|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
তথ্য ও যোগাযোগ
মোঃ মেহেদি হাসান (সনি)
সূদুর প্রাচীনকালে প্রচলিত ছিল ও (আই) অর্থ্যাৎ ইনফরমেশন বা তথ্য । মানুষ যখন শিকারে যেত তখন শিকার কীভাবে করতে হবে , কী শিকার করতে হবে এ সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে শিকারে যেত । শিকার যুগের পর আসে কৃষি যুগ । এ যুগে তারা সংগ্রহ করত কৃষি বিষয়ক । কীভাবে ফসলের বীজ বপন করতে হয় , কোন সময়টায় ফসল বুনতে হয় । তখন মানুষ কীভাবে ফসল কাটতে হয় ইত্যাদি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতো । পরবর্তী সময় কালে প্রাপ্ত তথ্যকে সংগ্রহ করে রাখার জন্য টেকনোলজি বা প্রযুক্তির সহায়তা নিতে লাগলো । বিভিন্ন মাধ্যমে তথ্যকে ধরে রাখার জন্য প্রযুক্তির সহায়তার নানান ধরনের আবিস্কার হলো। তথ্যকে পক্রিয়াজাত করা , সংস্কার করা , সংরক্ষন করার জন্য প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়তে লাগলো । এই সময়কে আইটি বা তথ্য প্রযুক্তি বলে ধরে নেয়া যেতে পারে। তথ্যই শক্তি ঃপৃথিবীতে বেঁচে থাকার স্বার্থে তথ্যের প্রয়োজন। যার নিকট যত বেশি তথ্য রয়েছে সে তত বেশি শক্তিশালী । পরিবেশ, খাদ্য, জীবন-ব্যবস্থা, প্রতিবেশী , আবহাওয়া,কর্ম, সুযোগ, শিক্ষা গবেষণা, প্রতিযোগি ইত্যাদি সম্পর্কে আমাদের তথ্য একান্ত প্রয়োজন যদি আমাদের কাছে তথ্য আসা বন্ধ হয়ে যায় তবে হয়তো আমাদের বেঁচে থাকা সম্ভব হবে না । বেঁচে থাকার তাগিদে প্রযুক্তি যে তথ্য সংগ্রহ সাহায্য করে তা নিসন্দেহে মূল্যবান , কারণ এক সময় বলা হতো জ্ঞানই শক্তি বর্তমানে বলা হয় তথ্যই শক্তি । সম্প্রতি বাংলাদেশের উপকুলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডর এর আঘাতে লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে সমগ্র উপকূল কিন্তুু ৯১ এর জলোচ্ছাসের চেয়ে প্রাণহানী ঘটেছে তুলনা মূলক কম এর একটি মাত্র কারণ হল যথাসময়ে জনগননের নিকট পর্যাপ্ত তথ্য প্রবাহ। সভ্যতার বিকাশের ক্ষেত্রে তথ্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আর সেই তথ্য আমাদের সকলের প্রয়োজন , প্রয়োজন তথ্যের মহাসড়কে প্রবেশ করা । পরবর্তীতে অর্থাৎ বর্তমান সমযে আইটির সাথে যুক্ত হয়েছে কমিউনিকেশন অর্থাৎ যোগাযোগ । আইটির সাথে কমিউনিকেশন যুক্ত হয়ে এমন এক প্রত্যয় গড়ে তুললো যা সকলের সামনে খুলে দিল এক নতুন দিগন্তের । তথ্যেও সহজ প্রাপ্যতা , অবাধ প্রবেশধিকার ইত্যাদি প্রত্যয় নিয়ে গড়ে উঠলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি । সাধারণত প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্যের আদান প্রদান বা যোগাযোগ করাকেই বলা হচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি । আর এ কাজের জন্য নিত্যনতুন উদ্ভাবন করা হচ্ছে নানান ধরনের প্রযুক্তি পন্য । এসব তথ্যকে নিয়ে যাচ্ছে মানুষের হাতের নাগালে , ফলে যোগাযোগ হয়ে যাচ্ছে সহজ থেকে সহজতর । তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিকে আমাদের শিক্ষার সম্পর্কিত করা হচ্ছে তখন আমাদের সামনে এসে দাড়াচ্ছে দুটো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ঃ ১। