অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দেশে-বিদেশে প্রায় ২৮ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া নোয়াখালী জেলা আদালতের নাজির মো. আলমগীর হোসেনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ প্রত্যাহারের আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে।
বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি সহিদুল করিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
তিনি জানান, সাত কোটি ১৭ লাখ ৩৫ হাজার ৬২৫ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং দেশে-বিদেশে ২৮ কোটি টাকার লেনদেনের অভিযোগে আলমগীর হোসেনের বিরুদ্ধে গত ৫ আগস্ট পৃথক দুটি মামলা করে দুদক। এই দুই মামলায় গত ৪ সেপ্টেম্বর আলমগীর হোসেনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশ দেন নোয়াখালীর একটি আদালত। একইসঙ্গে যে জমি নিয়ে অভিযোগ সেই জমি বিক্রি বা হস্তান্তরের করার নির্দেশ দেয়া হয়।
এ অবস্থায় মামলা দুটির কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলে দেয়ার জন্য হাইকোর্টে পৃথক তিনটি আবেদন করেন আলমগীর হোসেন। এই তিন আবেদনের মধ্যে সম্পদ ও অ্যাকাউন্ট জব্দের আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ করেন আদালত। অপর দুটি আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দেয়া হয়।
ছোট কর্মচারীর বড় দুর্নীতি : জেলা আদালতের নাজিরের ৭ কোটি টাকার সম্পদ! শিরেনামে গত ৯ সেপ্টেম্বর একটি দৈনিকে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। ওই রিপোর্ট প্রকাশের পর আলমগীর হোসেন ও তার স্ত্রী নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পেশকার নাজমুন নাহারকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।