জাতীয়
  দেশের বড় বড় জাতীয় সরকারি হাসপাতালে উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা পেলেও রুগিকে নিরুৎসাহিত করা হয়। যেন তারা তাদের প্রাইভেট চেম্বারে দেখান তাহলে সবচেয়ে বেশি ভালো চিকিৎসা পাওয়া সম্ভব
  12-08-2024
দেশের বড় বড় জাতীয় সরকারি হাসপাতালে উন্নত মানের চিকিৎসা সেবা পেলেও রুগিকে নিরুৎসাহিত করা হয়। যেন তারা তাদের প্রাইভেট চেম্বারে রুগী দেখান তাহলে সবচেয়ে বেশি ভালো চিকিৎসা ও আরও অধিক যত্নশীল সফল অস্ত্রোপচার করা সম্ভব।অসুস্থ অসহায় মুমুর্ষ রুগীর আত্মীয় স্বজন বিগড়ে যায়। জীবনে ভালোভাবে বেচে থাকা আর সুস্থ নিরাময় নিরাপদ লাভে নিরন্তর প্রচেষ্টায় জীবনের ভিটা মাটি বিক্রি করে আর ব্যবসা বানিজ্যের শেষ সম্বলটুকু হারিয়ে পথে বসেন অসংখ্য গরীব রুগীর পরিবার। কসাই নামক চিকিৎসকরা এভাবেই চিকিৎসা দিয়ে তারা বড় বড় অভিজাত প্লটবাড়ি- বিলাশবহুল গাড়ি আর বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন।আমাদের দেশে সেবা মুলক প্রতিষ্ঠান খুলে কিডনি বিদেশে পাচারেরও অসংখ্য কাহিনি রয়েছে। বাংলাদেশের চিকিৎসা ব্যাবস্থায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সমাহার ঘটেছে তথাপিও যে রুগীর অপারেশন করতে হবে যা দ্রুতই সুস্থতা ফিরে পেতে খুবই জরুরি অথচ এক শ্রেণির দালাল ও কসাইনামক সরকারি ডাক্তার বলেন, সিট খালি নেই অথবা টাকা পয়সা লেনদেনের মাধ্যমে কিংবা উন্নত সেবা শুশ্রূষার দোহাই দিয়ে দালাল ডাক্তার চক্র তাদের প্রাইভেট চেম্বারে সু- চিকিৎসার নামে সংশ্লিষ্ট প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলেন। এছাড়া রুগীর রিপোর্ট পরীক্ষা নিরীক্ষার নামে বাইরে থেকে করে নিয়ে আসতে বলেন এবং রুগীর মনে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করতে বলেন, এ অপারেশন করলে সত্তর শতাংশ রুগী ভালো হয়না যখন কোন সুপারিশ নিয়ে যাওয়া হয় আরও বলা হয় পাচ বছর পর আবার অপারেশন করতে হবে।এভাবেই ঢাকার নামকরা সকল হাসপাতালের চিত্র প্রায় একইরকম। তখন অনেক রুগীই মূর্ছা যায়। অপারেশন করতে এসে রুগীর জীবন উল্টেপাল্টে দেয়ার অসংখ্য নজীরও রয়ে যায়।রুগীর অভিভাবকরা উদ্বেগ উৎকন্ঠায় ভোগেন।চিকিৎসকরা প্রাইভেট চেম্বার হাসপাতাল খুলে লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা কামিয়ে অভিজাত বিল্ডিং হাকান বিলাশবহুল গাড়ির মালিক প্লট ব্যবসা প্লটে মফস্বল শহরেও লিফট স্থাপন করেন যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে তার পরিবার ওঠানামা করতে পারে। শুধু কি তাই! পুলিশের মতো এদের বিছানার তলে কোটি কোটি টাকার বান্ডিল থাকার নজীরও কম নয়! তারা ওষুধ কোম্পানি থেকে মোটা উপঢৌকন,পরিক্ষা নিরিক্ষার নামে মোটা অংকের পার্সেন্টেজ সহ সকল ধরনের উচ্চ বিলাশী জীবন যাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন আর পেছনের দিকে তাকাতে হয়না।তাদের বিলাশবহুল জীবনযাপন বলে দেয় তারা কতটা টাকার কুমীর বনে গেছেন। উপজেলা, জেলা, মহানগর, সিটি করপোরেশন এবং বিভাগীয় শহর সহ ঢাকায় যে সকল জাতীয় সরকারি হাসপাতাল রয়েছে যেন একই চিত্র যা দেশের সাধারন হিসেবে রীতিমতো ভাবিয়ে তোলে।আমাদের প্রতিনিধি আজাদ রুহুল আমিন যিনি বাগেরহাট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিটিভি রাষ্ট্রীয় প্রচার মাধ্যম জনপ্রিয় বেসরকারি চ্যানেল ওয়ানের সাবেক প্রতিনিধি তিনি সরেজমিন দেশের অনেক হাসপাতালের এমনতর বাস্তব চিত্র নিজের বেলায়ও দেখতে পেয়েছেন।