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা এবং ২। শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি । অনেকেই এই বিষয় দুটোকে একসাথে গুলিয়ে ফেলেন । কিন্তুু বিষয় দুটো সম্পূর্ণ পৃথক । প্রথমটি একটি বিষয় হিসেবে দেখা হচ্ছে, যেমন পদার্থ বিজ্ঞান , সাধারন গনিত ইত্যাদি । দ্বিতীয়টি পাঠদানের সময় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করা । আমাদের বর্তমান শিক্ষানীনিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযক্তিকে শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়ে আসা হয়েছে । এরই ধারাবাহিকতায় সরকার ষষ্ঠ শ্রেনিতে বিষয় হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি শিক্ষা নামে একটি বিষয় যুক্ত করেছে । এখন দেখা যাক ,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বা আইটি শিক্ষা এবং শিক্ষায় আইসিটি এর মধ্যে পার্থক্যটা কী ? সহজ কাথায় বলতে গেলে , যখন আইসিটি আরো কিছু ব্যবহার দেখতে পাই ,যেমন- শিক্ষামূলক বিভিন্ন ওয়েবসাইট , স্মার্ট ক্লাশরুম , ই-লাইব্রেরী , মোবাইল মাধ্যমে ইংরেজী শেখানো , ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে ক্লাশ নেয়া , স্টুডেন্ট ডেটাবেস , ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি । প্রযুক্তি মানুষকে পরিবর্তিত বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা তথ্য জ্ঞান দক্ষতা কৌশল প্রবণতা এবং যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ করে তোলে। কার্ল মার্কেসের ভাষায় বিশ্বের প্রযুক্তি হচ্ছে মানুষের প্রতিদিনের সাথী । মানুষ এই প্রযুক্তির সাথে প্রতিদিন অব্যাহতভাবে গায়ে গায়ে লেগে আছে । এ লেগে থাকা হয় জ্ঞান -দক্ষতা বা শারীরিক আকারে চলতে পারা। সোজা সরল ও সংক্ষেপ বলা যায় প্রযুক্তি মানুষকে যোগায় জীবন সহায়ক ব্যবস্থা বা লাইপ সার্পোট সিস্টেম , যে কারণে মানুষ পৃথিবীতে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেয়ার শক্তি অর্জন করে। তথ্য প্রযুক্তির কল্যানে মানুষের জীবন হয়েছে এখন অনেক সহজ সরল এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় । ঘরে বসে বিশ্ব ভ্রমন , মার্কেটিং ব্যাংকিং বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস কিংবা ভার্চুয়াল ওযার্ল্ডে ঘোরা ঘুরি করা এখন একেবারে সহজ। তাইতো এখন মানুষের এমন কোন কাজ নেই যেখানে প্রযুক্তির ছোয়া লাগেনি । একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির পৃথিবীর দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য খুলে দিয়েছে অপার সম্ভাবনার দুয়ার । ইতিহাসের ধারাাবাহিকতায় কৃষি বিল্পব , শিল্প বিল্পবের পর বর্তমান পৃথিবীর নতুনতর এক বিল্পব মুখোমুখি হতে চলেছে যার নাম তথ্য বিল্পব ।একথা বলার পর অপেক্ষা রাখে না যদি এই শতাব্দীকে নতুন কোন নামে অভিহিত করা হয় তবে তার জন্য উপযুক্ত । বর্তমান শতাব্দীর গ্লোবালইজেশনের ফলে একটি দেশের উন্নয়ন এবং দারিদ্র বিমোচনের ক্ষেত্রে তথ্য এবং যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ামকের ভূমিকা পালন করছে । তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি হাতিয়ার হচ্ছে কম্পিউটার বা ইন্টারনেট । কমিপউটার এবং ইন্টারনেটের বদৌলতে পৃথিবী এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিনত হয়েছে । বলা চলে পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয় নয আঙ্গুলের ডগায় চলে এসেছে । কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যপক ব্যবহার এবং সফল প্রয়োগ যে কোন অনুন্নত দেশকে উন্নত করতে অগ্রনী ভূমিকা পালনে সচেষ্ট ।