সারাদেশ
  চট্টগ্রামে সাড়ে ১১ লাখ গ্রাহক প্রি-পেইড মিটারের আওতায় এসেছে
  20-01-2025
মােঃ জানে আলম সাকী,ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামে পিডিবির ১৫ লাখ গ্রাহকের মধ্যে প্রিপেইড মিটারের আওতায় এসেছে সাড়ে ১১ লাখ গ্রাহক। অবশিষ্ট সাড়ে ৩ লাখ গ্রাহককেও প্রিপেইড মিটারের আওতায় আনার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আগে প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের পিডি (প্রকল্প পরিচালকচট্টগ্রাম থাকলেও এখন ঢাকা থেকে এই প্রকল্প পরিচালিত হচ্ছে বলে জানান পিডিবির সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীরা। এদিকে পিডিবির প্রিপেইড মিটার নিয়ে কিছু কিছু গ্রাহক তাদের ভোগান্তির কথা জানালেও পিডিবি বলছে ভিন্ন কথাবুয়েট বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত প্রিপেইড মিটারে হয়রানির কিছুই পাননি বলে জানান প্রকৌশলীরা।
এদিকে প্রিপেইড মিটার প্রকল্প বাস্তবায়নের কারণে পিডিবির রাজস্ব আয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। সারাবছর (শীতকাল ছাড়াপিডিবির রাজস্ব আয় গড়ে ৪০০ কোটি টাকার উপরে বলে জানান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবিচট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (উত্তরশহীদুল ইসলাম মৃধা। তিনি বলেনএখন শীতকালে একটু কম হয়। কারণ শীতকালে বিদ্যুৎ ব্যবহার কম। এখন গড়ে ৩০০ কোটি টাকার মত। শীতকাল ছাড়া অন্যান্য সময়ে ৪০০ কোটি টাকার উপরে রাজস্ব হয়ে থাকে।
চট্টগ্রামে পিডিবির ১৫ লাখ গ্রাহকের মধ্যে এই পর্যন্ত সাড়ে ১১ লাখ গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় এসেছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে  জানান বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবিচট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (পশ্চিমএকেএম মামুনুল বাশরী। প্রিপেইড মিটারের কার্যক্রম চলমান জানিয়ে তিনি বলেনআগে এই প্রকল্পের চট্টগ্রামে পিডি ছিলেন। এখন ঢাকা থেকে এই প্রকল্প পরিচালত হচ্ছে। যে সব গ্রাহক প্রিপেইড মিটারের আওতায় আসেনি সেগুলোর কাজ চলমান রয়েছে।
একেএম মামুনুল বাশরী বলেনবিদ্যুতের প্রিপ্রেইড মিটারের কারণে পিডিবির রাজস্ব আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। কারণ আগে মানুষ বিদ্যুতের অপচয় করতো। এখন প্রিপেইড মিটার হওয়াতে আর অপচয় করে না। অপচয় অনেক কমে গেছে। আগে গ্রাহকদের বিল দেয়ার ভোগান্তি ছিল। মিটার রিডাররা মিটার না দেখে বিল করেছে এমন অভিযোগ নিয়ে প্রতিদিন আমাদের কাছে (বিদ্যুৎ অফিসেশত শত অভিযোগ আসতো। এখন আর সেই অভিযোগ নেই। গ্রাহক তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী কার্ড রিচার্জ করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। তাদের বিল দেয়ার কষ্ট অনেক কমে গেছে। এখন আমাকেআপনাকে যদি বলা হয়প্রিপেইড মিটার বাদ দিয়ে আগের মিটারে যেতেআপনিআমি কেউ যাব?
প্রিপেইড মিটার নিয়ে যারা অভিযোগ করছেন তাদের ব্যাপারে প্রকৌশলী একেএম মামুনুল বাশরী বলেনযারা প্রিপেইড মিটার ব্যবহার করতে জানেন না তারা প্রিপেইড মিটার নিয়ে অভিযোগ করছেন। এই প্রিপেইড নিয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় থেকে বুয়েটের তিনজন শিক্ষক এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়। এই বিশেষজ্ঞ কমিটি প্রিপেইড মিটারে গ্রাহকের হয়রানির যে অভিযোগ তা নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেনমন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিয়েছেন। তাতে প্রিপেইড মিটারে হয়রানির কিছু পাননি। এই মিটার সময়োপযোগী বলেছেন তারা।