বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২১, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * ভারতের জলসীমায় ধৃত পাকিস্তানের নুসরাত জাহাজ, উদ্ধার সাত মৎস্যজীবীকে   * কচুয়ায় কৃষক দলের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত   * সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ, কক্সবাজার শহর অচল   * সেনাবাহিনী প্রধানের কক্সবাজার এরিয়া পরিদর্শন   * বঙ্গোপসাগর কে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত যুক্তরাষ্ট্র চীনের আলাদা আলাদা স্বার্থ রয়েছে:পররাষ্ট্র উপদেষ্টা   * কক্সবাজার জেলা জামায়াতের নতুন মজলিসে শুরা ও কর্মপরিষদ ঘোষণা   * চট্টগ্রামে পাকিস্তানি জাহাজ, উদ্বিগ্ন ভারত   * সেন্ট মার্টিনে কেউ সামরিক ঘাঁটি করতে পারবে না: রিজওয়ানা হাসান   * বিধি নিষেধ তুলে নেওয়ার পর বান্দরবান জেলার পর্যটন শিল্পের প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে;   * জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নকল নবীশদের অবস্থান ধর্মঘট: চাকরি জাতীয়করণের দাবি  

   লাইফস্টাইল
বানিয়ারী প্রাথমিক বিদ্যালয় নানা সমস্যায় জর্জরিত
  Date : 01-11-2016

 

জাকারিয়া শেখ, কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) থেকে:

 

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে ১৭৫ নং উত্তর বানিয়ারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক, শ্রেণীকক্ষ সংকট ও দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার কাজ না হওয়ায় জরাজীর্ণ হয়ে পরেছে  বিদ্যালয় ভবনটি। জরাজীর্ণ ভবনে দীর্ঘদিন ধরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। এব্যাপারে    সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ  কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায়   ছাত্রছাত্রী,  শিক্ষকমন্ডলী, স্কুল পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। সরেজমিন  গিয়ে দেখা যায়, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি  নিয়ে জরাজীর্ণ ভবনে ক্লাস করছে। জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ৩৩ শতাংশ জমির ওপর বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। “বিদ্যালয়ে জমিদাতা পারুল রানী রায় জানান, বিদ্যালয়ের নামে জমি দিলাম কিন্তু কী লাভহল? এখন বিদ্যালয় ভাঙা-চুড়া অবস্থা। এর মধ্যে কী  ছাত্রছাত্রীরা ক্লাস করতে পারে”। প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী দাস বলেন, ২০১৩ সালে বিদ্যালটি সরকারি করা হয়। বর্তমানে বিদ্যালটিতে ২০৬ জন ছাত্র-ছাত্রী  ও চারজন শিক্ষক রয়েছেন। বার্ষিক পরীক্ষাসহ সমাপনী পরীক্ষায়ও এ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করে আসছে। নৈশপ্রহরি, দপ্তরি-তো দূরের কথা আসবাবপত্র সংকট ও বিদ্যালয়ে প্রসস্ত খেলার মাঠ না থাকায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা  খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ছাত্র অনুপাতে  বিদ্যালয়টি শিক্ষক স্বল্পতাসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত । একটি  টিনশেড দোচালা ঘর ও দুই কক্ষের একটি আধাপাকা ভবন থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী। দুই কক্ষের আধাপাকা ভবনটি ফাটলে জর্জরিত। তারপরও  বাধ্য হয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। ‘‘তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী মরিয়াম বলেন, সব স্কুলে খেলার মাঠ আছে। আমাদের স্কুলে কোনো খেলার মাঠ  নাই। আমাদের একটি খেলার মাঠ প্রয়োজন।” এক অভিভাবক বলেন, বিদ্যালয়ের আধাপাকা ভবন ভেঙে গিয়ে কোনো শিক্ষার্থী আহত হলে তার দায়ভার  কে    নিবে?   বিদ্যালয়  ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আব্দুল খালেক হাওলাদার ও প্রধান শিক্ষিকাসহ সহকারী শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা সব সমস্যার সমাধান ও অতিদ্রুত  একটি পাঁকা ভবন নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে  জোর দাবি জানিয়েছেন। এব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ শহিদুল ইসলাম বিদ্যালয়টির সব সমস্যার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের জন্য লিখিত জানানো হয়েছে।

 

 

 