কম্পিউটার এমন এক ধরনের প্রযুক্তি যার মাধ্যমে শিক্ষা , চিকিৎসা , বিনোদন , অর্থনীতি , রাজনীতি , বিনিয়োগ ,ব্যবসা , বানিজ্য , পরিকল্পনা , গবেষণা, নিযন্ত্রণ , ডিজাইন , ইত্যাদি বিষয়াকে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সংযুক্ত করা সম্ভব। আর এই তথ্য প্রবাহ একটি সম্বন্বিত সূত্রে গ্রথিত হয়ে পৃথিবীর সকল জাতি , ধর্ম , বর্ণ - গোষ্ঠির মানুষকে সম্বন্বিত তথ্য প্রবাহের সঙ্গে অবিরাম সংযুক্ত রাখতে সচেষ্ট । আমরা দেখেছি বিংশ শতাব্দীতে তথ্যেও আদান প্রদান হয়েছে টেলিগ্রাফ, টেলিফোন,টেলিফ্যাক্স , টেলেক্স, পোষ্টাল, কুরিয়ার সার্ভিস ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে কিন্তু বর্তমানে বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব অগ্রগগতি সাধিত হওয়ায এখন আর এই সমস্ত ম্যাধ্যম নতুন কিছুনয়। এখন প্রেরক প্রতিটি ক্ষেত্রেই কত দ্রুত ও কত সুষ্ঠভাবে প্রয়োজনীয় বার্তা প্রাপকের কাছে পৌছাতে পারবে এই ভাবনায় এখন উদ্ভাবকের ভিত্তি হিসাবেকাজ করছে। কম্পিউটার এবং স্যাটেলাইট প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে তথ্য আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে যে পদ্ধতিটি অভূতপূর্ব,যুগান্তকারী অকল্পনীয় ও অবিশ্বাস্য বিল্পব সাধিত করেছে তার নাম ইন্টারনেট । আজ সমস্ত উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশ ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে বা তথ্যের মহাসড়কে প্রবেশ করে চলেছে। কম্পিউটার ভিত্তিক তথ্য বিনিময়ের অপূর্ব এই প্রায় সব ধরনের তথ্য ব্যবস্থা এই জি আই ্আই এর অন্তভুক্ত; তথ্যেও এই মহা রাজ পথে যার অবস্থান যত দৃঢ় হবে ঠিক সেই অনুপাতে তথ্য আর জ্ঞানের ভান্ডার চলে যাবে তার নিয়ন্ত্রনে , যা ছাড়া ভবিষ্যতে টিকে থাকা সম্ভব নয় । তথ্যের মহাসড়কে ইন্টারনেট একত্রিত করে চলেছে -, টেলিফোন, কনফারেন্সি, সরাসরি বিপনন, শিক্ষা গবেষনা, অফিস ব্যবস্থাপনা, টিভি সম্প্রসার, প্রতিরক্ষা ইত্যাদিকে, যার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যটি সংগ্রহ করতে পারেন অতিদ্রুত প্রায় নিখরচায় ঘরে বসেই । মুহূর্তের মধ্যেই বিশ্বের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত বিভিন্ন ব্যাক্তিগন বসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে জরুরী মিটিং সম্পূন্ন করতে পারেন । আপনি একজন আইনজীবি আদালতে বসেই মামলা নিয়ে সমস্যায় ভুগছেন অথবা আপনি একজন ডাক্তার রোগীর রোগ নির্নয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন এসব সমস্যার সমাধান দিতে পানে ইন্টারনেট । আপনি আপনার সমস্যা প্রয়োজনীয় ঠিকানায় মেইল করে জেনে নিতে পারেন । ঘরে বসেই বিখ্যাত সব লাইব্রেরী ক্যাটালগ খুজে দেখতে পারেন, জেনে নিতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় উপকরণটি সেখানে আছে কিনা । আমেরিকার লাইব্রেরী অব কংগ্রেস তৈরী করেছে লাইব্রেরী অব কংগ্রেস মার্ভেল:সংক্ষেপে এলসি মার্ভেল যার মাধ্যমে খুজে দেখতে পারেন তাদের সংগৃহিত দলিলপত্র । এমন আরো অনেক তথ্যের ভান্ডার রয়েছে ইন্টারনেটের ইনফরমেশন সুপার হাইওয়েতে যেমন ঘরে বসে একজন সাহিত্যরসিক ডুবে যেতে পারেন আয়ারল্যান্ডেরন সাহিত্যতের আর্কাইভের চকিউরিয়াতেচ পেতে পারেন একজনস্থাপত্য শিল্পী ভেনিসের স্থাপত্য শিল্পী ভেনিসের স্থাপত্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশধীকার । এসব বিষয়ে আগ্রহ না থাকলে নিছক ব্যাক্তিগত সখের খবর জেনে নিতে পারেন । হয়তোবা অনীল ও নীলার ভালোবাস বিনিময়ের ঘটতে পারে আপনার জীবনে অনুরুপ ঘটনা । এক সময়ে বলা হতো কম্পিউটার চলে এলে অনেকের চাকুরী