|
সত্য প্রকাশ করে কোনো সাংবাদিক চাকরিচ্যুত হলে শিবির পাশে থাকবে; |
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
সত্য বলা কিংবা সত্য প্রকাশের কারণে কোনো সাংবাদিক যদি হেনস্তার শিকার হন কিংবা চাকরিচ্যুত হন, তাহলে সেই সাংবাদিকদের পাশে ছাত্রশিবির থাকবে। যেকোনো মূল্যে শিক্ষার্থীদের নিয়ে এটা করা হবে।রোববার (১৮ আগস্ট) সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এমনই ঘোষণা দেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক আব্দুর রহিম।সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সত্যটাকে প্রকাশ করুন সাহসের সঙ্গে। আগে চাকরি যাওয়ার শঙ্কা ছিল, মিডিয়া হাউজ বন্ধ হওয়ার ভয় ছিল। কিন্তু এখন আর সেই সুযোগ পাবে না। একজন সাংবাদিককে কোনো হাউজ থেকে বের করে দিতে চাইলে আপনারা সবাই মিলে প্রতিবাদ গড়ে তুলুন। সবাই মিলে প্রতিবাদ করলে হাউজ আর সেই সাহস পাবে না। আমরা ছাত্রসমাজ আপনাদের পাশে আছি।’শিবির নেতা আব্দুর রহিম বলেন, ‘জাতিকে সত্যটা জানানোর সুযোগ সবাই পান না। আপনারা সেই সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু জালিম সরকারের কারণে অনেকেই সেই সৎ সাহস পাননি। কিন্তু এখন সত্যটাকে জাতির সামনে উপস্থাপন করার সেই সুযোগ এসেছে।’নিজ সংগঠনের কোনো খারাপ বিষয় চোখে পড়লেও সংবাদ প্রকাশ করতে বলেন তিনি। তবে যখন এরকম কোনো বিষয় সামনে আসবে তখন সেটা দায়িত্বশীলদের কাছ থেকে যাচাই-বাছাই করার অনুরোধ করেন ছাত্রশিবিরের এই নেতা।দীর্ঘ ১৫ বছর পর প্রথমবারের মতো সিলেটে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করলো সিলেট মহানগর ছাত্রশিবির। দীর্ঘদিন পর প্রকাশ্যে সাংগঠনিক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পেরে বেশ উজ্জীবিত ছিলেন নেতাকর্মীরা।কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও সিলেট মহানগর সভাপতি শরীফ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা চাই না ক্যাম্পাসে আর কেউ পেশিশক্তি প্রয়োগ করুক। আমরা চাই প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকুক। প্রত্যেক শিক্ষার্থী যেকোনো সংগঠন ও যেকোনো রাজনৈতিক দল করার স্বাধীনতাও চাই। নতুন করে কোনো পেশিশক্তি যাতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য আমরা সোচ্চার থাকবো।’সিলেট মহানগর প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক নাঈম হোসাইনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন মহানগর সেক্রেটারি শাহিন আহমদ, সিলেট জেলা পূর্ব সভাপতি মারুফ আহমেদ, সিলেট জেলা পশ্চিম সভাপতি নজরুল ইসলাম ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি জহির উদ্দিন শিপনসহ বিভিন্ন ইউনিটের দায়িত্বশীলরা।
মােঃ জানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।
|
|
|
|
|