সারাদেশ
  আন্দোলনের বিস্তারিত কূটনীতিকদের অবহিত করবে বিএনপি
  27-07-2024
সহিংসতার অভিযোগে সারা দেশে পুলিশের অব্যাহত গ্রেফতার অভিযানে বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াতের আরও ১৩০০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, যুববিষয়ক সহসম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাদ মোর্শেদ হোসেন পাপ্পা সিকদারকে আটক করেছে পুলিশ। আর বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লা বুলুকে না পেয়ে আটক করা হয়েছে তার ছেলে সানিয়াদকে।  কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে নাশকতা, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের ওপর হামলা, স্থাপনা ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধাসহ নানা অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয় বলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন।জানা যায়, কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে নতুন করে চাপে পড়েছে বিএনপি।  সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডেও দেখা দিয়েছে স্থবিরতা। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নেতাকর্মীদের। যে কারণে ভার্চুয়াল সভাও করতে পারছেন না। এর মধ্যে নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা থাকায় আরও জটিলতায় পড়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা। তবে ভিন্ন মাধ্যমে কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্র করে নিহত, আহত, নিখোঁজ, গ্রেফতার ও মামলার আসামি হওয়া নেতাকর্মীর তালিকা করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল নেতা। এদিকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন, আন্দোলন কেন্দ্র করে হত্যা, আহত, গ্রেফতারের তথ্যসহ বিস্তারিত কূটনীতিকদের অবহিত করবে বিএনপি। এ নিয়ে দলটির একটি টিম তথ্য সংগ্রহ করছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন দেশের দূতাবাস ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোয় ওই তথ্যাদি পাঠাবে বলে বিএনপির একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়ালি সভা করা যায়নি। বিএনপির দপ্তর শাখার প্রধান ও দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গ্রেফতার এবং কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা দেওয়ার পর এ শাখা অকার্যকর হয়ে পড়ে। সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু ছাড়া দপ্তরের অন্যরা আছেন আত্মগোপনে। সংবাদমাধ্যমে দলের পক্ষ থেকে বিবৃতি, তথ্য আদান-প্রদানে টিপু ছাড়া আর কাউকে দেখা যায়নি এ কয়দিনে। অঙ্গসহযোগী সংগঠনের দপ্তরের দায়িত্বে থাকা নেতাদের সঙ্গেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। মামলা-হামলা আর গ্রেফতারের আতঙ্কে তারা আছেন আত্মগোপনে। যে কারণে ঢাকাসহ সারা দেশের ক্ষতিগ্রস্ত নেতাকর্মীর পুরোপুরি চিত্র নেই দলটির কাছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘যোগাযোগমাধ্যম সরকার বন্ধ রাখায় আমরা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি, নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের অফিসগুলো অভিযান চালিয়ে সবকিছু নিয়ে গেছে। তবে এখন পর্যন্ত যতটুকু জানতে পেরেছি, দুই হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।