জাকার্তা থেকে: ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তা বিমানবন্দর থেকে বাংলাদেশের পথে রওয়ানা হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ১০ মিনিটে (স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ১০ মিনিটে) জাকার্তা বিমানবন্দর থেকে তিনি দেশের পথে রওয়ানা হন।
এ সময় শেখ হাসিনাকে বিদায় জানান দেশটির শিল্পমন্ত্রী এয়ারলাঙ্গা হারতারতো।
ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জোট ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে ইন্দোনেশিয়া গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সোমবার (৬ মার্চ) বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে সম্মেলনে যোগ দিতে জাকার্তায় পৌঁছান শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা।
এ সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈথ্রিপালা সিরিসেনার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভারত, জাপান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের তিন প্রতিমন্ত্রীও সাক্ষাৎ করেন।
এসব বৈঠক ও সাক্ষাতে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় ছাড়াও সস্ত্রাস-জঙ্গিবাদ মোকাবেলার বিষয় আলোচনায় আসে। এ চার নেতার সঙ্গে বৈঠকের আগে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টে জোকো উইদোদোর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় শেখ হাসিনার।
মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দুপুরের পর জাকার্তা সম্মেলন কেন্দ্রের নুরি-২ রুমে হাসিনা ও সিরিসেনার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের কেন্দ্রের বিভিন্ন লবিতে অন্যান্য সাক্ষাৎগুলো অনুষ্ঠিত হয়।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠক ও সাক্ষাৎগুলোর পর পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
জাকার্তা বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান ইন্দোনেশিয়ার মন্ত্রী ইউহানা সুসানা ইয়েমবিজসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা এবং পরে সুসানার সঙ্গে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা, ছবি: পিআইডি
এ সময় অন্যদেরর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, ইন্দোনেশিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মেজর জেনারেল আজমল কবির।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার সম্পর্ক আরও কীভাবে জোরদার করা যায় এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। ব্যবসা বাণিজ্য বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি সম্পন্ন করতে দুই নেতা সম্মত হয়েছেন জানিয়ে শহীদুল হক বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য উন্নয়নে এফটিএ’র (ফ্রি টেড অ্যাগ্রিমেন্ট/মুক্তবাণিজ্য চুক্তি) বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী অনুরোধ করেছেন সিরিসেনাকে। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে এফটিএ’র বিষয়টি খুবই প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। এটি সম্পন্ন করার জন্য দুই নেতাই সম্মত হয়েছেন।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের সফরের কথা বেশ কিছুদিন ধরে চলছে। প্রধানমন্ত্রী সেটা আবারো উল্লেখ করেছেন। আমরা আশা করছি এ বছরের মাঝামাঝি সময়ে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসতে পারেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে সাক্ষাৎ করেন জাপান, ভারত, আমিরাতের একজন করে প্রতিমন্ত্রী।
পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানান, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতকালে জাপানের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নবুয়ো কিশি সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।