রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * চিতলমারীতে দুই চেয়াম্যান প্রার্থীর ঘুম নাই। কর্মী সমার্থকদের শ্লোগান “খেলা হবে”।   * চিতলমারী উপজেলা নির্বাচন লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রত্যাশা ভোটারদের।   * স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কুড়িগ্রামের কৃর্তিসন্তান আব্রাহাম লিংকনকে নাগরিক সংবর্ধনা   * কচুয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী   * সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার দেনা শোধ করেছি -বললেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী;   * কক্সবাজারের ইনানীতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র   * কক্সবাজারে বিজিবির অভিযানে দুই কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ   * ৮ম জাতীয় ইয়োগাসানা স্পাের্টস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩ এবাংলাদেশ আনসার চ্যাম্পিয়ন ও কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থা রানার্স আপ;   * তথ্য অপব্যাখ্যা ও তথ্য গুজব চক্রান্তকারীরাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি :   * তথ্য অপব্যাখ্যা ও তথ্য গুজব চক্রান্তকারীরাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি :  

   অর্থনীতি-ব্যবসা
নানামুখী পদক্ষেপে কমছে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ
  Date : 10-10-2019

সঞ্চয়পত্রে অতিমাত্রায় বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এতে করে সুফল মিলছে। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে (জুলাই-আগস্ট) সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি হয়েছে তিন হাজার ৬৫৯ কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ কম। গত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই-আগস্ট সময়ে নিট সঞ্চয়পত্রের বিক্রির পরিমাণ ছিল নয় হাজার ৫৭ কোটি টাকা।

জাতীয় সঞ্চয় অধিদফতরের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়েছে, সঞ্চয়পত্রে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রের সুদের ওপর উৎসে কর ৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। এক লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে কর শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সঞ্চয়পত্রের সব লেনদেন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করতে হচ্ছে ক্রেতাদের। দুর্নীতি কিংবা অপ্রদর্শিত আয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা বন্ধ করতে ক্রেতার তথ্যের একটি ডাটাবেসে সংরক্ষণের লক্ষ্যে অভিন্ন সফটওয়্যারের মাধ্যমে বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেছে।

 

এছাড়া সঞ্চয়পত্রে বড় বিনিয়োগে কঠোর হয়েছে সরকার। চাইলেই ভবিষ্য তহবিল বা প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থে সঞ্চয়পত্র কেনার সুযোগ নেই। এখন প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ দিয়ে সঞ্চয়পত্র কিনতে হলে কর কমিশনারের প্রত্যয়ন লাগে। পাশাপাশি কৃষিভিত্তিক ফার্মের নামে সঞ্চয়পত্র কিনতে লাগছে উপকর কমিশনারের প্রত্যয়ন। এসব কারণে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কমেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

অধিদফতরের হালনাগাদ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে মোট সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে ১১ হাজার ৩০৫ কোটি ৭২ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে আগের কেনা সঞ্চয়পত্রের মূল ও সুদ পরিশোধ বাবদ ব্যয় হয়েছে ৭ হাজার ৬৪৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা। এর মধ্যে সুদ বাবদ পরিশোধ করা হয় ৪ হাজার ৭৮০ কোটি ১০ লাখ টাকা। আর দুই মাসে সঞ্চয়পত্রের নিট বিক্রির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬৫৯ কোটি ৫৪ লাখ টাকা।

এদিকে বাজেট ঘাটতি মেটাতে সরকার গেল ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে যে পরিমাণ অর্থ নেয়ার লক্ষ্য ধরেছিল, তার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ ঋণ নেয়।

অধিদফতরের তথ্য বলছে, গত অর্থবছরের বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকে ২৬ হাজার ১৯৭ কোটি টাকা ঋণের লক্ষ্য ছিল সরকারের। বিক্রি বাড়তে থাকায় সংশোধিত বাজেটে লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে ৪৫ হাজার কোটি টাকা ঠিক করা হয়। কিন্তু অর্থবছর শেষে নিট বিক্রি দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৯৩৯ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে সঞ্চয়পত্রে সরকারের ঋণের স্থিতি দাঁড়ায় ২ লাখ ৮৮ হাজার কোটি টাকা। সরকারের এ খাতের ঋণ গত অর্থবছরে তার আগের অর্থবছরের চেয়ে তিন হাজার ৪০৯ কোটি টাকা বেশি।

এমন পরিস্থিতিতে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।

এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৪৪ হাজার কোটি টাকা সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে বিক্রি হয় ৪৬ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। এর আগে ২০১৬-১৭ অর্থবছর সঞ্চয়পত্র থেকে সরকার পেয়েছিল ৫২ হাজার ৪১৭ কোটি টাকা। এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকে ২৭ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।

জানা গেছে, এর আগে সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত করতে সর্বশেষ ২০১৫ সালের মে মাসে সব ধরনের সঞ্চয়পত্রের সুদহার গড়ে ২ শতাংশ করে কমানো হয়েছিল।

বর্তমানে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৫২ শতাংশ। পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ২৮ শতাংশ, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ, পেনশনার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ১১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। ২০১৫ সালের ২৩ মের পর থেকে এই হার কার্যকর আছে। এর আগে সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার ছিল ১৩ শতাংশেরও বেশি।

সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জাতীয় সঞ্চয় স্কিমগুলোতে বিনিয়োগকৃত অর্থের ওপর একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর মুনাফা প্রদান করে সরকার। মেয়াদপূর্তির পরে বিনিয়োগকৃত অর্থও ফেরত প্রদান করা হয়। প্রতি মাসে বিক্রি হওয়া সঞ্চয় স্কিমগুলো থেকে প্রাপ্ত বিনিয়োগের হিসাব থেকে আগে বিক্রি হওয়া স্কিমগুলোর মূল ও মুনাফা বাদ দিয়ে নিট ঋণ হিসাব করা হয়। ওই অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা থাকে এবং সরকার তা প্রয়োজন অনুযায়ী বাজেটে নির্ধারিত বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজে লাগায়। এ কারণে অর্থনীতির পরিভাষায় সঞ্চয়পত্রের নিট বিনিয়োগকে সরকারের ‘ঋণ’ বা ‘ধার’ হিসেবে গণ্য করা হয়।



  
  সর্বশেষ
চিতলমারীতে দুই চেয়াম্যান প্রার্থীর ঘুম নাই। কর্মী সমার্থকদের শ্লোগান “খেলা হবে”।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাচন লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রত্যাশা ভোটারদের।
স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কুড়িগ্রামের কৃর্তিসন্তান আব্রাহাম লিংকনকে নাগরিক সংবর্ধনা
কচুয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308