মোহাঃ হারুন-অর-রশিদ
অন্যান্য জেলার মতই ঠাকুরগাঁও জেলাতে ও ভূমি দখলবাজরা নতুন কৌশল অবলম্বন করে জেলার সাধারণ মানুষের জমি দখলের চেষ্টা করছে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের নাগরিকদেরকে বিভিন্ন কৌশলে একটি প্রভাবশালী মহল এদেশের নাগরিক সাজিয়ে জেলায় বাংলাদেশী প্রকৃত নাগরিকদের জমি “জাল দলিল” তৈরীর মাধ্যমে দখলের চেষ্টা করে চলেছে। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ঠুমনিয়া গ্রামের রইশ উদ্দীনের ছেলে রবিউল আলম ও খোদা বক্স এর ছেলে মোহাঃ জমিদার শেখসহ ঐ এলাকার আরো কয়েকজন মিলে একটি প্রভাবশালী ভূমি দখলকারী সিন্ডিকেট বাহিনী গড়ে উঠেছে। তারা ভারতের লোকজনকে বাংলাদেশে এনে বাংলাদেশী নাগরিক সাজিয়ে সাধারণ মানুষের ভুমি দখল করে চলেছে। ঠাকুরগাঁও জেলা বালিয়াডাঙ্গা উপজেলা ঠুমনিয়া, গ্রামের ¯দানীয় বাসিন্দা মোঃ ফজলু হক, যতেন্দ্রনাথ সিংহ, রিয়াজ উদ্দিন, আব্দুল বাতেনসহ ¯দানীয় সূত্রে জানা যায়, ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ঠুমনিয়া গ্রামের মোহাঃ আব্দুর রশিদ, মোঃ আমিরুল ইসলাম, সাদেকুল ইসলাম, মিসেস সায়েমা আনজু, মাছাঃ সায়েমা খাতুন, মোছাঃ ইফতারা খাতুন সকলের পিতা মৃত আয়ূব আলী বিশ্বাস, মোছাঃ আনোয়ারা বেওয়া স্বামী মৃত আয়ূব আলী বিশ্বাস ¯দায়ী বাসিন্দা। কিšদ বর্তমানে জীবিকা নির্বাহের কারনে তারা কেহ ঢাকায় কেহ রাজশাহীতেসহ বিভিন্ন¯দঅনে জেলার বাহিরে বসবাস করে। এই এলাকার জমিজমা কিছু নিজে মাঝে মধ্যে এসে আর কিছু জমি বর্গাচাষীাদের মাধ্যমে আবাদ করে। ১৯৬৫ সালের বিনিময় দলিল মূলে পৈতৃক সম্পত্তি প্রাপ্ত ১৫.২৩ একর জমি ২৬/০৪/২০১৪ইং তারিখে সাত জনের নামে খারিজ করে নিজ নামে নাম জারি করে। প্রয়োজনে কিছুদিন পরে সেখান থেকে কিছু জমি বিক্রি করতে গেলে ঐ এলাকার ভুমি দখলবাজ জমিদার শেখ ও রবিউল আলমসহ কয়েকজন জমি বিক্রি করতে বাধা দেয়। পরে ভূমি দখলবাজ জমিদার শেখ ও রবিউল আলম মিলে ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মালদা জেলার বৈঞ্চবনগর থানার কৃঞ্চপুর গ্রামের মৃত মোশারফ হোসেনের ছেলে শফিকুল আলম কে দিয়ে সম্পত্তি তারা জাল দলিলের মাধ্যমে বিক্রি করার চেষ্টা করছে। ভুমি দখলবাজ জমিদার শেখ ও রবিউল আলম মিলে ভারতীয় নাগরিক শফিকুল আলম পিতা মোঃ মোশারফ আলী বিশ্বাস, মাতা মোছাঃনুর আলম ¯দানীয় বড়বাড়ী ইউপি থেকে গত ১২/০২/২০১৬ ইং তারিখে জন্ম নিবন্ধন নং ১৯৭১৯৪১০৮২১১০৫৪১ জন্ম তারিখ ০১/০১/১৯৭১ ইং, জন্ম ¯দান- গ্রাম: ঠুমনিয়া, ওর্য়াড নং -০৮, ইউপি: ০৩ নং ধনতলা, নউপজেলা: বালিয়াডাঙ্গি, জেলা: ঠাকুরগাঁও। এবং ¯দায়ী ঠিকানা: গ্রাম: গোয়ালকারী, ওর্য়াড নং ০৪, ইউনিয়ন পরিষদ: ০৮ নং বড়বাড়ি, উপজেলা: বালিয়াডাঙ্গী, জেলা: ঠাকুরগাঁও এই ঠিকানায় একটি জন্ম সনদ বানিয়ে দেয় কিšদ আদৌ তার নিজস্ব কোন বাড়ী নেই। অজ্ঞাত কারণে সংশিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান জাল জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরী করে বাংলাদেশের নাগরিক বানিয়ে তাকে দিয়ে ভোগ-দখলীয় ও খাজনা-খারিজকরা সম্পত্তি যাহা: ঠুমনিয়া মৌজার জেএলনং ১৪, খতিয়ান নং-১৪০২ এবং প্রস্তাবিত আগত খতিয়ান নং ৩৯৬, ৩৯২, ৩০১, ২৮১, ২৬২, ২৬১, ২৪৬, ২৩৫, ২২৮, ২২৫, ১১৪, ৩২৭, ৫৫২, ৪২৬, দাগ নং ৭৮১৬, ৫৮৮৩, ৫৭৯৩, ৭৬৯৪, ৬৮৯৬, ৫৬০৪, ৭৭৬৬, ৭০৯২, ৬৯৬৫, ৭০৬৬, ৭০৭০, ৮৮৪৫, ৭০৬৪, ৭৯০৫, ৫৯০৫, ৭৬৩৭, ৮২৭৫, ৮২৭২, ৮৩৩০, ৮৩৬৩, ৮৩৮৯, ৮৩৬৫, ৮৩৪৯, ৮৩৩৯, ৮৩৭৪, ৮৪২৪, ৭৬২৮, ৭৬২৫, ৭৬৩১, ৮৪০৭, ৮৯৮৫, ৯০৫৭, ৬৯২১, ৯০১৬ মোট জমি ১৫.২৩ একরের মধ্যে বেশীর ভাগ জমি অবৈধ ভাবে দখলের চেষ্টা করছে। অথচ তার বাড়ি হচ্ছে, ভারতের পশ্চিম বঙ্গের মালদা জেলার বৈঞ্চবনগর থানার কৃঞ্চপুর গ্রামে। সেখানকার সে ¯দায়ী বাসিন্দা। ২০১৬ ইং সালের ভারতের(সাধারণ) বিধানসভা নির্বাচন তালিকা অনুযায়ী, রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ। কোড নং ঝ২৫/ডই ৫৪ বৈঞ্চবনগর। ভাগ নং ১: খুদিটোলা, মৌজা-কৃঞ্চপুর, জেএল নং-৩৯ গ্রাম+পোষ্ট-কৃঞ্চপুর, থানা- বৈঞ্চবনগর -৭৩২২১০ ভোটার নং ৪৮৮, ডই/০৭/০৪৯/৩১৮৮৩৯, বাড়ির নং- হ০০৩১ বয়স: ৪৫। সে বাংলাদেশে অবৈধভাবে এসে ভুমিদস্যুদের বাড়িতে থেকে সাধারণ মানুষের জমি দখল করে বিক্রির চেষ্টা করছে। এই বিষয়ে সংশিষ্ট বিভিন্ন অফিসসমূহে যেমন জেলা রেজিষ্টার, ঠাকুরগাঁও অফিসে জাল দলিল রেজিষ্ট্রি বন্ধ করা জন্য গত ২২/০৩/২০১৬ইং তারিখে, সহকারী কমিশনার(ভূমি) লাহিড়ী, উপজেলা-বালিয়াডাঙ্গী, জেলা-ঠাকুরগাও অফিসে ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক অবৈধভাবে মূল মালিকের জমির খারিজ বাতিল ও জাল দলিলের মাধ্যমে নিজ নামে খারিজ করে নাম জারি বন্ধ করা প্রসঙ্গে গত ২২/০৩/২০১৬ইং তারিখে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), ঠাকুরগাঁও, ১৪/০৩/২০১৬ইং তারিখে উপজেলা নিবার্হী অফিসার-বালিয়াডাঙ্গী জেলা-ঠাকুরগাঁও, ১৫/০৩/২০১৬ইং তারিখে পুলিশ সুপার ঠাকুরগাঁও, ২২/০৩/২০১৬ইং, এবং সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, আগারগাঁও, ঢাকা বরাবর আবেদন করা হয়। গত ০৬/০৪/২০১৬ইং তারিখে ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক অবৈধভাবে জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরী বন্ধ করে আইনানুগ ব্যব¯দা গ্রহনের জন্য আবেদন করেন ¯দানীয় ভুক্তভুগীরা। এলাকাবাসীগন জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যব¯দা গ্রহনের জন্য জোর দাবী জানান।
|