যাবে ,বেকারত্ব বাড়বে কিন্তু আপনার বাস্তবে কথাটির সম্পূর্ণ বিপরীত ঘটতে চলেছে-, কম্পিউারই দিতে পারে লক্ষ লক্ষ বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মেও সংস্থান । দেশ এবং বিদেশের আইটিটি প্রফেশনালদের চাহিদা অনেক বেশী । ২০২০ সালের মধ্যে বিশ্বে প্রায় ৬ মিলিয়ন আইটি পেশাজীবির প্রয়োজন । শুধুমাত্র ভারতেই প্রয়োজন হবে ৫লাখ আইটি প্রফেশনাল (ন্যসকমের স্ট্যাডি অনুযায়ী)। বাংলাদেশে যদি ৬ মিলিয়নের মধ্যে ৫০,০০০ আইটি প্রফেশনাল সরবারহ করতে পারে তাহলে দেশের বর্তমান রেমিট্যান্স দিগুন করা সম্ভব । আউটসোর্সিং ঃবর্তমান বিশ্বায়নে সারা পৃথিবীতে জুড়ে চলছে আইসিটির আউটসোর্সিং জোয়ার । আইটিসির উন্নয়নের ধারাকে অব্যহত জন্ম নিয়েছে নতুনতর এক অর্থনীতি যার নাম জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনিতি বা নলেজ ইকোনমি। জ্ঞান ভিত্তিক অর্থনীতি বিকাশের সাথে সাথে আমেরিকার , ইউরোপ কিংবা বিশ্বের উন্নত দেশ গুলোতে প্রয়োজন দেখা দিচ্ছে বিপুল পরিমান তথ্য প্রসেসিং বা প্রক্রিয়াকরণ । যার ফলে উন্নয়নশীল দেশ সমূহে আইসিটি এনাবল্ড সার্ভিসেস কে কাজে লাগিয়ে অর্জন করছে বিপুল পরিমান বৈদিশিক মুদ্রা অর্জন এর ফলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে দেশের বিপুল সংখ্যক প্রশিক্ষিত বেকার জনগোষ্ঠির। কম্পিউটার জগৎ আগষ্ঠ ২০১৬ সালের সংখ্যায় প্রকাশিত একটি রির্পোটে দেখা যায়– বাংলাদেশের বার্ষিক আয়ের সবচেয়ে বড় অংশটি আসে পোশাক শিল্প থেকে যার পরিমান প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা । অন্যদিকে বিশ্বের হেলথকেয়ার ইনফরমেটিক্সের (প্রটোকল ডিজাইন ডাটাবেজ, টেলিমেডিসিন, টার্মিনোলজি ম্যানেজমেন্ট, কম্পিউটিং এবং মেডিক্যাল ট্রান্সক্রিপশন) প্রায় ২০ লাখ ১কোটি টাকা । আর আমরা যদি সেই একলাখ কোটি টাকা । এর যদি ২০ শতাংশের ছোট একটা অংশ ও মেডিক্যাল ট্রান্সক্রিপশনের হয় তাহলে এর বাজার প্রায় ১ কোটি টাকা । আর আমরা যদি সেই এক লাখ ২ কোটি টাকার ২০ ভাগের একটি একটা ক্ষুদ্র অংশও প্রতিযোগিতা করে নিতে পারি তবে এর পরিমান দাড়াবে ৫ হাজার কোটি টাকা । আউটসোর্র্সিং এ বাংলাদেশের সম্ভবনার কারণ হিসেবে যে বিষয় গুলো দেখা যায় তা হলো-; ক্স ভৌগলিক ভাবে বাংলাদেশের এবং দক্ষিণ এশিয়াস্থ দেশ গুলো ১২ ঘন্টা টাইম জোন এ অন্তভ্ক্তু এর ফলে যখন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপে রাত্রি যার ফলে প্রায় ২৪ ঘন্টা কাজ করার সুবিধা পাচ্ছে বাংলাদেশীরা । ক্স আমাদের রয়েছে প্রচুর প্রশিক্ষিত তথ্য প্রযুক্তিবিদ এবং ইংরেজী ভাষা জানা এক ঝাঁক উদ্দমী তরুন তরুনী যারা ক্রমবর্ধমান চাহিদার সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম । ক্স বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশের শ্রমের বাজার মূল্য খুবই কম । এখানকার শিক্ষিত বেকার জন শক্তি স্বল্প বেতনে উন্নত মানের সেবা প্রদানে সক্ষম । এ ক্ষেত্রে মেয়েরা ছেলেদের চেয়ে ভালো করতে পারে । যারা প্রকৃষ্ঠ উদাহরণ আমাদের গার্মেন্টস শিল্প।সাধারণত একটি ইন্ডাষ্ট্রি গড়তে যে পরিমান বৈদিশিক বিনিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে ,আইসিটি এনাবল্ড সার্ভিসের যে কোন সেক্টরে এর বিনিয়োগের পরিমান চার ভাগের এক ভাগ লাগবে। যদি প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও স্থিতিশীল কর্ম পরিবেশ গড়ে তোলা যায় তাহলে আউটসোর্র্সিংয়ের বিশাল বাজারে আধিপত্য বিস্তার করতে তেমন সমস্যা হবে না ।
|
|
|
|
|