তাজমহলের অজানা তথ্য

একঘেয়ে  জীবন  যাত্রায় মানুষ  যখন হাঁপিয়ে ওঠেন, তখন তার অন্তত কিছু সময়ের জন্য একটু আরাম,একটু বিরাম,একটু শান্তির খোঁজে বেরিয়ে পড়েন সৃষ্টিকর্তার অপরময় সৃষ্টির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখার জন্য কাছে বা দূরে কোথাও। ভ্রমণ করে না অথবা করতে চায় না এমন মানুষ এই দুনিয়ায় পাওয়া বড় দুষ্কর। একজন পর্যটক হিসেবে আপনি ঘুরে আসতে পারেন সারা বিশ্ব। দেশের বাইরে ঘুরে আসতে চান? তবে স্বদেশ মূল্যে ঘুরে আসতে পারেন বিদেশ। আর এই বিদেশ অন্য কোন দেশ নয়। আমাদেরই পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত। যে দেশের মধ্যে রয়েছে একদিকে মরুভূমি, অন্যদিকে বরফ আচ্ছাদিত পাহাড়, পর্বত, সমুদ্র, জঙ্গল, স্থাপত্য, পুরাকৃর্তি ইত্যাদি। পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য রয়েছে সব ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা, প্রাকৃতিক সম্পদের অফুরন্ত সম্ভার। প্রবাদ আছে, ‘সমগ্র ভারত ভ্রমণ করলে পৃথিবীর অর্ধেক দেখা হয়ে যায়’। আর আপনি যদি একজন পর্যটক হিসেবে ভারতে ভ্রমণ করতে চান, তবে তার আদি গোড়াপত্তন ও ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কে জানা দরকার। ভারত ঘুরে এসে ভ্রমণ পিপাসু পাঠকদের উদ্দেশ্যে পর্যটন বোর্ড ও ভারতীয় ভ্রমণ সঙ্গী গাইডের অবলম্বনে লিখেছেন : মমতাজ আক্তার

 

তাজমহল। ভালোবাসার অনন্য প্রতীক। মধ্যযুগীয় সপ্তাশ্চর্যের মাঝে একটি। বিশ্ববাসী তাজমহলকে এক পলক দেখার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকে। তাজমহল যেমন সবাইকে এর শৈল্পিকতায় বিমুগ্ধ করে তেমনি এটি তৈরির ইতিহাস পৃথিবী বিখ্যাত। মূলত প্রচলিত ইতিহাস মতে তাজমহল ‘বেগম মমতাজের সম্মানে বাদশা শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত প্রেমের সমাধিস্থল। মুঘল স¤্রাট শাহজাহান তার স্ত্রী মমতাজকে এতই ভালোবাসতেন, সে ভালোবাসার অমোঘ নিদর্শনস্বরূপ মৃত স্ত্রীর সমাধিস্থলে অদ্বিতীয় শৈল্পিক কারুকাজের এ তাজমহল তৈরি করে দেন। তাই তাজমহলকে নিয়ে পৃথিবীজুড়ে লিখিত হয়েছে হাজারো প্রেমের গদ্য, পদ্য ও কাব্য।

সংক্ষেপে তাজমহলের সর্বজন স্বীকৃত ইতিহাস হল মুঘল বাদশা জাহাঙ্গীর পুত্র স¤্রাট শাহজাহানের ৩য় প্রিয়তমা স্ত্রী মমতাজ মহল ১৬৬১ সালে ১৪তম সন্তান গওহারা বেগমকে জন্মদানকালে মৃত্যুবরণ করেন। শাহজাহান স্ত্রী বিয়োগে শোকাতুর হয়ে পড়েন এবং মমতাজের প্রতি তার ভালোবাসার নিদর্শন পৃথিবীবাসীর কাছে অমর করে রাখতে তিনি প্রিয় বেগম মমতাজের সমাধিস্থলে তাজমহল তৈরি করেন। ১৬৩২ সালেই যমুনা নদীর তীরে শুরু হয় তাজমহল তৈরি। তাজমহলের নির্মাণশৈলী ও এর উপকরণ থেকে বোঝা যায় তৎকালে পৃথিবীর সর্বাধিক ব্যয়বহুল প্রাসাদ এটি। এতে ব্যবহার করা হয়েছে সাদা মার্বেল পাথর ও অত্যন্ত মূল্যবান কিছু দুর্লভ পাথর। তাজমহলের বিভিন্ন দেয়াল ও গম্বুজের নকশায় এবং কারুকাজে ফুটে ওঠে মুসলিম মুঘল, পারস্য ও তুর্কি স্থাপত্যের চিহ্ন। এর প্রধান নকশাকার ছিলেন ওস্তাদ আহমেদ লাহুরি আরও ছিলেন আবদুল করিম মামুর খান এবং মাকরামাত খান যারা সে সময়ের সবচেয়ে নিখুঁত, পারদর্শী ও উচ্চ পর্যায়ের প্রকৌশলী এবং নকশাকার ছিলেন। এছাড়া তাজমহলের বিখ্যাত ক্যালিওগ্রাফিগুলো করেছিলেন তৎকালের ক্যালিওগ্রাফার আবদুল হক, যার প্রশংসনীয় ক্যলিওগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে স¤্রাট নিজেই তাকে ‘আমানত খান’ উপাধিতে ভূষিত করেন।

