বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ভারতের জলসীমায় ধৃত পাকিস্তানের নুসরাত জাহাজ, উদ্ধার সাত মৎস্যজীবীকে   * কচুয়ায় কৃষক দলের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত   * সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ, কক্সবাজার শহর অচল   * সেনাবাহিনী প্রধানের কক্সবাজার এরিয়া পরিদর্শন   * বঙ্গোপসাগর কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত যুক্তরাষ্ট্র চীনের আলাদা আলাদা স্বার্থ রয়েছে:পররাষ্ট্র উপদেষ্টা   * কক্সবাজার জেলা জামায়াতের নতুন মজলিসে শুরা ও কর্মপরিষদ ঘোষণা   * চট্টগ্রামে পাকিস্তানি জাহাজ, উদ্বিগ্ন ভারত   * সেন্ট মার্টিনে কেউ সামরিক ঘাঁটি করতে পারবে না: রিজওয়ানা হাসান   * বিধি নিষেধ তুলে নেওয়ার পর বান্দরবান জেলার পর্যটন শিল্পের প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে;   * জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নকল নবীশদের অবস্থান ধর্মঘট: চাকরি জাতীয়করণের দাবি  

   বিশেষ প্রতিবেদন
করোনায় সৃষ্ট বেকারত্ব দূর করতে সক্ষম মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত - শ ম রেজাউল করিম
  Date : 22-07-2020

মানবাধিকার খবর প্রতিবেদন  :
করোনা মহামারি এবং আম্ফানের ফলে দেশে বিপুলসংখ্যক মানুষ বেকার হয়ে পড়ার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এ সংকট মোকাবেলায় ছোট ছোট কর্মসূচির মাধ্যমে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব।


এমনটাই মনে করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। সম্প্রতি মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, খাতটিকে শিল্প হিসেবে গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। এ ছাড়া মহামারি সৃষ্ট সংকট মোকাবেলায় গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সচল রাখতেও কাজ করে যাচ্ছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।


করোনা মহামারিতে সৃষ্ট বেকারত্ব মোকাবেলা প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা ও আম্ফানের আঘাতে যে বেকারত্ব সৃষ্টি হয়েছে, তা দূর করতে পারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত। এ খাতে বিপুল মানুষকে সম্পৃক্ত করার সুযোগ রয়েছে। যার বাড়িতে দুই কাঠা জমি আছে, সে সেখানেই মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হতে পারে। যার ১০ কাঠা জমি আছে, সে ছোট একটি পুকুর খনন করে মাছ উৎপাদন করতে পারে। এ খাতে বিপুল মানুষকে কাজে লাগানো যায়।’


শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘করোনা ও আম্ফানের ফলে দেশে ভয়াবহ বেকারত্ব সৃষ্টি হতে যাচ্ছে। সেই বেকারত্ব নানা ক্ষেত্রে আসছে। ছোট ছোট কাজ, যেমন রিকশা চালানো, পোশাকশিল্পের কাজ, হোটেলের কর্মচারী। এমন অনেক মানুষ বেকার হয়ে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যসহ অনেক দেশ থেকে মানুষ চলে আসছে দেশে। তাদের সবাইকে আমরা চাকরি দিতে পারব না। অনেকের বয়স বেশি হয়ে গেছে, অনেকের শিক্ষাগত যোগ্যতায় ঘাটতি রয়েছে সর্বোপরি রয়েছে কর্মসংস্থানের সংকট। সব মিলিয়ে অনেককেই আমরা চাকরি দিতে পারব না।

ফলে এসব মানুষকে স্বাবলম্বী করতে, তারা যেন কারো মুখাপেক্ষী না হয় সে জন্য আমরা তাদের জন্য ছোট ছোট পরিসরে নানা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করব। কাউকে ২০০ মুরগির বাচ্চা নিয়ে, কাউকে দুটি গাভি নিয়ে বা ১০টি ছাগলের বাচ্চা নিয়ে অথবা বাড়ির পাশের পুকুরে মাছ চাষ করে যেন মানুষ স্বাবলম্বী হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসব থেকে তারা নিজের ও পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে উদ্বৃত্ত অংশ বিক্রি করবে। এভাবে এই ক্রান্তিকালে বেকারত্ব দূর করে গ্রামীণ অর্থনীতিকে স্বাবলম্বী করে তোলার বড় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে। এ খাতে সব স্তরের বেকারদের যুক্ত করে গ্রামীণ অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে চাই। গ্রামীণ অর্থনীতির চাকা সবল হয়ে উঠলে মানুষ শহরমুখী হবে না। শহরমুখী না হলে আমাদের খাদ্যাভাব বা সংকটেরও আশঙ্কা থাকবে না।’


