|
শ্রীপুরে ১০ পরিবারকে খাসভূমি থেকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা মাদকসহ মিথ্যা মামলার হুমকি |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার মাওনা উত্তরপাড়া মাওনা গ্রামে ৮টি ভূমিহীন পরিবারকে উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। চক্রের সদস্যরা বুধবার সকালে ওইসব পরিবারের বসতভিটার আশপাশের গাছপালা কেটে ফেলেছে। এসময় পরিবারের সদস্যদেরকে উচ্ছেদ করতে মাদকসহ নানা মিথ্যা মামলারও হুমকি দিয়েছে। ওইসব পরিবারের পক্ষ থেকে হযরত আলীর স্ত্রী মোছা: জোসনা আক্তার শ্রীপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন। একই উপজেলার শিরিষগুঁড়ি রিয়াজ উদ্দিন, আহাম্মদ, মাওনা গ্রামের আব্দুর রশিদ, শহীদ এবং তাদের সহযোগীদের অভিযুক্ত করা হয়েছে। ডায়েরী সুত্রে জানা গেছে, মাওনা গ্রামের জাবের স্পিনিং মিলস লিমিটেড সংলগ্ন এলাকায় ওই ৮টি পরিবারের লোকজন খাস জমিতে গত ৩০ বছর যাবত সন্তানাদি নিয়া বসবাস করে আসছেন। ঐ জায়গা দখলে নিয়ে অন্যত্র বিক্রির উদ্দেশে এ চক্রটি বহুদিন দরে বিভিন্নভাবে এ ৮টি ভূমিহীন পরিবারকে হয়রানি করে আসছে। গত মঙ্গলবার ৬ই জুন সকাল ১১টায় ঐ এলাকার সেলামতের পুত্র অদুতের নেতৃত্বে প্রায় ১০ থেকে ১৫ জন লোক এই ভূমিহীন পরিবারের ছোট বড় অনেকগুলো গাছপালা কেটে ফেলেছে। বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে মাদক এবং নানা ধরনের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেয়। তাছাড়াও ঐ এলাকার গিয়াস উদ্দিনের কন্যা ফাতেমা আক্তার ও তার স্বামী কাজল রানা এ ভূমিহীনদের কে বলেন অত্যাচারের কারণে তোরা এ বসতভিটা থেকে পাওলানোর সময় ঘরে জিনিসপত্র নেওয়ার সময় পাবিনা। সে আরও বলে আমরা এ জায়গাটুকু খালি করে দিলে। কোম্পানি জায়গা দখল করবে। মাওনা ভূমি অফিসের নায়েব জালাল উদ্দিনকে বিষয়টি জানালে তিনি তার প্রতিনিধি ঘটনাস্থলে পাঠান। প্রতিনিধি ঘটনা স্থলে এসে ঐ চক্রের সাথে কথা বলে ভূমিহীনদের সাথে দেখা না করেই চলে যান। এ ব্যাপারে জাবের স্পিনিং মিলের ব্যবস্থাপক প্রশাসনিক কর্মকর্তা (এডমিন) কাজি হোসেন সৌহরুয়ার্দী সাথে কথা বললে তিনি সাংবাদিকদের জানান বহুদিন আগে কানি পুকুর নামে এ পুকুরটি মাওনা উত্তরপাড়া মৎস্য সমবায় সমিতি মাধ্যমে লিছ নিয়েছে। এই লিছের মেয়াদ ২০২৪ পর্যন্ত রয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি সাংবাদিকদের আরও বলেন এ বিষয়ে নাছির উদ্দিন সাহেবের সাথে কথা বললে ভাল হয়। এ ব্যাপারে শ্রীপুর থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মো: জয়নাল আবেদীন জানান, সাধারণ ডায়েরী রুজু নথিভুক্ত করা হয়েছে। বিষয়টি একজন পুলিশকর্মকর্তা তদন্ত করছেন। অভিযুক্তদের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
