মানবাধিকার খবর ডেস্ক :
বিয়ের ঘণ্টা বেজেছে। চারদিকে সাজ সাজ রব, আলোর ঝলকানি। বরযাত্রী এসেছেন কনের বাড়িতে। সব আনুষ্ঠানিকতার পাশাপাশি বর-কনের কবুল বলাও শেষ। এবার বরের সঙ্গে কনে যাবেন শ্বশুরবাড়ি। সাজানো বাসরে স্বামী-স্ত্রী প্রথমবারের মতো দেখবেন একে অপরকে। কিন্তু তা আর হলো না। ভালো করে স্ত্রীর মুখ দেখার আগেই বিয়েবাড়িতে কনেকে তালাক দিয়ে ফিরে গেলেন বর! ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের বিজনৌর জেলার কারোন্ডা পাচদু গ্রামে।
গতকাল ১৮ মে টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, বিয়েবাড়ি থেকে কনে পক্ষের অর্থ ও সোনা চুরি হয়। কনে পক্ষ সন্দেহের তির ছুড়ে দেয় বর পক্ষের দিকে। সারা রাত বর কারি ইমরান ও তাঁর বাবাকে বেঁধে রাখা হয়। এতে অপমানিত ও ক্ষুব্ধ হয়ে সকালে তালাক দিয়ে ফিরে যান বর।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, গত ১৭ মে রাতে চাঁদপুরন গ্রাম থেকে বিয়ে করার জন্য বর ইমরান বরযাত্রী নিয়ে পাচদু গ্রামে আসেন। বিয়েও হয়ে যায় বর-কনের। বিয়ের পরপরই কনে পক্ষ অভিযোগ তোলে, আসর থেকে তাদের ১ লাখ ৪৫ হাজার রুপি ও বেশ কিছু গয়না চুরি হয়েছে।
কনের বাবা নাসির আহমেদের দাবি, বরের ভাগনে আকিব ও একজন নারী এই অর্থ ও গয়না চুরি করেছেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের বাগবিত-া হয়। একপর্যায়ে অর্থ ও গয়না ফেরত দিতে তাঁরা বর ইমরান ও তাঁর বাবাকে বিয়ের পর সারা রাত বেঁধে রাখেন। বিষয়টি পুলিশে জানালে, সকালে পুলিশ কনের বাড়ি গিয়ে বর ও তাঁর বাবাকে মুক্ত করে। এ ঘটনার পর আর এক মুহূর্তও দেরি না করে রাতে বিয়ে করা স্ত্রীকে সকালেই তালাক দেন স্বামী ইমরান। কারি ইমরান বলেন, বিয়ের রাতে এই বিষয়টির জন্য তিনি বেশ অপমানিত বোধ করেন। তিনি বলেন, ‘বিচ্ছেদের জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। এরপরও আমাকে বাধ্য হয়ে সদ্যবিবাহিত স্ত্রীকে তালাক দিতে হয়েছে।’
কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক শিব কুমার গৌড় বলেন, দুই পক্ষকেই থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেনি। এরপরও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।