সকল জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিজ নিজ এলাকায় সার্বক্ষণিক অবস্থানপূর্বক স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে দুর্গত জনসাধারণকে সার্বিক সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যার প্রেক্ষিতে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রশাসক, জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তাদের সার্বক্ষণিক বন্যার্ত ও দুর্দশাগ্রস্ত জনগণের পাশের থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, ওয়াসা, সিটি কর্পোরেশন, এবং ইউনিয়ন পরিষদের পৃথক পৃথক কর্মপদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ কর্মস্থলে অবস্থান ও স্থানীয় প্রশাসনের সাথে নিবিড় যোগাযোগ এবং সমন্বয়পূর্বক প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করবেন।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা ও সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ নিরবিচ্ছিন্ন রাখা এবং ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক ত্বরিত মেরামত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত ও আশ্রয় কেন্দ্রসহ বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ফেনী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রংপুর ও মৌলভীবাজারসহ বন্যা উপদ্রুত জেলাসমূহে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের উপপরিচালক, স্থানীয় সরকারকে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির বাকি ২ সদস্য হবেন সংশ্লিষ্ট জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীগণ। গঠিত মনিটরিং কমিটিকে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনের সাথে সমন্বয়পূর্বক কন্ট্রোল রুম খোলার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট জেলার রাস্তাঘাটের অবস্থা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান ভবনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য ইমেইলে প্রেরণ করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও সাম্প্রতিক অতিবৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যা মোকাবেলায় বন্যা দুর্গত ১১ টি জেলায় তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ১১ জন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। যারা প্রতিদিন বিকাল ৫টার মধ্যে আবশ্যিকভাবে স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক হতে তথ্য সংগ্রহ করে নির্ধারিত ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তাগণের নিকট প্রদান করবেন।
- মােঃ জানে আলম সাকী,
- ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।