ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে বাগেহাটের চিতলমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের আর মাত্র ৬দিন বাকী আছে। এই নির্বাচনকে ঘিরে প্রার্থী ও সমার্থকদের মাঝে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষন চলছে। এবার চিতলমারী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতায় মাঠে নেমে ছিলেন তিন জন প্রার্থী। তার মধ্যে আনারস প্রতীক অহিদুজ্জামান ১৬ মে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এখন চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দীতা করবেন মোটর সাইকেল প্রতীক অশোক কুমার বড়াল এবং এজেএম আলমগীগর সিদ্দিকী। ভেটারের মুখে মুখে শোনা যাচ্ছে “এবার খেলা হবে” । সে খেলায় কে বসবেন চিতলমারী উপজেলা পরিষদের মসনদে ? তিনি কি আশোক কুমার বড়াল, তিন বারের হেট্রিক নিয়ে।, নাকি আবু জাফর মোঃ আলমগীর সিদ্দিকী। এই দুই প্রার্থীকে নিয়ে হাট বাজার ও চায়ের টেবিলে ভোটারদের মাঝে চলছে চুল চেরা বিশ্লেষন।
প্রকাশ্য জনসভায় অনেকে বক্তব্যে বলেছেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীনের মনোনীত প্রার্থী বাবু অশোক কুমার বড়াল বিজয়ী হবেন। এমপি সাহেব অশোক কুমার বড়ালকে বিজয় করতে নেতা কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন। সে কারনে উপজেলা থেকে ওয়ার্ড পর্যায়ের আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী লীগের সকল নেতাকর্মী মোটর সাইকেল প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইছেন। অপর দিকে এ জে এম আলমগীর সিদ্দিকী প্রকাশ্য জন সভায় বলছেন, তারা গুজব ছড়াচ্ছে। আমার নেতা এমপি শেখ হেলাল উদ্দীনের এমন কোন নির্দেশ নাই। সম্পুর্ণ গুজব, গুজবে কান দিবেন না। আমি যত টুকু জানি আমার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর ২০-২৫ জনের একটি সিন্ডিকেট এই গুজব ছড়াচ্ছেন। মাননী প্রধানমন্ত্রী ও জননেতা শেখ হেলাল উদ্দীনের প্রতিশ্রুতি ভোট হবে ফ্রি এন্ড ফেয়ার। আর সেই ভোটে চিতলমারীবাসীর দোয়াত কলম বিজয়ী হবে। এই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মী-সমার্থক ও ভোটারদের আলোচনা সমালোচনার মধ্যে দিয়ে চিতলমারীর ভোটারগন ২১ মের নির্বাচনের ফলাফলের দিকে অধির আগ্রহে তাকিয়ে আছেন। কে হবেন সেই কাঙ্খিত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ? তিনি কি নতুন প্রজন্মের বারবার কারা বরণকারী নেতা এ জে এম আলমগীর সিদ্দিকী। নাকি বড়াল পরিবারের কর্নধর অশোক কুমার বড়াল।
মোঃ একরামুল হক মুন্সী
চিতলমারী (বাগেরহাট) প্রতিনিধি: