সারাদেশ
  রামগতিতে দুর্বৃত্তের আগুনে মাদ্রাসা ছাত্রীর মৃত্যু
  28-01-2025

দেলোয়ার হোসেন, রামগতি  (লক্ষ্ণীপুর) প্রতিনিধি : লক্ষ্ণীপুরের রামগতিতে দুর্বৃত্তের দেওয়া আগুনে পুড়ে যাওয়া মাদ্রাসার ছাত্রী সামিয়া আক্তার (১৪) মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। এর আগে গত সোমবার গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা ঘরের জানালা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে সামিয়ার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। চর আফজল গ্রামের সোহরাব উদ্দিনের মেয়ে সামিয়া বান্দেরহাট মাজহারুল উলুম আলিম মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। এ ঘটনায় রামগতি থানায় একটি মামলা হয়েছে।

জানা যায়, ঘটনার দিন গভীর রাতে অন্য দিনের মতো তার ছোট ভাইকে নিয়ে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিল সামিয়া। এ সময় দুর্বৃত্তরা ঘরের জানালা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে সামিয়ার গায়ে আগুন ধরিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। সামিয়ার চিৎকারে আগুন নিভাতে গিয়ে তার চাচা নুরুউদ্দিনের দুই হাত ঝলছে যায়।

পরে আশংকাজনক অবস্থায় তাদের দুজনকে চিকিৎসার জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনেই সামিয়া ও তার চাচাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। সোমবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সামিয়ার মৃত্যু হয়।

সামিয়ার অপর চাচা ইমরান হোসেন জানান, ঘটনার দিন রাত চারটার দিকে ঘুমন্ত সামিয়াকে জানালা দিয়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। গায়ে আগুন দেখে চিৎকার দিলে ঘরে থাকা তার ভাই নুরুউদ্দিন এগিয়ে গিয়ে আগুন নিভানোর চেষ্টা করে। ততক্ষণে সামিয়ার শরীরের অনেকাংশ পুড়ে যায়। এসময় আগুন নিভাতে গিয়ে নুর উদ্দিনের দুই হাত পুড়ে যায়। ঘুমন্ত পরিবারের সদস্যদের কিছু বুঝার আগেই এ ঘটনা ঘটে যায়।

কারো সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক নেই জানিয়ে এ ঘটনাকে পরিকল্পিত ঘটনা বলে দাবি করেন সামিয়ার চাচা ইমরান।

রামগতি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কবির হোসেন জানান, সামিয়ার গায়ে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। সামিয়ার মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তিনি গিয়েছেন এবং অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে রামগতি থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সন্দেহ ভাজন কাউকে আটক করা যায়নি। পুলিশ এ ব্যাপারে কাজ করছে।