রাজনীতি
  কক্সবাজারে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট শেষে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে ১ যুবক নিহত;
  21-05-2024
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলায় নির্বাচনী সহিংসতায় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে টেলিফোন প্রতীকের এক সমর্থক নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোটগ্রহণ শেষে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার পশ্চিম পোকখালী ৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে বলে   বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঈদগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা। ছুরিকাঘাতে নিহত সফুর আলম (৩৮) ওই ওয়ার্ডের মামমোরা পাড়া এলাকার নুর উদ্দিনের ছেলে। তিনি টেলিফোন প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু তালেবের সমর্থক ছিলেন। টেলিফোন প্রতীকের সমর্থকরা সাংবাদিকদের জানান, তিনি একটি বাড়িতে খাবার খেতে গেলে সেখানে মোটরসাইকেল প্রতীকের সমর্থকেরা তাকে আটকে রাখে। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধারে ছুটে যান সফুর আলম। সেখানে তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে  ৪টা ৩০মিনিটে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ড. সাজ্জাদুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন। কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিভিন্ন গণমাধ্যমকে  জানান, ঈদগাওয়ে নির্বাচনী সহিংসতা রোধে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা  শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তিনি জানান, দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া ও ঈদগাঁও উপজেলার ভোট ইভিএমে শেষ হয়েছে। এখন চলছে ফল ঘোষণার প্রক্রিয়া। এদিকে দুপুর একটার দিকে প্রায় ৩০টি কেন্দ্রে টেলিফোন প্রতীকের সমর্থকেরা প্রতিপক্ষ প্রার্থীর এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে দুপুরে আড়াইটার দিকে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ তুলে আনারস প্রতীকের প্রার্থী সেলিম আকবারের কর্মী-সমর্থকরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে অবরোধ করেন। এ সময় বিজিবি পুলিশ ও র‍্যাবের সাথে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। পরে ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সড়ক অবরোধ তুলে নেয়।
মােঃ জানে আলম সাকী, 
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।