সাতক্ষীরায় ব্যাপক ভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ রফিকুল ইসলাম, কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) সাতক্ষীরা জেলা শ্যামনগর উপজেলার প্রবাহমান আদি যমুনা নদীর পানি শুকিয়ে যাওয়ায় বাজারের বর্জ্য ফেলার ফলে ব্যাপক ভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। শুধু তা নয় বাধাগ্রস্থ হচ্ছে পানি নিষ্কাশনে। অতীতে প্রবাহমান আদি যমুনার নদী ভরা যৌবনে দুকূলে আছড়ে পড়া ঢেউ আর জোয়ার ভাটার ¯্রােত হয়তো অনেকে দেখেছে, সে সময় অনেকে পালতোলা নৌকায় চড়েছে ধরেছে বৈঠা। শ্যামনগর উপজেরার প্রবাহমান আদি যমুনার রয়েছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। তাই অনেকে দুঃখ প্রকাশ করে এ প্রতিবেদক কে জানায়, বর্তমান সময়ে প্রবাহমান আদি যমুনা তার পুরাতন যৌলুস হারিয়েছে। হারিয়েছে ¯্রােত আর ঢেউ। অবৈধ দখল গ্রাম করেছে যমুনা নদীকে। অবৈধ দখলের ফলে যমুনা নদী একটা সরু ড্রেনে পরিনত হয়েছে। যা বর্ষা হলেই পানিতে ভরে যায়, সৃষ্টি হয় জলাবদ্ধতা। আবার সুষ্ক মৌসূমে যমুনার একবারে শুকিয়ে যায়। সে সময় কৃষকরা ফসল উৎপাদন করতে পারে না। কারণ পানির অভাবে সেচ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয় তারা। বর্তমানে যমুনার সৃষ্টি হয়েছে নতুন সমস্যা একদিকে নেই তার প্রবাহ অন্যদিকে অসচেতন মানুষেরা নিয়মিত ময়লা আবর্জনা ও বজ্য ফোলার কারনে যমুনা নদীতে সৃষ্টি হচ্ছে মারক্তক দুর্গন্ধ। আর শ্যামনগর বাজারের পরিবেশ হচ্ছে ব্যাপক ভাবে দূষিত। উপজেলার বুক চিরে বয়ে গেছে যমুনা নদী। যমুনা নদী দিয়ে একদিন চলত লঞ্চ, স্টিমার, ট্রলার, বিভিন্ন নৌকাসহ নৌয়ান। সে যমুনাতে বইছে না আগের মতো জোয়ার ভাটা। এখন পরিণত হয়েছে ডাষ্টবিনে। শ্যামনগরের জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের সহযোগিতায় উপজেলার বাজারসহ কয়েকটি গ্রামের হাজার হাজার বিঘা ফসলী জমি, মৎস ঘেরের পানি নিস্কাশনের জন্য যমুনা নদীর উপর তৈরি হয় ব্রীজ। আর ব্রীজের আশপাশে তৈরি হয়েছে দোকান পাট। বাজারের ও দোকান পাটের ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে যমুনাতে। ফলে যমুনা নদী ভরাট হয়ে যাচ্ছে। বর্ষার মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির মাধ্যমে বন্যায় পরিণত হবে এলাকাটি এমনকি অভিযোগ ভুক্তভোগী মহলের। ইতিমধ্যে শ্যামনগর উপজেলার বিভিন্ন বে-সরকারী সংগঠন আদি যমুনার জোয়ার ভাটা পূর্বেররুপ নিতে পারে সে জন্যে মানব বন্ধন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে কয়েকবার। কিন্তু কোন কাজ হয়নি তাছাড়া কিছু প্রভাবশালী মানুষ যমুনা নদীর মধ্যে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তুলেছে। সবাই যমুনা নদীতে যে যার মতো বর্জ্য ময়লা ফেলছে। এ সমস্ত ফেলা বদ্ধ না হলে আদি যমুনা তার প্রান ফিরে পাবে না ধারনা করেছেন এলাকার র্কষক সচেত মহল। এভাবে যমুনা নদী ভরাট হতে থাকলে প্রভাব শালীদের দখল সত্ব কেড়ে যাবে। যতই যমুনার উপরে পাশবিক অত্যাচার বন্ধ আর তার বহমান ফিরে পেতে জন প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শ্যামনগরের সকল সচেতন নাগরিক।
|
|
|
|
|