আসছে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পর্যটন শহর কক্সবাজারের হোটেল মোটেল ও রেস্তুরা গুলো নবরুপে সাজানো হচ্ছে। এর মাঝে গতকাল সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায়, সনাতন ধর্মালম্বীসহ হাজারও পর্যটকে মুখরিত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকা। কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টে কয়েক হাজার পর্যটক সৈকতে নেমেছেন। অর্ধেকের বেশি মানুষ সমুদ্রে নেমে গোসলে ব্যস্ত। এর মধ্যে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে ও কলাতলী পয়েন্টে দেখা গেছে ভ্রাম্যমাণ লকার। এদুটি লকারের একপাশে ঝুলানো ব্যানারে লেখা আছে। ‘কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে আপনাকে স্বাগতম। আপনার আনন্দঘন মুহূর্ত নির্বিঘ্নে উপভোগ করতে মূল্যবান প্রয়োজনীয় সামগ্রী লকারে রাখুন। প্রতি ঘণ্টা ৪০ টাকা।’ এসব লকারে পর্যটকরা তাদের মূল্যবান জিনিসপত্র রেখে প্রতিনিয়ত প্রতারণার শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন শতাধিক পর্যটক। এসব লকার থেকে পর্যটকদের মোবাইলসহ নানা জিনিস হারিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ইতিমধ্যে অনেক বিচার সালিশও হয়েছে বলে জানান বীচ কর্মীরা। ঢাকা থেকে আসা পর্যটক বেলাল উদ্দিন জানান, তিনি সুগন্ধা পয়েন্টের লকারে মোবাইলসহ টাকা পয়সা রেখে সাগরে গোসল করতে নামে। পরে ফিরে এসে দেখে তার জিনিস পত্র রাখা লকার খোলা। আর সব জিনিসই খোয়া গেছে। চট্রগ্রামের আশরাফ জানান, তিনি কলাতলী বীচের লকারে জিনিস রাখার পর একটি মোবাইল হারিয়েছে। এসব বিষয়ে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের নজরদারী জরুরী বলে দাবি করেন পর্যটকরা।
সচেতন মহলের দাবি এসব লকার ট্যুরিস্ট পুলিশের অধীনে হলে, সৈকতে পর্যটকদের মালামাল হারানো ও চুরির ঘটনা অনেকটাই কমে যাবে।
এক পর্যটক বলেন, তিনি সুগন্ধা পয়েন্টের ট্যুরিস্ট পুলিশ লেখা লকারে মুঠোফোন, মানিব্যাগ, চশমা, ঘড়ি, জুতা, ব্যাগসহ মূল্যবান সামগ্রী রাখেন। পরে তার মোবাইল ফোন ওই লকার থেকে খোয়া যায়। পরে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও সেদিন মুঠোফোন উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এবিষয়ে কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান, এই ব্যাপারে খোঁজ খবর নিয়ে ঘটনার সাথে কারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
মােঃ জানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।
|