সেন্টমার্টিন সমুদ্র সৈকতে লেখক ও তার পরিবার
(পঞ্চম পর্ব)
”মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। ভ্রমন করে না অথবা করতে চায় না এমন মানুষ এই দুনিয়ায় পাওয়া বড় দুস্কর। একঘেঁয়ে জীবন যাত্রায় মানুষ যখন হাঁপিয়ে ওঠে, তখন তার অন্তত কিছু সময়ের জন্য একটু আরাম, একটু বিরাম ও একটু শান্তির খোঁজে বেরিয়ে পড়েন সৃষ্টিকর্তার অপারময় সৃষ্টির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য দেখার জন্য কাছে বা দূরে কোথাও। একজন পর্যটক হিসেবে আপনি ঘুরে আসতে পারেন সারা বিশ্ব। ঢাকার বাইরে ঘুরে আসতে চান? তবে স্বল্প মূল্যে পরিবার নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন দেশের দর্শনীয় স্থানসমুহ। আমাদের সুজলা-সুফলা নদী মাতৃক এই দেশের মধ্যেই রয়েছে পাহাড়, পর্বত সমুদ্র, জঙ্গল, স্থাপত্য, পুরাকীর্তি ইত্যাদি। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য রয়েছে বিনোদনের নানান ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক সম্পদের অফুরন্ত সম্ভার। পর্যটক হিসেবে আপনি যদি ভ্রমণ করতে চান, মাথার ওপর নীল চাঁদোয়া, মেঘে-বৃষ্টিতে ভেজা বাতাস, পায়ের নিচে অন্য এক পৃথিবী উপভোগ করতে চাইলে ঘুরে আসতে পারেন নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য চট্রগ্রামের রাঙ্গামাটি, বান্দরবন, খাগড়াছড়ি এবং কক্সবাজার ও সেন্টমার্টিন। ঘুরে এসে ভ্রমণ পিপাসু পাঠকদের উদ্দেশে লিখেছেন- মোঃ রিয়াজ উদ্দিন
পাঠকদের ভ্রমনের সুবিধার্থে প্রাকৃতিক সুন্দর্যের পর্যটন স্থল সেন্টমার্টিন বিস্তারিত তুলে ধরা হলোঃ
সেন্টমার্টিন ঃ ছুটিতে বেড়িয়ে আসার জন্য পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজারের তুলনা হয় না। সারি সারি ঝাউবন, বালুর নরম বিছানা, সামনে বিশাল সমুদ্র। কক্সবাজার গেলে সকাল-বিকাল সমুদ্রতীরে বেড়াতে মন চাইবে। আর রয়েছে নীল জলরাশির গর্জন। মহেশখালী, কুতুবদিয়া, সোনাদিয়া, শাহপরী, সেন্টমার্টিন কক্সবাজারকে করেছে দৃষ্টিনন্দন ও আকর্ষণীয়। এ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে মাতা মুহুরী, বাঁকখালী, রেজু, কুহেলিয়া ও নাফ নদী। পর্যটন, বনজসম্পদ, মৎস্য, শুঁটকি, শামুক, ঝিনুক ও সিলিকাসমৃদ্ধ বালুর জন্য কক্সবাজারের অবস্থান তাই ভ্রমণবিলাসী পর্যটকদের কাছে সবার শীর্ষে।
এখানে গিয়ে বেড়াতে পারেন হিমছড়ি ও ইনানী বিচে। কক্সবাজারের ১২ থেকে ২২ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে রয়েছে এ দুটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান। যারা ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যেতে চান তারা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার অথবা সরাসরি বাসে কক্সবাজারে যেতে পারেন। এসি ও নন এসি, ডিলাক্স ও সাধারণ বাস সরাসরি পরিবহনের ভাড়া পড়বে ৩৯০-৭৩০ টাকা পর্যন্ত। বিচ কক্সবাজারে রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের বেশকটি হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট। সর্বনিম্ন ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ সাত হাজার টাকায় কক্সবাজারে রাতযাপন করা যায়। অন্যান্য হোটেল রেস্ট হাউসের ভাড়া প্রায় নির্ধারিত। তবে কক্সবাজারে ভ্রমণের আগে ফোনে যোগাযোগ করে বুকিংমানি পাঠিয়ে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ভালো। এ ছাড়া বেড়াতে পারেন সেন্টমার্টিন। আকাশের নীল আর সমুদ্রের নীল সেখানে মিলেমিশে একাকার। তীরে বাঁধা নৌকা, নান্দনিক নারিকেল গাছের সারি আর ঢেউয়ের ছন্দে মৃদু পবনের কোমল স্পর্শ- এটি বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন প্রবাল দ্বীপ। বাংলাদেশের যে কোনো স্থান থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যেতে হবে কক্সবাজার। কক্সবাজার থেকে প্রথমে জিপে চড়ে টেকনাফ, টেকনাফ থেকে সি-ট্রাক, জাহাজ কিংবা ট্রলারে চড়ে পৌঁছবেন সেন্টমার্টিন। সেখানে থাকার জন্য বেশ উন্নতমানের কয়েকটি হোটেল ও কটেজ রয়েছে। এ ছাড়া আরও আছে বিচ ক্যাম্প শীর্ষে। এখানে গিয়ে বেড়াতে পারেন হিমছড়ি ও ইনানী বিচে। কক্সবাজারের ১২ থেকে ২২ কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে রয়েছে এ দুটি আকর্ষণীয় পর্যটন স্থান। যারা ঢাকা থেকে সরাসরি কক্সবাজার যেতে চান তারা ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার অথবা সরাসরি বাসে কক্সবাজার যেতে পারেন। এসি ও নন এসি, ডিলাক্স ও সাধারণ বাস সরাসরি পরিবহনের ভাড়া পড়বে ৩৯০-৭৩০ টাকা পর্যন্ত। বিচ কক্সবাজার রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের বেশ কয়েক টি হোটেল,
মোটেল ও রিসোর্ট। সর্ব নম্ন ৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ সাত হাজার টাকায় কক্সবাজারে রাতযাপন করা যায়। অন্যান্য হোটেল রেস্ট হাউসের ভাড়া প্রায় নির্ধারিত। তবে কক্সবাজার ভ্রমণের আগে ফোনে যোগাযোগ করে বুকিংমানি পাঠিয়ে আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা ভালো। এ ছাড়া বেড়াতে পারেন সেন্টমার্টিন। আকাশের নীল আর সমুদ্রের নীল সেখানে মিলেমিশে একাকার। তীরে বাঁধা নৌকা, নান্দনিক নারিকেল গাছের সারি আর ঢেউয়ের ছন্দে মৃদু পবনের কোমল স্পর্শ- এটি বাংলাদেশের সেন্টমার্টিন প্রবাল দ্বীপ। বাংলাদেশের যে কোনো স্থান থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে যেতে হবে কক্সবাজার। কক্সবাজার থেকে প্রথমে জিপে চড়ে টেকনাফ, টেকনাফ থেকে সি-ট্রাক, জাহাজ কিংবা ট্রলারে চড়ে পৌঁছবেন সেন্টমার্টিন। সেখানে থাকার জন্য বেশ উন্নতমানের কয়েকটি হোটেল ও কটেজ রয়েছে। এ ছাড়া আরও আছে বিচ ক্যাম্প।
সেন্টমার্টিনের নীলেঃ
আমরা যে রিসোটে রাত্রিযাপন করি, সেই রিসোটের সামনে ঠিক ৬টায় এসে হাজির কক্সবাজার-টেকনাফে আমাদের নিয়ে যাওয়া শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মিনি বাসটি। অন্যান্য যাত্রীদের নিয়ে বাস শহর ছাড়ে আরও ঘণ্টা খানেক পর। প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা পর আমরা পৌঁছলাম টেকনাফ লঞ্চঘাটে। পথিমধ্যে ট্যুর গাইড সাইদুল গাড়িতে বসে দেখালেন বেশ কিছু রোহিঙ্গা ক্যাম্প। আগত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের কেউ কেউ ক্যাম্প ছেড়ে স্থানীয়দের মাঝে মিশে গেছে বলে তথ্য দেন। দু`একজন আবার নানা অপরাধে জড়িয়েছে বলেও জানান। সাড়ে ৯টায় ছাড়ল লঞ্চ, আমাদের আসন বরাদ্দ ছিলো কেয়ারি সিন্দবাদ জাহাজের তৃতীয় তলার শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ভি আই পি কক্ষে। নিচতলা ও দ্বিতীয় তলা লোকে লোকারণ্য হলেও তৃতীয় তলার বেশ কিছু আসন শূন্য পড়ে আছে। পাশের টেবিলেই খুঁজে পেলাম দুইজন বিদেশিনীকে। নিজ থেকেই তার পরিচয় জানতে