সারাদেশ
  প্রধানমন্ত্রীর উপহার এর ঘর পাচ্ছে আরও ২৬১টি গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবার
  10-06-2024

কক্সবাজারের তিনটি উপজেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ঘর পাচ্ছে আরও ২৬১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। আগামী মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এসব পরিবারের মধ্যে উপহারের ঘর দেওয়া হবে। এর মধ্য দিয়ে পুরো কক্সবাজার জেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। এর আগে কয়েক ধাপে ৪ হাজার ৬৬৪টি ঘর হতদরিদ্রদের মধ্যে হস্তান্তর করা হয়।

শেষ ধাপে বিনা মূল্যে ২ শতক জমিসহ উপহারের পাকা ঘর পাওয়ার আশায় নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন ঈদগাঁও, মহেশখালী ও কক্সবাজার সদরের তালিকাভুক্ত হতদরিদ্ররা।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, মঙ্গলবার কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও এবং মহেশখালী উপজেলার ২৬১টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারে উপহারের পাকাবাড়ি হস্তান্তর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ৭৫, ঈদগাঁওয়ে ১৪৬ ও মহেশখালীতে ৪০টি ঘর রয়েছে। ইতিমধ্যে ২৬১টি ঘর নির্মাণ শেষ হয়েছে। এর আগে ঈদগাঁওয়ে ৩১৯, কক্সবাজার সদরে ৫১৯ ও মহেশখালীতে ৩৩১ পরিবারকে উপহারের ঘর হস্তান্তর করা হয়। তিন উপজেলায় আরও ২৬১ পাকাবাড়ি হস্তান্তরের পর ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলা হবে এই তিন উপজেলা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বিভিন্ন গণমাধ্যমকে  বলেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে বিপুলসংখ্যক ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর দৃঢ় প্রত্যয়ের প্রমাণ রেখেছেন। এটি অনন্য উদ্যোগ।

জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, জেলার ৯টি উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা ৪ হাজার ৯২৫। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় প্রথম থেকে পঞ্চম পর্যায়ে (প্রথম ধাপ) ৪ হাজার ৬৬৪ পরিবারে ঘর হস্তান্তর করা হয়। তখন জেলার ছয়টি উপজেলা চকরিয়া, পেকুয়া, রামু, টেকনাফ, কুতুবদিয়াকে ভূমিহীন গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়। এখন কক্সবাজার সদর, মহেশখালী ও ঈদগাঁওয়ের মাধ্যমে পুরো কক্সবাজার জেলা ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হচ্ছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জাহিদ ইকবাল বলেন, নির্মিত প্রতিটি ঘরের সঙ্গে পরিবারপ্রতি ২ শতাংশ খাসজমি প্রদান করা হচ্ছে। সেই হিসাবে হস্তান্তর করা ঘরের বিপরীতে ১১৩ দশমিক ৭৪ একর জমি বন্দোবস্ত করা হয়েছে, যার মূল্য ১০৩ কোটি ৭৭ লাখ ৩২ হাজার টাকা। এ ছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোয় প্রায় ৮ দশমিক ৬৫ একর জমি কমন স্পেস হিসেবে উপকারভোগীরা ব্যবহার করছেন। ১ হাজার ৬০৪ জন উপকারভোগীকে হাঁস-মুরগি পালন, গরু মোটাতাজাকরণ, মাছ, সবজি চাষসহ বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

 
মােঃ জানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।