মন্ত্রী বলেন, ‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাত একসময় উপেক্ষিত ছিল। পুষ্টিকর খাবার খেয়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কারণে এখন আমাদের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পুষ্টিকর খাবার সরবরাহের অন্যতম খাত হলো মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। সে জন্য এ খাতকে শক্তিশালী করা উচিত। দুধ, মাছ, মাংস আমাদের পুষ্টির প্রধান উৎস। একসময় মানুষ এগুলো উৎপাদন থেকে দূরে সরে যাচ্ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুচিন্তিত পরিকল্পনার কারণে এ খাতে অনেকে উৎসাহী হয়েছে। অনেকে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে চাকরির পেছনে না ছুটে উদ্যোক্তা হতে চাইছে। তারা মাছ, মাংস, দুধ উৎপাদন করে বিদেশে রপ্তানি করছে। আমি এই খাতকে শিল্প খাতে উত্তীর্ণ করতে চাই।’


তিনি বলেন, ‘এবার বিশ্ব খাদ্য ও কৃষি সংস্থার জরিপে বাংলাদেশ স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থান পেয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি গর্ব। চীন, ভারতের মতো বড় রাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে ইন্দোনেশিয়ার পরে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে। আর ইলিশ উৎপাদনে আমরা অভাবনীয় সাফল্যের জায়গায় পৌঁছেছি। জাটকা নিধন থেকে বিরত রেখে, মা ইলিশ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকে কঠোর নজর দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এবারই প্রথমবারের মতো হালদায় সর্বোচ্চ রেণু উৎপাদিত হয়েছে। সব কিছু মিলিয়ে বাংলাদেশ মৎস্য উৎপাদনে বড় একটি অবস্থানে পৌঁছেছে।’


তিনি আরো বলেন, ‘ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন বাজার থেকে আমাদের কাছে চাহিদা এসেছে, তারা হালাল মাংস নিতে চায়। এ হালাল মাংস রপ্তানি করে বড় বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। একইভাবে আমাদের কাঁকড়া, কুঁচে, সাদা মাছ, চিংড়ি রপ্তানি করে আমরা মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতকে একটি বড় জায়গায় নিয়ে আসতে পেরেছি।’


মন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস ও আম্ফানের কারণে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে সম্পৃক্তরা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। যাঁরা বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করেন তাঁরা বিপণনের ক্ষেত্রে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। সেই মানুষদের নতুন করে ঘুরে দাঁড়াতে কিভাবে সহযোগিতা করা যায় আমরা সেই কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। বিশেষ করে, প্রান্তিক পর্যায়ের খামারি বা উদ্যোক্তা যাঁরা, তাঁদের আর্থিক প্রণোদনা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আর যাঁরা বড় খামারি তাঁদের সহজ শর্তে, স্বল্প সুদে ঋণ দিলে কিভাবে তাঁরা মৎস্য খামার, পোল্ট্রি, ডেইরি এগুলো করতে পারেন তেমন কর্মসূচি আমরা গ্রহণ করেছি।’


শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘মৎস্য, পোল্ট্রি, ডেইরি খাতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রায় ৮০ লাখ মানুষ জড়িত। তাদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তাদের সহযোগিতার জন্য আমরা কয়েকটি ভাগে ভাগ করেছি। যারা একেবারে অল্প আয়ের মানুষ তাদের অল্প করে হলেও আর্থিক সহায়তা দেব, যে অর্থ ফেরত দিতে হবে না। আর বড় খামারিদের ঋণ দেব। আমরা আশা করছি, শিগগিরই সেটি বাস্তবায়ন করতে পারব।’



  
  সর্বশেষ
ভারতের জলসীমায় ধৃত পাকিস্তানের নুসরাত জাহাজ, উদ্ধার সাত মৎস্যজীবীকে
কচুয়ায় কৃষক দলের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ, কক্সবাজার শহর অচল
সেনাবাহিনী প্রধানের কক্সবাজার এরিয়া পরিদর্শন

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308