ঢাকা পংগু হাস্পাতাল,পিজি হাসপাতাল, হ্রদরোগ হাসপাতাল, মানুষিক,শিশু,সোহরাওয়ার্দী, চক্ষু, এছাড়া বেসরকারি ফরাজী হাসপাতাল ও বাংলাদেশ স্পাইন এন্ড অর্থোপেডিক জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়ে এ সকল অনিয়ম দুর্নীতি দেখতে পান।যখন অপারেশন লাগবে পায়ের শিরায় রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হবার উপক্রম তখন দেশের একমাত্র ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে উল্লেখিত হাসপাতালের চিকিৎসক তার মধ্যে অনেক বন্ধু চিকিৎসক তারা পরামর্শ দেন নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চান্স পেলে অপারেশনটি ভালো হবে। চললো মিশন অতি প্রত্যুষে সকাল সাতটায় লাইনে দাঁড়ানো আর কাউন্টার খোলে সকাল ন"টায় এর মধ্যে ভেতর থেকে একটি চক্র টিকেট নিতে নিতে লম্বা লাইনে পায়ের ব্যাথায় বসে পড়া আর দাড়াতে দাড়াতে টিকেট মেলে সকাল এগারোটা।এরপর দৌড়ঝাপ।১০২ নাম্বারে মেডিকেল অফিসার নিউরোসার্জারী ডাক্তার তাহরীমা শওগত যিনি রিপোর্ট দেখছেন ওষুধের নাম লিখছেন অপারেশন লাগবে। রেফার্ড করলেন ১০৬ নাম্বারে এসিষ্ট্যান্ট প্রফেসর ডাক্তার হাসান মেহবুব তিনি ও রিপোর্ট দেখে বললেন অপারেশন মাস্ট বি।পাঠালেন ১০৭ নাম্বার কক্ষে।ওখানে গিয়ে আটকে যাওয়ায় ঢাকার এক অনুজ সাংবাদিক তিনি ডেপুটি ডাইরেক্টর ফজলুল হককে বলে দিলেন,মেডিকেল বোর্ড বসে প্রতি শনি ও মংগলবার। সেখানে ডেকে শুয়ে পড়তে বললেন হাতুড়ি দিয়ে অনেক পরীক্ষানিরীক্ষা চিকিৎসক চার পাচ জন বললেন অপারেশন লাগবে সিট খালি নাই মংগলবার আসতে বললেন সেদিন সিট খালি নাই বলে দিলেন তার আগে আবাসিক মেডিকেল অফিসার নিউরোসার্জারী ডাক্তার হাসান মেহবুব এর চেম্বারে দেখা করলে বললেন কার সুপারিশে এসেছেন বলা হলো ডেপুটি ডাইরেক্টর এর কথা তিনি বললেন সুপারিশ লিখে আনেন। ডেপুটি ডাইরেক্টর নাম ঠিকানা লিখে চেম্বারে যেতে বললেন, বললো সিট খালি নাই। এরপর আবার শনিবার সেদিন এক অনুজ সাংবাদিক মিজান আকন দৈনিক ভোরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার এলেন হাসপাতালে ভর্তির জন্য। এর আগেই জয়েন্ট ডাইরেক্টর ডাক্তার বদরুল আলমের ওয়াটসপে প্রেসক্রিপশন পাঠিয়ে ফোনে বলে দিলেন মিনিস্ট্রি অফ হেলথ এন্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার জয়েন্ট সেক্রেটারি অতুল সরকার, সাবেক সচিব ম্যাজিস্ট্রেট রোকন উদ দ্দৌলা এবং সাবেক মন্ত্রী বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মঈন উদ্দিন। আবার সেই ১০৬ নাম্বার কক্ষে তিনি রিপোর্ট দেখবেন বলা হলো আপনি বলেছেন অপারেশন লাগবে মাস্টবি।তিনি রিপোর্ট দেখে বললেন, আজ সিট খালি থাকলে দেয়া হবে,আগামীকাল অস্ত্রোপচার হবে কিন্তু গরুর মতো মাজার হাড় কেটে। এ রুগী সাধারণত ৭০% ভালো হয়না আবার পাচ বছরের মাথায় অপারেশন করতে হবে। আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার হাসান মেহবুব রীতিমতো ভয় দেখালেন ও একপ্রকার নিরুৎসাহিত করলেন। ভি আই পি তদ্বির ছাড়া হয়না আবার যখন তদ্বির করা হয় তখন এভাবেইতো শত শত রুগীকে নিরুৎসাহিত করে তারা তাদের চেম্বারে একটি অপারেশন করতে নেবে কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা। এরপর মংগলবার ভর্তি প্রায় কনফার্ম কিন্তু ডাক্তার হাসান মেহবুব যা বললেন (১)
আজাদ রুহুল আমিন
বিশেষ প্রতিনিধি