ব্যাংকটির নানা অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকায় ব্যাংকটি এস আলমের ঘনিষ্ঠ ২৪ শাখা ব্যবস্থাপকসহ ১৯৪ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও নামে–বেনামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তৈরি করে এস আলমকে ঋণ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। ব্যাংকের চট্টগ্রাম অঞ্চলের সব শাখায় বিশেষ পরিদর্শন শেষে নিরীক্ষা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ব্যাংকটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। শাখা ব্যবস্থাপকদের আগামী ২১ দিনের মধ্যে তাঁদের সময়ে দেওয়া ঋণ আদায়ের নির্দেশনা দিয়ে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে ব্যাংকটির চট্টগ্রাম উত্তর জোনের প্রধান মো. হাফিজুর রহমানকে প্রত্যাহার করা হলে তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। এ ছাড়া ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা খায়েরও স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন। ব্যাংকের নিরীক্ষা বিভাগের প্রধান রফিকুল আলমও পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি প্রত্যাহার করা ২৪ শাখা ব্যবস্থাপকের মধ্যে রয়েছেন আগ্রাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী, আন্দরকিল্লা শাখার মোরশেদুল আলম, খাতুনগঞ্জ শাখার মো. মোস্তফা, জুবলি রোড শাখার মো. আমির হোসেন, বন্দরটিলা শাখার মো. সাইফুদ্দিন, চকবাজার শাখার আবু হাসান মোস্তফা কামাল, কদমতলী শাখার এস এম কফিল উদ্দীন, পাঁচলাইশ শাখার মো. মাহাবুল আলম, প্রবর্তক মোড় শাখার মোহাম্মদ উল্লাহ, কুমিড়া শাখার মো. ফজলুল হক, পাহাড়তলী শাখার সুলতানা নাজনীন চৌধুরী, সদরঘাট শাখার আবু ইউসুফ মো. হেলাল উদ্দীন, বহদ্দারহাট শাখার মো. ওসমান, পটিয়া শাখার মো. বশির উল্ল্যাহ, পটিয়া মহিলা শাখার ফারাহ দিবা বানু, দোভাষী বাজার শাখার নাসির উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, ফতেয়াবাদ শাখার মো. কামাল হোসেন, হালিশহর শাখার এস এম মোনসেফ আহমেদ, হাটহাজারী শাখার মো. আবদুল মাবুদ, রাহাত্তারপুল শাখার মো. হারুনার রশিদ, চন্দনাইশ শাখার মো. মোর্শেদুল আলম চৌধুরী, মোহড়া শাখার আরাফত উল্লাহ, বোয়ালখালী শাখার সেলিম উদ্দীন ও খুলশী শাখার ব্যবস্থাপক খুরশিদ আলম।