চাই। যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর বাসিন্দা অ্যালেক্সজান্ডার জানান, নেপাল থেকে তারা বাংলাদেশে এসেছেন। সেন্টমার্টিনে এক রাত থেকে দিবা-রাত্রির সৌন্দর্য উপভোগ করতে চান। আমাদের পাশেই আসন নেন নোয়াখালীর কামাল উদ্দিন। পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময় করে চা-চক্র শেষেই লঞ্চের পেছনে দাঁড়িয়ে উড়ে চলা গাঙচিল আর প্রাকৃতিক পরিবেশের ছবি তোলা শুরু করেন মোবাইল ক্যামেরায়। অসাবধানতাবশত নদীতে পড়ে যায় তার ফোনটি। যাত্রার শুরুতেই মোবাইল ফোন হারিয়ে বেশ মুষড়ে পড়েন স্বামী-স্ত্রী। পূর্ব নির্দেশনা থাকায় উক্ত জাহাজের ক্যাপ্টেন মনিরুদ্দিন আমাদেরকে আমন্ত্রণ জানান জাহাজের সামনে মাস্টার ব্রিজে বসে সমুদ্রের নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্যে। আমরা ক্যাপ্টেনের আতিথিয়তা গ্রহন করলাম। এজন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি জাহাজের ক্যাপ্টেন ও কর্মকর্তা কর্মচারীদের। তাদের আন্তরিক আথিতেয়তার জন্য।
নদী আর সমুদ্রের বুকে দুলতে দুলতে প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর জাহাজ ভিড়ল সেন্টমার্টিন দ্বীপে। দ্বীপের সেতুতে অগণিত মানুষের সারি দেখে মনে পড়ে ঈদ যাত্রার বাসস্টেশন বা রেলওয়ে স্টেশনের দৃশ্য। যেন মানুষের ঢল নেমেছে সেন্টমার্টিনে।
জাহাজ থেকে নামতেই ছোটখাটো গড়নের এক কিশোরকে গাইড হিসেবে সঙ্গী করার জন্য আমাদের আমন্ত্রণ জানায়। পুরো সেন্টমার্টিন আমাদের ঘুরে দেখাবে। বিনিময়ে খুশি মনে যা দেব তাতেই হবে। আলাপান্তে জানা গেল, অষ্টম শ্রেণিপড়ূয়া কিশোরের নাম সাইফুল ইসলাম। পিতৃহীন অভাবের সংসার চালাতে তাকে এ পেশা বেছে নিতে হয়েছে। পর্যটন মৌসুমে স্কুলে তেমন যাওয়া হয় না। শিক্ষার চেয়ে ক্ষুধার তাড়না যে মুখ্য। সে আরও জানায়, তার মতো অনেকেই শুস্ক মৌসুমে পর্যটকদের গাইডের কাজ করে জীবন চালায়। অভাবের তাড়নায় অনেকেই এরই মাঝে স্কুলকে বিদায় জানিয়েছে। তার মতো কেউ কেউ আবার পড়াশোনায় থেকেও স্কুলে নেই। তাকে আমরা বললাম পুরো দ্বীপ আমাদের চেনা। এখানে আমাদের একটা বাংলোও আছে। এ কথা শুনে সে অন্য ট্যুরিস্টদের কাছে চলে গেলো।
পুরো দ্বীপকে স্থানীয়রা আবার চারটি নামে পৃথক অস্তিত্ব তৈরি করেছে। ব্রিজ থেকে নেমেই দ্বীপের যে অংশ দেখা যায় স্থানীয়রা এর নামকরণ করেছে বিচ। এ অংশেই অনেক প্রবাল দেখা যায়। জোয়ার থাকলে প্রবালের দেখা মেলে না। আমরা পানিতে নোঙর করা জেলে নৌকা আর বহমান নীল জলরাশির ছবি তুলতে থাকি । জানা যায়, সেন্টমাটিনের এই দ¦ীপে কিছুদিন আগে ফুটবল খেলতে গিয়ে চোরাবালিতে তলিয়ে যায় তরুণ এক পর্যটক। যা হোক, আমরা ভ্যানে করে আমাদের কোণাপাড়া বাগান বাড়ি রিসোর্টে যাই। সেখানে বিশ্রাম নিয়ে নিজস্ব গাছের সবুজ ডাবের পানি খেয়ে নেমে পড়লাম সমুদ্রে । আমরা এই সমুদ্রের নোনা জলে, মাতাল করা ঢেউয়ের তালে তালে দুপুরের গোসল সেরে নিলাম ।
এরপর বিচ এলাকা ছেড়ে আমরা এগিয়ে গেলাম নারিকেল বাগান এলাকায়। অসংখ্য নারিকেল গাছ থাকায় স্থানীয়রা এমন নামকরণ করেছে। নারিকেল বাগানের গোড়ায় স্তূপাকার পাথরে দাঁড়িয়ে স্মৃতিকে ক্যামেরাবন্দি করে নেন অনেকেই।
