মােঃ জানে আলম সাকী, ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম : কক্সবাজার টেকনাফ সেন্টমার্টিনে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন পুরো দ্বীপের হাজার মানুষ। হঠাৎ বিদ্যুতের এমন বিপর্যয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েন দ্বীপ বাসী। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে অন্ধকার হয়ে পড়া সেন্টমার্টিনে শনিবার দুপুরেও বিদ্যুৎ ফিরেনি।
সেন্টমার্টিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী সংস্থা ব্লু-মেরিন এনার্জি লিমিটেড জানান, বাংলাদেশে scube Technology Limited নিয়ন্ত্রিত সোলার প্রজেক্টগুলোর টোকেন রিচার্জ সফটওয়্যার সার্ভার টি সমস্যা কারণে বিদ্যুতের এমন বিপর্যয় হয়েছে।
ব্লু-মেরিন এনার্জি লিমিটেড থেকে এক বার্তার মাধ্যমে জানানো হয়, গত শনিবার (অক্টোবর) থেকে আজ শুক্রবার (১নভেম্বর) পর্যন্ত বাংলাদেশে scube Technology Limited নিয়ন্ত্রিত সোলারপ্রজেক্টগুলোর টোকেন রিচার্জ সফটওয়্যার সার্ভার টি সমস্যা দেখা দেয়। যার কারণে রিচার্জ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। চীন এবং বাংলাদেশ সফটওয়্যার প্রোগ্রামার যৌথভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে, সফটওয়্যার সাময়িক এ সমস্যার জন্য তারা দুঃখও প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে বিদ্যুৎ না থাকায় ডিজেলচালিত জেনারেটর দিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক যন্ত্রের ব্যাটারি চার্জ দিচ্ছেন সেন্টমার্টিনের সাধারণ মানুষ।
সেন্টমার্টিনের বাসিন্দা আব্দুল মালেক সাংবাদিকদের বলেন, ‘সেন্টমার্টিনের মানুষ এখন আইসিওতে আছেন।সন্ধ্যা থেকে বিদ্যুৎ নেই।এদিকে সাগরে মাছ ধরা বন্ধ। পর্যটক আসা নিষিদ্ধ। জাহাজ চলাচল বন্ধ। একমাত্র হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ। সকল রুটি রোজগারের পথ বন্ধ। মাননীয় উপদেষ্টা রিজোয়ানা আপা এসি রুম থেকে বের হয়ে সেন্টমার্টিন আসেন। দুর্ভিক্ষ কাকে বলে দেখে যান।’
জসিম উদ্দিন শুভ নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, সন্ধ্যা থেকে আলোহীন। পুরো দ্বীপ অন্ধকারে। মোবাইলে চার্জ নেই। এভাবেই চলতেই থাকলে দ্বীপের সাথে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। নিজেরদের জীবন বাঁচাতে ডিজেলচালিত জেনারেটর দিয়ে বিভিন্ন ইলেকট্রিক যন্ত্রের ব্যাটারি চার্জ করে যাচ্ছি আমরা। আমাদের একটু বাঁচান।
আব্দুর রহমান নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, দ্বীপের মানুষ খুব কষ্টে আছেন। নেই বিদুৎ, নেই রোজগার। আমাদের দম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। দ্বীপে বাসিন্দাদের বাঁচাতে দেশের মানুষের সহোযোগিতায় চাই।