাজ নির্ধারণ করে কাজ করে থাকে। তবে সাধারণ মানুষের যখনই অধিকার লঙ্ঘিত হয় বা যখন অধিকার লঙ্ঘনের হুমকির সৃষ্টি হয়, আমি বিশ্বাস করি বা আমি মনে করি যে, মানবাধিকার কমিশনকে সেই ক্ষেত্রে উপস্থিত থাকাটা উচিত। যাদের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেই ভিকটিমদের পাশে দাঁড়ানোর খুব জরুরী মানবাধিকার কমিশনার পক্ষে থেকে, এই কাজটি দৃশ্যমান হওয়া উচিত। যেন তাদের কর্মকান্ড থেকেই যেনো অন্যরা যারা হয়তো মানবাধিকার লংঘন করবার জন্য দুঃসাহস দেখানোর চেষ্টা করত তারা যেন সাবধান হতে পারে। তারা যেন এই লঙ্ঘন কাজ থেকে বিরত রাখতে পারি এরকম একটা বার্তা দেবার জন্য কিন্তু মানবাধিকার কমিশনারের কাজ গুলো আরো বেশি দৃশ্যমান হওয়া বাঞ্চনীয়।
আমাদের সর্বশেষ মানবাধিকার খবরের পক্ষ থেকে প্রশ্ন হচ্ছে যে মানবকল্যাণে নিয়োজিত মানবাধিকার খবর
মানবাধিকার খবর বিশ্বের একমাত্র নিয়মিত সৃজনশীল জনপ্রিয় বাংলা প্রকাশনা মানবাধিকার খবর তার লেখনি সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে মানবাধিকার বঞ্চিত অসহায় মানুষের সেবা প্রদান করছে এবং দেশ-বিদেশ থেকে নারী শিশু উদ্ধার, আইনি সহযোগিতা, চিকিৎসা, শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রভৃতি প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও ত্রাণ বিতরণ দরিদ্র অসহায় মানুষের সহযোগিতাসহ নানা বিধ সামাজিক সহযোগিতা কাজ করে যাচ্ছে মানবাধিকার খবরের কর্মকান্ডে আপনার মন্দব্য কি?
দেখুন, মানবাধিকার খবর একটি পত্রিকার যেটি নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে এবং যেখানে আমরা দেশ এবং দেশের বাহিরের বিশেষ করে আমাদের অঞ্চলের, এই দক্ষিণ এশিয় অঞ্চলের মানবাধিকার মানবাধিকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা অবগত হই। আমার বড্ড ভালো লেগেছে দেখে মানবাধিকার খবর একটা পত্রিকা হয়েও আপনারা যে যারা ঠরপঃরস ড়ভ যঁসধহ ঃৎধভভরপশরহম মানব পাচারের যারা শিকার, তাদেরকে যে আপনারা উদ্ধার করেন, করেছেন, সে স্বাক্ষর রেখেছেন। ত্রান বিতরণ করে থাকেন, তাদেরকে নানাবিধ সাহায্য করে থাকেন। সাবলম্বী করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। আমার মনে হয় প্রত্যেকটিই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। দেখুন, আপনার পক্ষে বা আপনার সংগঠনের পক্ষে বা আপনার পত্রিকার পক্ষে সব কিছু করা সম্ভব নয়। সকলের প্রত্যাশা মিটানোও সম্ভব নয়। তবে, আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ^াস করি, আপনি একজন মানুষকেও কল্যাণ করে থাকেন সেটি কল্যাণ না করার চেয়ে অনেক ভালো। আমরা বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ যদি একটি করে ভালো কাজ করতাম বা প্রত্যেক নাগরিক করতাম তাহলে আমাদের সমাজের চেহারা আরো আদর্শিক, আরো মানবিক হতো না? আপনি তো সেই লক্ষে কাজ করে চলছেন। আপনার এই কাজ থেকে অনেকে আরো উদ্বৃদ্ধ হোক। আপনার মানবিকতা আরো বৃদ্ধি পাক, আপনার কাছে থেকে গ্রহন করুক এই শুভো কামনা ব্যক্ত করছি। আমি প্রত্যাশা করি আপনার কাজের ব্যপ্তি আরো বৃদ্ধি লাভ করবে এবং আপনি মানবাধিকার কর্মী হিসেবে শুধু মাত্র এ দেশে নয় বর্হিঃবিশে^ বাংলাদেশের নাম ছড়িয়ে পরবে। আপনাকে অনেক অনেক শুভো কামনা করছি আপনার মানবাধিকার খবর পত্রিকার ১০ বছরে পদার্পণে।
মানবাধিকার খবরঃ ধন্যবাদ আপনাকে, মানবাধিকার খবরকে মূল্যবান সময় দিয়ে স্বাক্ষাতকার দেওয়ার জন্য। আপনার দীর্ঘায়ূ ও মঙ্গল কামনা করছি।
ড. মিজানঃ আপনাকে ও আপনার মানবাধিকার খবর পরিবারের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।
সাক্ষাৎকারটি গ্রহণে, ক্যামেরা ও লেখনিতে সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন মানবাধিকার খবরের গাজীপুর প্রতিনিধি আতাউর রহমান সোহেল ও নাজিম খান।



  
  সর্বশেষ
ফ্যাসিস্ট সরকারের বসিয়ে দেয়া প্রধান শিক্ষকের দুর্নিতি-অনিয়ম ও কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মানববন্ধন এবং স্মারক লিপি প্রদান
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সাবেক সংসদ সদস্য এস এম আল মামুনু ও দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা ;
ভবদহের সমস্যা মেটে না কেন? ব্যাখ্যা চায় মানবাধিকার কমিশন
এস আলম গ্রুপের দুই প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব ফাঁকি ৭০৭১ কোটি টাকা

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308