গত ২০১৫ সালের অক্টোবরে সবশেষ ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলেছিলেন তামিম ইকবাল। চার বছর ঘুরে আবার এসেছে অক্টোবর, আবার প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে মাঠে নেমেছেন তামিম। তবে শুরুটা ঠিক ভালো করতে পারেননি দেশসেরা এ ওপেনার।
ব্যর্থতাময় বিশ্বকাপ ও পরে শ্রীলঙ্কা সফরের বাজে ফর্মের কারণে স্বেচ্ছায় ক্রিকেট থেকে বিরতি নিয়েছিলেন তামিম। ফিরেছেন চলতি জাতীয় ক্রিকেট লিগের মধ্য দিয়ে। বিশেষ করে আগামী মাসে ভারত সফরে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের কথা মাথায় রেখে এবারের জাতীয় লিগের জন্য বেশ পরিশ্রম করেছেন তামিম।
কিন্তু মাঠের খেলায় এর প্রতিফলন ঘটাতে পারলেন না তিনি। নিজ বিভাগীয় শহর চট্টগ্রামের হয়ে খেলতে নেমে আউট হয়ে গেছেন মাত্র ৩০ রানেই। তবে ব্যাট হাতে ফিফটি করতে না পারলেও, বল খেলার সংখ্যায় ঠিকই সেঞ্চুরি পেরিয়েছেন তামিম। ত্রিশ রান করতে খেলেছেন ১০৫ বল।
বৃষ্টির বাধায় দিনের অন্যান্য ম্যাচগুলো যখন আটকে ছিলো, তখন মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঠিকই যথাসময়ে শুরু হয় ঢাকা মেট্রো ও চট্টগ্রাম বিভাগের মধ্যকার ম্যাচটি। যেখানে টস জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মুমিনুল হক।
আগে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাদিকুর রহমান সাবধানী শুরু করেন। তামিম শুরু থেকেই ধীরেসুস্থে খেলতে থাকেন, তবে সাদিকুর খেলতে থাকেন বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ব্যক্তিগত ফিফটি তুলে নিয়ে ৬৯ বলে ৫১ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের বলে উইকেট ছেড়ে বেরিয়ে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিং হন এ ওপেনার।
সাদিকুর ফিরে গেলেও ধরে খেলে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যান তামিম। তবে দ্বিতীয় সেশনে আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি তিনি। অবশ্য বেশ দুর্ভাগাই বলা চলে তাকে। মাহমুদউল্লাহর বোলিংয়ে সজোরে ড্রাইভ করেছিলেন তামিম। কিন্তু সেটি সিলি পয়েন্টে দাঁড়ানো ফিল্ডারের বুটে লেগে সরাসরি চলে যায় মাহমুদউল্লাহর হাতে। ফলে ইতি ঘটে তামিমের ১০৫ বলে ৩০ রানের সংগ্রামী ইনিংসের।