শুধু নির্ভরযোগ্য ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। সোমবার (২৯ জুলাই) এক বিবৃতির মাধ্যমে এ আহ্বান জানানো হয়। নিরীহ কোনো ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করারও আহ্বান জানিয়েছে কমিশন।বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘটিত সাম্প্রতিক সহিংসতা ও নাশকতার ঘটনা দুঃখজনক এবং এতে মূল্যবান প্রাণহানি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদের বিপুল ক্ষতি সাধিত হয়েছে।এসব প্রাণহানি ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসের ঘটনায় বিভিন্ন পর্যায়ে তদন্ত চলমান। নাশকতাকারীদের গ্রেপ্তারে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করছে। এ ক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য ও সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতেই শুধু প্রকৃত অপরাধী শনাক্তকরণ, বিচারের আওতায় আনয়ন এবং নিরীহ কোনো ব্যক্তি যাতে হয়রানির সম্মুখীন না হন সে বিষয়ে আহ্বান জানায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, নাগরিক জীবনে স্বস্তি আনা এবং নাগরিকদের মানবাধিকারের প্রতি সম্মান রেখে কোনোক্রমেই যাতে গণগ্রেপ্তার করা না হয় এবং প্রকৃত অপরাধী শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয় সে বিষয়ে আহ্বান জানাচ্ছে কমিশন। কমিশন বিশ্বাস করে, সবার সার্বিক প্রচেষ্টায় অতিসত্বর জননিরাপত্তা নিশ্চিত হবে এবং স্বাভাবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। এ বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নাশকতাকারী ও দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছে। পরিচালিত অভিযানে বিভিন্ন গণমাধ্যম গণগ্রেপ্তারের তথ্য প্রকাশ করেছে। জনগণের অনেকে এতে ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। কোনো প্রকৃত অপরাধী যাতে ছাড়া না পায় এবং কোনো নিরীহ ব্যক্তি যাতে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হয় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানাই।
মােঃ জানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।
|