নারিকেল বাগানের পরেই দারুচিনি দ্বীপের অবস্থান। প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ তার ‘দারুচিনি দ্বীপ’ ছবির শুটিং এখানে করেছিলেন বলেই এ স্থানটির এমন নামকরণ। এদিকটায় পানি বেশ নিচে থাকায় বেশ কিছু ভাসমান প্রবাল দেখা যায়। সেই প্রবালের ওপর দাঁড়িয়ে এ পথে চলা প্রায় সবাইকেই ছবি তুলতে ব্যস্ত পাওয়া গেল। দারুচিনি দ্বীপ থেকে কিছুটা এগিয়ে গেলেই পাওয়া যায় মূল সৈকত। প্রবাল না থাকায় পুরো দ্বীপের এখানটাতে সৈকতের আমেজ পাওয়া যায়। পর্যটকরা অনায়াসে সমুদ্র স্নান সারেন। এখানে মানুষের উপস্থিতিও সর্বাধিক। সৈকতের ঠিক ওপরেই হুমায়ূন আহমেদের বিখ্যাত `সমুদ্র বিলাস`। ছবির শুটিং করতে এসে তিনি তৈরি করেছিলেন `সমুদ্র বিলাস`। এখন নির্দিষ্ট ভাড়ায় এখানে থাকার সুযোগ পান আগন্তুকরা। এখন এটি সেন্টমার্টিনের অন্যতম দর্শনীয় স্থাপনা। সমুদ্রের সামনের `সমুদ্র বিলাস`কে সাক্ষী রেখে ছবি তুলতে মানুষের জটলা দেখা গেল। দশ বছর আগে যখন আমার স্ত্রীকে নিয়ে এই সেন্টমাটিনে হানিমুনে গিয়েছিলাম তখনও `সমুদ্র বিলাস` নিয়ে পর্যটকদের এমন উচ্ছ্বাস চোখে পড়েছিল। `সমুদ্র বিলাস`-এর কাছেই শুঁটকি পল্লী । তবে দামটা বেশ চড়া মনে হলো। এক বিক্রেতা জানান, কোনো ধরনের রাসায়নিক ছাড়া প্রাকৃতিক উপায়ে শুঁটকি প্রক্রিয়াকরন হয় বলেই দামটা একটু বেশি।
আমাদের মতো স্বল্প সময়ের অতিথিদের জন্য সেন্টমার্টিন এক আনন্দ কানন। কিন্তু স্থানীয়দের কাছে এটি এক বিচ্ছিন্ন জনপদ। সভ্যতার এ যুগেও বৈদ্যুতিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত তারা। জীবনের অনেক মৌলিক চাহিদা থেকেও বঞ্চিত। প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকার সংগ্রামে সদা ব্যস্ত দরিদ্র এই দ্বীপবাসী। কবে সভ্যতার আলোয় আলোকিত হবে- এ স্বপ্ন দেখতে দেখতেই সময় বয়ে যায় তাদের। বিশ্বের একমাত্র এই প্রবাল দ্বীপ নিয়ে আমাদের পর্যটন খাত যেভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারত, সেন্টমার্টিনে সে অবকাঠামোগত ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। পরিবেশের ভারসাম্যের দোহাই দিয়ে সরকারিভাবে উচ্চতর ভবন নির্মাণের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া আছে। আর এ সুযোগে অপরিকল্পিত অনেক হোটেল-রেস্তোরাঁ তৈরি করে নষ্ট করা হচ্ছে নৈসর্গিক সৌন্দর্য।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরাপত্তা জনিত কারণে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে ২৮-৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সকল ধরণের জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকবে বিধায়, আমরা রাত্রি যাপন না করেই ঐদিন দুপুরে সামুদ্রিক নানান ধরনের মাছ ও বার্মিজ পাহাড়ি মোরগ দিয়ে খাবার খেয়ে আবারো ৩টার মধ্যে চলে এলাম জাহাজ ঘাঁটে। জাহাজ যথারিতি ৩টার পর ছেড়ে দিলো। বিকেল, সন্ধ্যা ও রাতের সমুদ্রের দৃশ্য দেখতে দেখতে আমরা চলে এলাম টেকনাফে। গভীর সমুদ্রে আমাদের সঙ্গী ছিলো অসংখ্য সামুদ্রিক সাদা গাংছিল পাখি। জাহাজে থাকা পর্যটকদের প্রতিনিয়ত আনন্দ যুগিয়েছে এই গাংছিল পাখির কলরব। টেকনাফ থেকে কক্সবাজার প্রায় ৮০ কিলোমিটার পথ। অধিকাংশ পথই নব-নির্মিত মেরিন ড্রাইভ এলাকায়। আসা-যাওয়ার পথে রাস্তার একদিকে পাহাড়ের সাড়ি, অন্যদিকে সমুদ্রের ছন্দময় ঢেউয়ের নান্দনিক দৃশ্য মন কেড়ে নেয় সবার।
বিঃদ্রঃ প্রিয় পাঠক, সৌন্দর্যের লীলাভূমি কক্সবাজার, ভ্রমনের বিস্তারিত জানতে নিয়মিত পড়–ন পরবর্তী পর্বগুলী।
লেখক: সম্পাদক, মানবাধিকার খবর
Email-md.reaz09@yahoo.com