জায়গা নিয়ে বিরোধ ঘরে, বাইরে, সবখানে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঘাতক যদি হয় ঘরের শক্র। তেমনি একজন নিরীহ সামশুল আলম দীর্ঘ ৬/৭ বছর ধরে ঘরের শক্র নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। তিনি কক্সবাজার পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের উত্তর ডিককুলের মোক্তার আহমেদের পুত্র।
জানা যায়, জেলা সদরের ঝিলংজা মৌজার আর.এস ৪৬০৫ নং দাগের তুলনামূলক বি.এস ৬৯৯৪ নং দাগের আন্দর, দলিল নং ২৬১১, জমির পরিমাণ ০.০৫৩৩ একর বা ৫.৩৩ শতক ভোগদখলীয় বাড়িভিটা মোক্তার আহমেদের পুত্র সামশুল আলমের। তিনি ১৯/১০/১৯৯১ সনে দাদা আবদুল হামিদের ৮৯৮১ দলিলমূলে (দানপত্র) ২৬১১ কবলামূলে এই ভিটাজমি প্রাপ্ত হন।
দীর্ঘদিন ধরে সামশুল আলমের এই ভোগ দখলীয় ভিটাজমির উপর কুনজর পড়ে চাচা ও চাচাতো ভাইদের। তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ২২ এপ্রিল ২০২৪ সকালে ওইসব ভুমিগ্রাসী চক্র তাদের ভিটাজমি দাবি করে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টায় চালায়। দলবল নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে। বিষয়টি ভুক্তভোগী সামশুল আলম পৌর ওয়ার্ড কাউন্সিলরকে অবহিত করলে তিনি বিরোধ মিমাংসা করে দিলেও বিরোধী পক্ষ তা অমান্য করে তার অনুপস্থিতিতে দখলে নিয়ে উল্টো সামশুল আলমকে বাড়িভিটা ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার হুমকি প্রদর্শন করে। প্রাণনাশের হুমকি দেয়। ঘরের দরজা, জানালা, চাল কেটে ভাংচুর চালায়। এতে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী সামশুল আলম। এদিন তিনি রাতে সদর মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এতে একই এলাকার মৃত আবদুল হামিদের পুত্র মির আহমদ, ফরিদ আহমদ, মৃত হাফেজ আহমদের পুত্র আরফাতুর রহমান ও আনিসুর রহমানকে অভিযুক্ত করেন।
"মানবাধিকার খবর " কে সামশুল আলম বলেন, ৩৩ বছরের আমার শান্তিপূর্ণ ভোগদখলীয় বাড়িভিটা প্রতিনিয়ত জোর জবর দখল করে নিতে তৎপরতা চালাচ্ছে এইসব ভুমি দখলবাজ অপরাধীরা। এব্যাপারে আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর ইউএনও, ওসি, চেয়ারম্যান, মেম্বার, ওয়ার্ড কাউন্সিলর সহ সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতা কামনা করছি।
জানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।