সারাদেশ
  পার্বত্য জেলা বান্দরবানে নিহত ৩ কেএনএফ সদস্যের মরদেহ গ্রহণ করেনি পরিবার
  23-05-2024
বান্দরবানের রুমা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সশস্ত্র শাখা কুকি চিন ন্যাশনাল আর্মি’র (কেএনএ) নিহত ৩ সদস্যের মরদেহ পরিবারের কেউ গ্রহণ করতে আসেনি। পরে বান্দরবান পৌরসভার কাছে মরদেহ হস্তান্তর করে পুলিশ। এর আগে রবিবার (১৯ মে) দুপুরে রুমা-রোয়াংছড়ি সীমান্তে পাইক্ষ্যং ও রৌনিন পাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনীর সাথে কেএনএফ’র সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। এসময় নিহত হয় কেএনএফের তিনজন সশস্ত্র সন্ত্রাসী। নিহতরা হলেন, রৌনিন পাড়ার জ্ঞানমুন বমের ছেলে এডি থাং বম (২৪), সিকুয়াল বমের ছেলে রুয়ালসাংয়াম বম (২৩) ও জিরথন বমের ছেলে রুয়ালমিনলিয়ান বম (২০)। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রুমা-রোয়াংছড়ির সীমান্তবর্তী পাইক্ষ্যং ও রৌনিন পাড়ায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে নিহত কেএনএফ সদস্যের নাম, পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। তবে মরদেহ গ্রহণ করতে আত্মীয় স্বজন ও পরিবারের কেউ না আসায় ময়নাতদন্ত শেষে বান্দরবান পৌরসভার কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পৌরসভার মাধ্যমে সদর উপজেলার লাইমি পাড়ার খ্রিস্টান কবরস্থানে তাদের মরদেহ দাফন করা হয়। এ বিষয়ে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমী বিভিন্ন গণমাধ্যমকে  বলেন, যৌথ অভিযানে নিহত তিন জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা তিনজনই কেএনএফ এর সদস্য ছিল। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে রাতে বান্দরবান সদর হাসপাতাল মর্গে আনা হয়। নিহতদের পরিবারের কেউ না আসায় ময়নাতদন্ত শেষে পৌরসভার নিকট হস্তান্তর করা হয়। উল্লেখ্য, গত ২ ও ৩ এপ্রিল বান্দরবানের রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি, মসজিদে হামলা, অপহরণ, টাকা-অস্ত্র লুটের ঘটনায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সংশ্লিষ্টতা থাকার অভিযোগে পাহাড়ে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।
মােঃ জানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।