আনোয়ার সাঈদ তিতু, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:- শুক্রবার সকাল ১০ টায় কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজ মাঠে কুড়িগ্রাম জেলা জামায়াতের উদ্যোগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এক কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ড.শফিকুর রহমান।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, জেলা নায়েবে আমীর আজিজুর রহমান সরকার স্বপন, সেক্রেটারি মাওলানা নিজাম উদ্দিন, সহকারি সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হামিদ, শাহাজালাল সবুজ ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
উক্ত কর্মী সম্মেলন সফল করতে জেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের পাড়া-মহল্লা থেকে জামায়াতে ইসলামী ও সকল সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী, সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষী সকাল ৭টার মধ্যে কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ মাঠে উপস্থিত হয়ে জামায়াতের আর্দশকে কুড়িগ্রামের মাঠিতে প্রমাণ করে।
এসময় প্রধান অতিথি আমীরে জামায়াত ডা.শফিকুর রহমান জানান ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারী থেকে ২০২৫ সালের ২৪ জানুয়ারী অদ্যবধি পর্যন্ত দীর্ঘ ৫৩ বছরের প্রত্যেকটি খুন,গুম ও অপকর্মের বিচার বাংলার মাটিতে হবে। যারা বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মের মানুষকে জুলুমভাবে অত্যাচার করেছে, জমি দখল করেছেন,ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করেছে,অন্যায়ভাবে সম্পদ লুণ্ঠন করেছে,তাঁদের ইজ্জতে হাত দিয়েছে এই দুষ্কৃতিকারীদের তালিকা তৈরি করে জনগণের সামনে প্রকাশ করার দাবি করেন।
ওয়ান ইলেভেন সরকারের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন লগি বৈটার তান্ডবের মাধ্যমে আওয়ামীলীগ কে ইঙ্গিত করে বলেন,তারাই এই সরকার এনেছিল। তৎকালীন প্রধান দুটি রাজনৈতিক দলের প্রধান নেত্রীকে মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন প্রস্তাব দিয়েছিলেন তাদের অপকর্মের বৈধতা দিতে, একজন নেত্রী (বিএনপি) তিনি বলেছিলেন জনগণের ভোটে নির্বাচিত সার্বভৌম সংসদ এব্যপারে সিদ্ধান্ত নেবে।অপর নেত্রী (আওয়ামিলীগ) তিনি বলেছিলেন তাদের সব কাজের বৈধতা দেবে।তারই প্রেক্ষিতে ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংএর মাধ্যমে আওয়ামীলীগকে তারা ক্ষমতায় আনে।আর তারা ক্ষমতা নিয়েই বিডিআর বিদ্রহের মাধ্যমে দেশপ্রেমিক ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যার মাধ্যমে হত্যার রাজনীতি শুরু করে।
সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম বলেন সরকারী যেকোনো বাজেট বাস্তবায়নে অন্য কারো পকেটে যেন ৯০ ভাগ ঢুকে না যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে তাঁরা নষ্টের মুখেমুখি করেছে, কুড়িগ্রামের ফেলানী আজ সারা বিশ্বের কাছে নন্দিত।
সকল ক্ষেত্রে সকল শ্রেণীর মানুষকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে যেতে হবে।
এসময় জেলা আমীর মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী বলেন দীর্ঘ ২১ বছর পর জামায়াতের কেন্দ্রীয় আমীর কুড়িগ্রামে কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে এজেলার মানুষের সমস্যা, সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হামিদ জানান আগামী সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসবে।উক্ত কর্মী সম্মেলনে দীর্ঘদিন পর মুক্ত পরিবেশ পাওয়ায় জামায়াতের নেতা কর্মী সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।