সারাদেশ
  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কানে গোপন ডিভাইস, ভাই-বোন আটক;
  30-03-2024
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কানের ভেতর বিশেষ কায়দায় লুকিয়ে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ ভাই-বোনকে আটক করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। শুক্রবার (২৯ মার্চ) সকালে শহরের মেড্ডায় পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্র থেকে তাদেরকে আটক করে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সেলিম শেখ। আটকরা হলেন- বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের টুকচানপুর গ্রামের আব্দুল মালেকের মেয়ে রিনা আক্তার ও তার বড় ভাই আব্দুল জলিল।কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ১০টার দিকে পৌর ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা শুরু হয়। এসময় কেন্দ্রের ১০১নং কক্ষে থাকা পরীক্ষার্থী রিনা আক্তার পরীক্ষার শুরু হওয়ার আধা ঘণ্টা অতিক্রম হলেও পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর পত্রে তিনি কোনো কিছু না লিখে বসে অপেক্ষা করছিলেন। এসময় পরীক্ষা কেন্দ্রে দায়িত্বরত কেন্দ্র পরিদর্শকের সন্দেহ হয়। পরে তার দেহ তল্লাশি করে বিশেষ কায়দায় কানের ভিতরে লুকিয়ে রাখা খুব ছোট একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। পরে কলেজের অধ্যক্ষ হরিলাল দেবনাথ সদর উপজেলা নির্বাহীকর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখকে খবর দেন। পরে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থলে ছোটে এসে শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। পরে শিক্ষার্থীর দেওয়া তথ্য মতে পরে তার ভাই আব্দুল জলিলকে আটক করা হয়। পরে দুজনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়। 
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে  বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজে শুক্রবার সকালে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা চলাকালে পৌর ডিগ্রি কলেজে ১০১ নম্বর কক্ষে রিনা আক্তার নামে এক পরীক্ষার্থী অবৈধ পন্থায় কানের ভেতর বিশেষ কায়দায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করেন। পরীক্ষা চলাকালীন সময় ওই পরীক্ষার্থী উত্তরপত্রে কোনো কিছু লিখছিলেন না। বাহির থেকে উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। বিষয়টি কেন্দ্রে দায়িত্বরতদের সন্দেহ হয়। পরে তারা তাকে তল্লাশি করে তার কান থেকে খুবই ছোট আকারের একটি ডিভাইস উদ্ধার করেন। 
তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে, ডিভাইসের মাধ্যমে ওই পরীক্ষার্থী পরীক্ষার শেষ মিনিট দশ মিনিট আগে উত্তর লেখার চেষ্টা করতেন। তিনি জানান, এর পেছনে একটি বিশাল চক্র জড়িত থাকতে পার। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, বাহিরে থাকা তার ভাইয়ের  মাধ্যমে ওই ডিভাইসটি সংগ্রহ করেছিলেন। যার কারণে তার ভাইকেও আটক করা হয়। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলার মাধ্যমে এই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারে চেষ্টা করা হবে।
মােঃ জানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।