তাজমহলে পবিত্র আল-কোরআনের ১৫টি সূরা লিপিবদ্ধ হয়েছে। কয়েক হাজার শিল্পী দিয়ে পুরো তাজমহল তৈরিতে সময় লেগেছে প্রায় ২২ বছর। অর্থাৎ ১৬৩২ থেকে ১৬৫৩ সাল পর্যন্ত। যদিও ১৬৪৮ সালেই এর কাজ শেষ হয়ে যায়, তবে বাইরের বাগান, গেট এবং এর চারপাশের অন্যান্য স্থাপনা তৈরি শেষ করতে আর ৫ বছর সময় অতিবাহিত হয়েছিল। মোটকথা তাজমহলের ইতিহাস ও এর গঠন, নির্মাণশৈলী থেকে বিশ্ববাসী মমতাজের প্রতি স¤্রাট শাহজাহানের অদ্বিতীয় অমর প্রেমের বহিঃপ্রকাশ হিসেবেই জেনে আসছে। কিন্তু ভালোবাসার এ বিমূর্ত শিল্পকলা তাজমহলের ইতিহাসকে চ্যালেঞ্জ করে বসেছেন প্রফেসর পিএন অক (চৎড়ভবংংড়ৎ চ.ঘ. ঙধশ) তার তাজমহল : দ্য ট্রু স্টরিতে (ঞধল গধযধষ : ঞযব ঞৎঁব ঝঃড়ৎু)। তিনি দাবি করেন, তাজমহল বেগম মমতাজের সম্মানে নির্মিত কোন প্রেমের সমাধিস্থল নয়, বরং এটি প্রাচীন হিন্দু দেবতা শিবের মন্দির। এ মন্দিরের নাম ছিল ‘তেজ মহালয়’। এই মন্দিরে আগ্রার রাজপুতরা পূজা-অর্চনা করত, তাই সাধারণের কাছে এ মন্দির অতটা পরিচিত ছিল না। আর ‘তেজ মহালয়’ থেকেই তাজমহলের নামকরণ। এটি পরে স¤্রাট শাহজাহান তার মৃত স্ত্রীর স্মরণে স্মৃতিশালা হিসেবে গড়ে তোলেন। ইতিহাস অনুসন্ধান করে প্রফেসর অক যে পিলে চমকানো কথাগুলো ব্যক্ত করেন তা হল, স¤্রাট শাহজাহান অন্যায়ভাবে জয়পুরের মহারাজা জয় সিংয়ের কাছ থেকে শিব মন্দিরটি অর্থাৎ তাজমহলটি দখল করে নেন। অক যে দলিল উপস্থাপন করেনথ স¤্রাট শাহজাহান নিজেই তার দিনপঞ্জি ‘বাদশাহনামা’তে উল্লেখ করে গেছেন, রাজা জয় সিংয়ের কাছ থেকে আগ্রার এক চমৎকার প্রাসাদোপম ভবন মমতাজ মহলের সমাধিস্থলের জন্য বেছে নেয়া হয়েছে এবং এর জন্য স¤্রাটের পক্ষ থেকে রাজা জয় সিংকে অন্যত্র জমিও কিনে দেয়া হয়েছে। ‘তাজমহলের’ নাম নিয়েও প্রফেসর অক সংশয় প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, মুঘলামলে এমনকি খোদ শাহজাহানের আমলেও কোন দলিলাদি ও কোর্টের নথিপত্রে কোথাও ‘তাজমহলের’ নাম উল্লেখ নেই। আর সে সময়ে মুসলিম শাসনামলে কোন ভবন বা প্রাসাদের নাম ‘মহল’ রাখার প্রচলন ছিল না। এছাড়া ‘তাজমহল’ নামটি এসেছে মমতাজ মহল থেকে এ বিষয়টিও প্রফেসর অক মেনে নেননি। তিনি এর পেছনে দুটি কারণ উল্লেখ করেন। প্রথম কারণ, স¤্রাট শাহজাহানের স্ত্রীর প্রকৃত নাম কখনোই মমতাজ ছিল না। দ্বিতীয় কারণ, সাইকোলজিক্যাললি কেউ কারও নামে প্রাসাদ নির্মাণ করলে নামের প্রথম দুই অক্ষর বাদ দিয়ে অর্থাৎ মমতাজের মম বাদ দিয়ে তাজ নাম রাখাটা মানব স্বভাবের মধ্যে পড়ে না।

