সারাদেশ
  চট্টগ্রামে ফ্লাইওভার ধসে ১৩ জন নিহতের মামলার রায় ১০ জুলাই
  25-06-2024

এক যুগ আগে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের গার্ডার ধসে ১৩ জনের মৃত্যুর মামলায় রায় ঘোষণা করা হবে ১০ জুলাই। মঙ্গলবার চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভুঁঞা এই দিন ঠিক করে দেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান মহানগর আদালতের পিপি আবদুর রশিদ।এই মামলার আট আসামির সবাই ঠিকাদার মীর আখতার-পারিসা’র (জেভি) তৎকালীন কর্মী। তারা হলেন- প্রকল্প ব্যবস্থাপক গিয়াস উদ্দিন, মনজুরুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবদুল জলিল, আমিনুর রহমান, আবদুল হাই, মোশাররফ হোসেন, মান নিয়ন্ত্রণ প্রকৌশলী শাহজাহান আলী ও রফিকুল ইসলাম। চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি অনুপম চক্রবর্তী  সাংবাদিকদের  জানান, মামলায় ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। এরপর যুক্তিতর্ক উপস্থাপনও শেষ হয়েছে। আদালত রায় ঘোষণার জন্য দিন ঠিক করেছেন।মামলায় ৩০৪ এবং ৩৩৮ ধারায় অভিযোগ গঠন করা হয়েছিল। এরমধ্যে ৩০৪ ধারায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগে সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ৩৩৮ ধারায় গাফিলতির কারণে কেউ আহত হলে সর্বোচ্চ সাজা ২ বছর।মহানগর পিপি আবদুর রশিদ বলেন, “আমরা অভিযোগ প্রমাণের চেষ্টা করেছি। তবে প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী তেমন না থাকায় একটু সমস্যা হয়েছে। আশা করি, সর্বোচ্চ সাজা হবে।”চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের পেশকার ওমর ফুয়াদ গণমাধ্যমকে  বলেন, “আসামি পক্ষেও ৭ জন সাফাই সাক্ষ্য দিয়েছেন। ৭ ফেব্রুয়ারি যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। এরপর সাতটি ধার্য তারিখে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়েছে।”আসামিরা সবাই জামিনে আছেন।২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় নির্মাণাধীন বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙে পড়লে তাতে চাপা পড়ে ১৩ জন নিহত হন।পরে ওই বছরের ২৬ নভেম্বর নগরীর চান্দগাঁও থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করেন।ওই মামলায় প্রকল্পটির পরিচালক সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, সহকারী প্রকৌশলী তানজিব হোসেন ও উপসহকারী প্রকৌশলী সালাহ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরীকে আসামি করা হয়।এছাড়া ঠিকাদার মীর আখতার অ্যান্ড পারিসা ট্রেড সিস্টেমসের ১০ জন এবং বেসরকারি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ১২ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছিল।কিন্তু ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর এজাহার বর্হিভূত একজনসহ আটজনকে অভিযুক্ত করে প্রতিবেদন জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম শহীদুল ইসলাম।আর এজাহারভুক্ত সিডিএ’র তিন কর্মকর্তা, ঠিকাদার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজন এবং পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মতিনসহ ১২ জনকে বাদ দেওয়া হয়।পরে ২০১৪ সালের ১৮ জুন আটজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ এস এম মজিবুর রহমান।বিচার শুরুর ১০ বছর পরে এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় চলতি বছর জানুয়ারিতে।

মােঃ জানে আলম সাকী,

ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।