মানবাধিকার খবর প্রতিবেদক :
ব্যবসায়িক কাজ কিংবা বেড়ানোর জন্য বছরে অনেকবার বিদেশে যান চিত্রনায়িকা বর্ষা। বিশেষ করে থাইল্যান্ডে নিয়মিতই যাতায়াত রয়েছে এ নায়িকার। সেই সুবাদে নিজের দুই ছেলে আরিজ ও আবরারের জন্য পছন্দের বিভিন্ন খাবারের পাশাপাশি দুধও দেশটি থেকে নিয়ে আসেন। করোনাভাইরাসের কারণে গত মার্চ থেকেই বিশ্বব্যাপী বিমান চলাচল বন্ধ। সঙ্গত কারণে তারও আর বিদেশ যাওয়া হয়নি। এরই মধ্যে আরিজের খাবার দুধ শেষ হয়ে যায়। নির্দিষ্ট একটি ব্র্যান্ডের দুধ খাওয়াচ্ছেন বলে অন্য দুধে ছেলেটি অভ্যস্তও নয়। তাই বাচ্চার দুধ সংগ্রহে বর্ষা চিন্তায় পড়েন।
দেশের কোনো সুপারমলেই এ দুধটি পাচ্ছিলেন না। এরপর থাইল্যান্ড থেকে কেউ বিশেষ ফ্লাইটে দেশে ফেরেন কি না সেই অপেক্ষায় ছিলেন এ নায়িকা। উদ্দেশ্য তাকে দিয়ে আবরারের জন্য দুধ নিয়ে আসার অনুরোধ করবেন। এক সময় পেয়েও যান। ঠিক এ সময় বর্ষা উপলব্ধি করেন নিজের সন্তানের দুধ শেষ হয়ে যাওয়াতে মা হিসেবে তিনি কতটা চিন্তিত ছিলেন, না জানি অসহায় কত মা সন্তানের জন্য দুধ কিনতে পারার কষ্টে আছেন? বিষয়টি তাকে খুব পীড়া দেয়।
সে চিন্তথেকে নিয়ত করেছেন, আবরারের দুধ সংগ্রহ করার পরপরই তিনি অসহায় সেসব মা ও সন্তানের জন্য এক মাসের দুধ কিনে দেবেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী অবশেষে সে কাজটি সম্পন্ন করছেন এ চিত্রনায়িকা। তার রাজধানীর বাসার নিচেই তিনশ’ অসহায় মায়ের হাতে তার সন্তানের জন্য এক মাসের দুধ, চিনি ও হাত ধোয়ার উপকরণ তুলে দেওয়া হয়।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আবরারের দুধের জন্য আমি যখন চিন্তিত তখনই বিষয়টি আমার মাথায় আসে। আমাকে তো আল্লাহ অনেক দিয়েছেন, তাই যেভাবে হোক আমি আমার বাচ্চার জন্য দুধ সংগ্রহ করে নিতে পারছি; কিন্তু যেসব মা অসহায়, সন্তানের মুখে দুধ তুলে দিতে পারছেন না, তারা কী করছেন? বিষয়টি ভেবে খুব খারাপ লাগল। তখনই নিয়ত করেছি, এরকম বেশকিছু মানুষকে আমি সহযোগিতা করব। ভাবনা অনুযায়ীই কাজটি করছি। আশা করি এভাবেই অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর তওফিক আল্লাহ আমাকে দেবেন।’
এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে তার অভিনীত সর্বশেষ ছবি ‘দিন দ্যা ডে’র শুটিং আটকে আছে। এরই মধ্যে ছবির ৮০ শতাংশ শুটিং শেষ হয়েছে। এ ছবিতেও তিনি বরাবরের মতোই স্বামী চিত্রনায়ক ও প্রযোজক অনন্ত জলিলের বিপরীতে অভিনয় করছেন। ইরানের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত এ ছবিটি পরিচালনা করছেন ইরানি পরিচালক মুস্তফা অতাশ জমজম।