প্রস্তাবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন ২০০৯–এর সংস্কার করে কমিশন গঠনের জন্য বাছাই ও নিয়োগ প্রক্রিয়া ঢেলে সাজানোর জন্যও আহ্বান জানানো হয়েছে।
প্রস্তাবে মানবাধিকার, আইন ও বিচারসংক্রান্ত কাজের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত, মানবাধিকারের মূলনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন ও চর্চা সম্পর্কে জ্ঞান রয়েছে, দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, বিভিন্ন ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘু, আদিবাসী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষায় উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে একজন চেয়ারপারসনের নেতৃত্বে সাত সদস্যবিশিষ্ট কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়েছে। চেয়ারপারসনসহ সাত সদস্যের সবাইকে স্থায়ী সদস্যপদ প্রদান ও চার বছরের জন্য নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে।
উল্লিখিত বিষয়গুলোর পাশাপাশি পরপর দুইবার যাতে কেউ কমিশনের প্রধান হতে না পারেন, তা নিশ্চিত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আইন, বিচার, নারী, শিশু ও লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠী, বিভিন্ন জাতিগত ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর অধিকার বিষয়ে অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।