সারাদেশ
  চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা বহালের দাবিতে আবার মানববন্ধন করল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
  14-01-2025
মােঃ জানে আলম সাকী, ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বহালের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা।  রোববার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন হয়। এতে বক্তারা পোষ্য কোটা বহালের দাবি জানিয়েছেন।

একই দাবিতে বৃহস্পতিবারও মানববন্ধন করেছিলেন কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। ওই দিন পোষ্য কোটা বহাল না রাখলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে   এ কর্মসূচি হচ্ছে। পোষ্য কোটা বহালের দাবিতে সম্প্রতি এই প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছেন তাঁরা। পাশাপাশি আন্দোলন পরিচালনায় ১৪ সদস্যর একটি সমন্বয়ক দলও গঠন করা হয়েছে।

মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হাছান মিয়া বলেন, কমবেশি প্রতিটি সরকারি চাকরিতে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাঁদের সন্তানদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়ে থাকে। সেনাবাহিনী, রেলওয়ে—সব জায়গায় এটি রয়েছে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে তাঁদের কোনো বৈরিতা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখার তাঁরা সব চেষ্টা করছেন। তিনি আশা করেন, প্রশাসন ও শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটাবিরোধী মনোভাব থেকে সরে আসবেন।

প্রকৌশল দপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার খালেদুর রহমান বলেন, ছাত্ররা পোষ্য কোটা বাতিলে অবস্থান নিচ্ছেন। ছাত্রদের সঙ্গে তাঁদের অবস্থান সাংঘর্ষিক নয়। ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের অনিয়ম নিয়ে কর্মসূচি পালন করলে তাঁরা সঙ্গে থাকবেন। কোটার আসন আর সাধারণ আসন এক নয়। আলাদা মেধাতালিকায় তাঁদের সন্তানেরা ভর্তি হয়ে থাকেন। তাঁরা মেধাহীন নন। পাস করার পর ভর্তি হচ্ছে।এর আগে গত বুধবার দুপুরে পোষ্য কোটা বাতিলে দাবিতে অনশন শুরু করেছিলেন সাত শিক্ষার্থী। পরে তাঁরা দিবাগত রাত দেড়টার দিকে অনশন প্রত্যাহার করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের আশ্বাসে এ কর্মসূচি থেকে সরে আসেন তাঁরা। রোববারের মধ্যে পোষ্য কোটা বাতিল না করা হলে আবার অনশন করার ঘোষণাও দিয়েছেন তাঁরা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পোষ্য কোটা বাতিলের আন্দোলন শুরু হয়েছিল ২৯ ডিসেম্বর। ওই দিন শিক্ষার্থীরা এই কোটা বাতিল, আবেদন ফি কমানো, চাকসু নির্বাচন দেওয়াসহ ৯ দাবিতে মানববন্ধন করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি হয়। আন্দোলনের এক পর্যায়ে ২ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে প্রশাসন দাবি না মানায় গত রোববার আবার আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। পরে সোমবার শিক্ষার্থী, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের নিয়ে আবার বৈঠকে বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বৈঠকে পোষ্য কোটা বাতিল না করে কমানোর সিদ্ধান্তের কথা শিক্ষার্থীদের জানানো হয়। পরে ছাত্রসংগঠনের প্রতিনিধিরা এতে সম্মতি দেন। তবে এ সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করে মঙ্গলবার থেকে আবার আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীদের আরেকটি অংশ।