নামকরণের ইতিহাসকে ভুল প্রমাণিত করেই প্রফেসর থেমে থাকেননি, তিনি শাহজাহান ও মমতাজের প্রেমকাহিনীর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তার লেখায় তিনি উল্লেখ করেন, মমতাজ ও শাহজাহনের ভালোবাসার গল্প মূলত রূপকথা যা লোকমুখে সৃষ্ট। কারণ এত গভীর ও চমৎকার প্রেমের কথা ভারতের ওই সময়কার কোন সরকারি নথিপত্রে বা গ্রন্থে উল্লেখ নেই। তিনি আরও কিছু ডকুমেন্টরি উপস্থাপন করেন যা প্রমাণ করে তাজমহল কখনোই স¤্রাট শাহজাহানের আমলের নয়। সেগুলো হল, নিউইয়র্কের আর্কিওলজিস্ট মারভিন মিলার (গধৎারহ গরষষবৎ) যমুনা নদীর তীর সংলগ্ন তাজমহলের দেয়ালের নমুনা পরীক্ষা করেন। তিনি এর কার্বন টেস্ট করে যে তথ্য পান, এই কার্বন স¤্রাট শাহজাহানের শাসনামলেরও চেয়ে ৩০০ বছর বেশি পুরনো! এছাড়া আরেকটি ব্যাপার হল কোন এক ইউরোপীয়ান পর্যটক ১৬৩৮ সালে আগ্রা ভ্রমণ করেন। সময়টি শাহজাহান স্ত্রী মমতাজের মারা যাওয়ার মাত্র ৭ বছর পর। কিন্তু তিনি তার লিখিত ভারতবর্ষ ভ্রমণ গ্রন্থে তাজমহল নামক প্রাসাদের কথাই উল্লেখ করেননি।

প্রফেসর অক তাজমহলের স্থাপত্য শৈলীর কিছু অসামঞ্জস্যতার কথা উল্লেখ করে বলেন, তাজমহল মূলত হিন্দু শিব মন্দির ছাড়া আর কিছুই নয়। তিনি আরও যুক্তি দেখান, তাজমহলের কিছু কামরা শাহজাহানের আমল হতেই তালাবন্দি যা এখনও জনসাধারণের অজানা রয়ে আছে। তিনি দৃঢ়তার সঙ্গে দাবি করেন ওই সব কামরার একটাতে রয়েছে দেবতা শিবের মস্তকবিহীন মূর্তি অর্থাৎ শিব লিঙ্গ যা হিন্দুদের শিব মন্দিরে সচরাচর দেখতে পাওয়া যায়। বিখ্যাত তাজমহল নিয়ে প্রফেসর অকের এ উল্টো বক্তব্য ও ইতিহাস তিনি তার যে বইতে লিখেছিলেন তৎকালীন ভারতের ইন্দিরা গান্ধী সরকার বইটি ব্যান্ড করে দেয় ও সবগুলো কপি বাজার হতে উঠিয়ে নেয় এবং ভারতে এর দ্বিতীয় কোন কপি প্রকাশ করাও বন্ধ করে দেয়। সেখানে কারণ দেখানো হয়, যদি এ বই প্রকাশ করা হয় তাহলে ভারতে হিন্দু ও মুসলিমদের মাঝে ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক সংঘাত বা রায়োট বেঁধে যাওয়ার শংকা রয়েছে। পরে প্রফেসর অকের প্রচলিত ইতিহাস বিরোধী বক্তব্য এবং তার বই বিশ্লেষণে গবেষকরা এতটুকু মত দিতে পেরেছেন, তাজমহলের মার্বেল পাথর, ইসলামিক সংস্কৃতি, আলকোরআনের আয়াত ক্যালিওগ্রাফি এবং সৌন্দর্যম-িত গম্বুজের কারুকাজ এসব কিছুই স¤্রাট শাহজাহানের সময়ে হয়ে থাকলেও তাজমহলের প্রাথমিক স্থাপনা শাহজাহান কর্তৃক না হয়েও থাকতে পারে। তবে তাজমহল তৈরির আসল ইতিহাস যতই বির্তকিত হয়ে থাকুক, তবু তাজমহল মুঘল মুসলিম স্থাপত্য কীর্তিগুলোর মধ্যে গৌরবান্বিত অলঙ্কার, একটি অনন্য কীর্তি। সপ্তাশ্চর্যের এক আশ্চর্য।

 

 



  
  সর্বশেষ
ভারতের জলসীমায় ধৃত পাকিস্তানের নুসরাত জাহাজ, উদ্ধার সাত মৎস্যজীবীকে
কচুয়ায় কৃষক দলের আয়োজনে বৃক্ষরোপণ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে সড়ক অবরোধ, কক্সবাজার শহর অচল
সেনাবাহিনী প্রধানের কক্সবাজার এরিয়া পরিদর্শন

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308