কচুয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের শেষ মুহূর্তেও চলছে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা।প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে গিয়ে দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি চাচ্ছেন ভোট।আর এরমধ্যে দিয়ে শেষ হতে যাচ্ছে প্রথম ধাপের কচুয়া উপজেলা নির্বাচনের জমজমাট প্রচার-প্রচারণা।নীতিমালা অনুযায়ী ৬ মে রাত ১২ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারণা।আর ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে ৮ মে।এ নির্বাচনে মুলত বিরোধী দলের কোন প্রার্থী না থাকায় এবং সরকারি দল দলীয় প্রতিক না দেওয়ায় কচুয়ায় স্বতন্ত্রের ব্যানারে আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের প্রতিদ্বন্দ্বী। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেয়ারম্যান,ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।পোস্টার,বিলবোর্ডে ছেয়ে গেছে উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান সহ গ্রামের অলি-গলি।শেষ মুহূর্তেও হাট-বাজার, চায়ের দোকান ও বিভিন্ন মহলে আড্ডায় জমে উঠেছে নির্বাচনী আমেজ।এবার সোস্যাল মিডিয়া (ফেসবুকে) ও সরব ছিল প্রার্থী ও কর্মী সমর্থকেরা । এদিকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।প্রার্থীরা হলেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমা সরোয়ার ঘোড়া প্রতিক,বাগেরহাট জেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ও বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফী জেমস মটর সাইকেল প্রতিক,বাগেরহাট জেলা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক কে এম ফরিদ হাসান আনারস প্রতিক ও প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম মাহফুজুর রহমানের ছেলে ও রাড়িপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বাবু দোয়াত কলম প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে ২ জন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।প্রার্থীরা হলেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ ফিরোজ আহম্মেদ উড়োজাহাজ প্রতিক,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ সাজ্জাদুল ইসলাম সুমন টিয়াপাখি প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।এছাড়াও ৩ জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগ নেত্রী হনুফা খাতুন কলস প্রতিক,মাধবী রানী শীল প্রজাপতি প্রতিক ও মোসাঃ ইয়াসমিন আক্তার হাঁস প্রতিক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।এদিকে গত ৪ মে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নির্বাচনী সহিংশতার ঘটনাও ঘটেছে।ভাষা বাজারে দোয়াত কলম প্রতিকের সমর্থক সাথে ঘোড়া প্রতিক সমর্থকদের মধ্যে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে।এ ঘটনার পরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা মহড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে।এছাড়াও ছোটখাটো আচরণ বিধি লংঘনের ঘটনাও ঘটেছে এ নিয়ে প্রার্থীদের জরিমানাও গুনতে হয়েছে।
সবকিছু মিলে আগামী ৮ মে ভোটগ্রহণের মধ্য দিয়ে সমর্থকদের মধ্যে সৃষ্ট উত্তেজনার সমাপ্তি হতে যাচ্ছে।এ উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৮৯ হাজার ৬ শত ৯১ জন।এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ৪৪ হাজার ৭ শত ৬৪ জন ও মহিলা ভোটার সংখ্যা রয়েছে ৪৪ হাজার ৬ শত ২৭ জন।এ উপজেলায় মোট ৭ টি ইউনিয়নে ৩০ টি ভোট কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।ভোটগ্রহণ শেষে কে হচ্ছে বিজয়ী এটাই এখন দেখার বিষয়।
উজ্জ্বল কুমার দাস(,কচুয়া,বাগেরহাট) প্রতিনিধি।।