মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ লাঞ্ছিত, ৪ শিক্ষককে অব্যাহতি   * দীর্ঘ সাড়ে ৩মাস পর পর কক্সবাজারের মহেশখালীতে গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে সামিটের এলএনজি টার্মিনাল   * চট্টগ্রাম বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে অতিভারী বৃষ্টি, পাহাড় ধস ও বন্যার শঙ্কা   * নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষককে একাডেমিক-প্রশাসনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা   * আগের নামে ফিরেছে নোয়াখালীর সরকারি মেডিকেল কলেজ   * ব্যাংক থেকে ২২০ কোটি টাকা তুলল এস আলম   * নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রী হেনস্তার অভিযোগ;   * কক্সবাজারের ডুলহাজারার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের দখল থেকে ১ হেক্টর বনভূমি উদ্ধার   * বান্দরবন জেলার থানচিতে বিজিবির অভিযানে সন্দেহভাজন কেএনএফ সদস্য আটক   * চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল ও কলা ভবনের নাম পরিবর্তন;  

   সারাদেশ
নানা গুণে গুণান্বীত বিডি খবর পত্রিকার সম্পাদক লিটন দত্ত
  Date : 03-09-2024

নড়াইলে রাত ১০টার দিকে কতিপয় সন্ত্রাসী এলাকায় এসে জোরপূর্বক এক সংখ্যালঘু প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের কাছ থেকে ১১ লাখ টাকার চেক লিখে নেবার অভিযোগ পা্ওয়া গেছে। এর প্রতিবাদে সম্প্রতি মুলিয়া ইউনিয়নে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে ইউনিয়নের কয়েক’শ নারী-পুরুষঅংশ নেন। এ সময় বক্তব্য দেন মুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী,সাবেক চেয়ারম্যান বিপুল বিশ্বাস,আইনজীবি পরিতোষ বাগচী প্রমুখ।

বক্তারা বলেন,শহর থেকে রাতের বেলায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অধ্যুষিত মুলিয়া ইউনিয়নে কতিপয় সন্ত্রাসী  প্রবেশ করে একজন প্রাথমিক স্কুল শিক্ষককে মারপিট করে ১১ লাখ টাকার চেক নিয়ে গেছে। বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য তারা শাসিয়ে গেছে। এমনকি ওই শিক্ষককে জীবননাশের হুমকী পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এর তীব্র নিন্দাসহ কথিত ওই সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আ্ওতায় আনাসহ চেক ফিরিয়ে দেবার দাবি জানান।

এলাকার কয়েকজন মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,নড়াইল পৌরসভার দক্ষিণ নড়াইল গ্রামের ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম।  ব্যবসায়ীক কারণে তিনি স্থানীয় বিডি খবর পত্রিকার  প্রকাশক ও সম্পাদক লিটন দত্তকে১১ লাখ টাকা দেন। নানা অভিযোগে লিটন দত্ত এখন এলাকা ছাড়া। নজরুল ইসলাম দিশেহারা হয়ে লিটন দত্তকে না পেয়ে তার চাচাতো শ্যালক কল্যাণ দাসের কাছ থেকে সম্প্রতি রাত ১০টার দিকে জোরপূর্বক (নড়াইল রূপালী ব্যাংক শাখা চেক নম্বর- SBLT ৬২৮২৬২০/৩১১০১১০১২৪৮৭) ১১ লাখ টাকার চেক লিখে নিয়েছেন। এ সময় দক্ষিণ নড়াইল গ্রামের কয়েকজন সন্ত্রাসী তার সঙ্গে ছিলেন। কল্যাণ দাসের বাড়ি সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের মুলিয়া গ্রামে। তিনি সরকারি একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।

জানতে চাইলে কল্যাণ দাস জানান,লিটন দত্ত আমার সম্পর্কে কাকাতো বোন জামাই।  কাকা অনেক আগে মারা গেছেন। কাকার এক মেয়ে সঞ্চিতা বিশ্বাস স্বামী পরিত্যাক্তা । সঞ্চিতার একটি মেয়ে রয়েছে। লিটন দত্ত দুই বছর আগে সঞ্চিতাকে বিবাহ করেন। বিবাহের বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। লিটন দত্তের সঙ্গে আমাদের আত্মীয়তার কোন সম্পর্কও নেই। শুনেছি তিনি স্থানীয় বিডি খবর পত্রিকার সম্পাদক। বালুর ব্যবসার কথা বলে তিনি বেশ কয়েক জনের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন। তিনি বলেন,লিটন দত্ত কার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন তার খেসারত আমাকে দিতে হবে কেন? লিটনকে টাকা দেবার সময় আমার কাছে কেউ শুনে টাকা দেয়নি। তার কারণে আমাকে কেন নিগৃহীত হতে হবে ?কেন মৃত্যু ঝুকি নিয়ে বসবাস করতে হবে? আমি এর বিচার চাই। আমি শান্তিপূর্ণভাবে এখানে বসবাস করতে চাই।

নজরুল ইসলাম বলেন,লিটন দত্ত বালুর ব্যবসার কথা বলে তার কাছ থেকে বেশ কিছু দিন আগে ৯ লাখ টাকা নেয়। তাকে এখন এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। লিটন দত্তকে হাজির করে দেবার জন্য তার চাচাতো শ্যালক কল্যাণকে বলা হয়েছে এবং ১১ লাখ টাকার স্বাক্ষর করা চেক নেওয়া হয়েছিল। বর্তমানে চেকটি মুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারীর কাছে রয়েছে। তিনি দাবি করেন,কল্যাণকে কোন প্রকার হুমকী দেওয়া হয়নি।

মুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাখ অধিকারী জানান,একটি শালিসের মাধ্যমে নজরুল ইসলাম এবং নড়াইল পৌরসভার সাবেক মেয়র কবির খান আমার কাছে চেকটি জিম্মায় রেখেছেন। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন,চেকটি দেবার সময় আমাকে বলা হয়েছে যদি চেকটি হারায় কিংবা কল্যাণকে দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সমস্ত টাকা আমাকে ফেরত দিতে হবে। যে কারণে চেকটি এখনো আমার কাছে আছে।

খোজ নিয়ে জানা গেছে,চতুর লিটন দত্ত বালুর ব্যবসার কথা বলে শহরের ভ্ওয়াখালি গ্রামের মফিজ জমাদ্দারের কাছ থেকে ১৩ লাখ,বোরহান হোসেনের কাছ থেকে ৬ লাখ,আশরাফুল আলমের কাছ থেকে ৪ লাখ,দক্ষিণ নড়াইলের সাধন বিশ্বাসের কাছ থেকে ১৫ লাখ ৪৬ হাজার টাকা,তুষার শেখের কাছ থেকে ৮ লাখ,যশোরের জাকারিয়া রুম্মানের কাছ থেকে ১৩ লাখ,সাতক্ষীরার দেলোয়ার হোসেনের কাছ থেকে ৯ লাখ টাকাসহ প্রায় এক কোটি টাকাহাতিয়ে নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন।

কে এই লিটন দত্ত

লিটন দত্ত সদর উপজেলার ভদ্রবিলা ইউনিয়নের ভবানীপুর-রায়খালি গ্রামের বঙ্কিম দত্তের ছেলে। ২০০৭ সালে লিটন দত্ত যশোর অভয়নগর উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের সিংগাড়ী গ্রামের পল্লী চিকিৎসক প্রমথ বিশ্বাসের মেয়ে পপি বিশ্বাসকে বিবাহ করেন। দাম্পত্যজীবনে তাদের এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। পপি বিশ্বাসকে না জানিয়ে লিটন দত্ত মুলিয়া গ্রামের সঞ্চিতা বিশ্বাসকে বিবাহ করেন। পপি বিশ্বাস জানান,বিবাহের সময় আমার বাবা তাকে নগদ ৪ লাখ টাকা,৪ ভড়ি স্বর্ণ যৌতুক দিয়েছেন। কিন্তু তার অন্তহীণ লোভ থাকায় বিবাহের পর যৌতুকের দাবিতে তার ওপর মানষিক ও শারীরীক নির্যাতন শুরু করে। আমার এবং সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে বাবা জমি বিক্রি,সমিতি থেকে লোন নিয়ে অথবা ধার-দেনা করে তার চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করেছেন। এ পর্যন্ত তাকে ১৫ন লাখ টাকার মতো বুঝ দেওয়া হয়েছে। এতে তার চাহিদা পূরণ হয়নি। এক পর্যায়ে তিনি ছেলে মেয়েসেহ আমাকে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। ৪ বছর যাবৎ তিনি আমাদের কোন খোজ খবর নেন না। বর্তমানে তিনি বিবাহিত এক মহিলাকে বিবাহ করে নড়াইল শহরের রূপগঞ্জ এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকেন। গত ৮সেপ্টেম্বর রূপগঞ্জ এলাকায় স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনিসহ তার কয়েকজন সঙ্গী আমাকে মারধর করে এবং রাস্তার ওপর ফেলে দেয়। পরে পথচারীরা আমাকে উদ্ধার করে। তিনি আরো বলেন,গত ২৬ ডিসেম্বর স্বামী আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে একটি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। তিনি সম্প্রতি নড়াইল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে স্বামীর বিচার চেয়েছেন।

এছাড়া লিটন দত্তের বিরুদ্ধে ২০ লাখ টাকার চেক ডিজঅনারের একটি মামলা নড়াইল সদর আমলী আদালতে রয়েছে।

মামলার কৌশুলী রাজু আহম্মেদ জানান,কয়েক মাস আগে লিটন দত্ত নড়াইল পৌর সভার ভ্ওয়াখালি গ্রামের নূর মোহাম্মদের কাছ থেকে ব্যবসার নামে  এক মাসের জন্য ২০ লাখ টাকা নেন। এ সময় লিটন দত্ত ফাস্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক নড়াইল শাখার ২০ লাখ টাকার একটি চেক প্রদান করেন। এক মাস পার হলে তিনি ওই চেক নিয়ে ব্যাংকে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়। এ ঘটনায় নূর মোহাম্মদ পেপার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে লিটন দত্তের নামে লিগ্যাল নোটিশ দেওয়া হয়। টাকা পরিশোধ না করায় তার বিরুদ্ধে ১ সেপ্টেম্বর সদর আমলী আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মেহেদী হাসান দৈনিক বাংলাকে বলেন,লিটন দত্তের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কার্ত্তিক দাস-নড়াইল



  
  সর্বশেষ
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক কোষাধ্যক্ষ লাঞ্ছিত, ৪ শিক্ষককে অব্যাহতি
দীর্ঘ সাড়ে ৩মাস পর পর কক্সবাজারের মহেশখালীতে গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছে সামিটের এলএনজি টার্মিনাল
চট্টগ্রাম বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে অতিভারী বৃষ্টি, পাহাড় ধস ও বন্যার শঙ্কা
নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষককে একাডেমিক-প্রশাসনিক কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308