সারাদেশ
  চট্টগ্রাম কাস্টমসে নিলামে বিক্রি হবে ১০ কোটি টাকার আপেল-কমলা;
  08-07-2024

আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নেওয়ায় আপেল-কমলাসহ প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের ফল-মূল নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। সোমবার (৮ জুলাই) থেকে তিন দিনব্যাপী চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নিলাম শাখার হল রুমে অনুষ্ঠিত হবে এই নিলাম।প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এরইমধ্যে নিলাম উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরের ফলমণ্ডিসহ আশপাশের দুই কিলোমিটার এলাকায় মাইকিং করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফাইজুর রহমান বিভিন্ন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সাধারণ নিয়মে নিলামের পাশাপাশি পচনশীল পণ্য উন্মুক্ত টেন্ডার বা প্রকাশ্য নিলামে বিক্রি করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। এর ধারাবাহিকতায় আপেল এবং কমলা নিলামে তোলা হচ্ছে।’চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমকে  জানিয়েছে, তিন দিনব্যাপী প্রকাশ্যে নিলামের প্রথমদিন সোমবার (৮ জুলাই) পাঁটটি লটে নিলাম হবে আপেল ও কমলা। এর মধ্যে ৮২ লাখ ৪১ হাজার ১৮ টাকা মূল্যের সাড়ে ৪৬ টন এবং ৮৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৯৬ টাকা মূল্যের সাড়ে ৪৭ টন আপেল নিলাম করা হবে। এছাড়া ৪০ লাখ ৯৮ হাজার ৪৯৪ টাকা মূল্যের সাড়ে ২৩ টন ও ৪০ লাখ ৭৬ হাজার ১৫৪ টাকা মূল্যের সাড়ে ২৩ টন কমলা নিলাম হবে।পরদিন মঙ্গলবার (৯ জুলাই) ১ কোটি ৫২ লাখ ২২ হাজার ১৬৫ টাকা মূল্যের সাড়ে ৮৭ টন, ৩৭ লাখ ৯৪ হাজার ২৯২ টাকা মূল্যের ২২ টন এবং ৮০ লাখ ৭৮ হাজার ৫৯০ টাকা মূল্যের সাড়ে ৪৬ টন মেন্ডারিন নিলাম করা হবে। এছাড়া ৪১ লাখ ২০ হাজার ৯০৭ টাকা মূল্যের সাড়ে ২৩ টন আপেল এবং ৪১ লাখ ২০ হাজার ৯০৭ টাকা মূল্যের সাড়ে ২৩ টন আপেল নিলাম হবে।বুধবার (১০ জুলাই) নিলামে তোলা হবে ৪১ লাখ ২০ হাজার ৯০৭ টাকা মূল্যের সাড়ে ২৩ টন এবং ৮৫ লাখ ৪১ হাজার ৮৯৬ টাকা মূল্যের সাড়ে ৪৭ টন আপেল, ৭৯ লাখ ৪৭ হাজার ৬৮৭ টাকা মূল্যের সাড়ে ৪৫ টন মেন্ডারিন এবং ১ কোটি ৮৪ লাখ ১০ হাজার ৯২৪ টাকা মূল্যের ২৫ টন খেজুর।নিয়ম অনুযায়ী, আমদানিকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে আমদানিকারককে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।কিন্তু কাস্টমসের নিলামে নিয়মিত অংশগ্রহণকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। সময়মতো নিলামে না তোলার কারণে পচনশীল পণ্য যেমন কনটেইনারেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তেমনি আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেওয়ায় বন্দরের ইয়ার্ডে কনটেইনারে জটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে দুইদিক থেকেই রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।

মােঃ জানে আলম সাকী,

ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।