সারাদেশ
  শ্রীপুরে মহাসড়কে বেপরোয়া অটোরিকশার দাপট,প্রাণহানির শঙ্কা!
  12-02-2024
গাজীপুরের শ্রীপুরে ঢাকা-ময়মনসিংহ  মহাসড়কের  গড়গড়িয়া মাস্টার বাড়ি থেকে জৈনা বাজার এলাকায় চলছে অবৈধ  অটোরিকশা। নিয়ম না মেনে  উপজেলার বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অটোরিকশা। অনেক চালকেরই ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। বড় যানবাহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেপরোয়া গতিতে চলাচলের কারণে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই। উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ সূত্র মতে,শ্রীপুরে কতগুলো অটোরিকশা সড়ক-মহাসড়কে চলাচল করে তার প্রকৃত তথ্য তাদের কাছে নেই। ধারণা করা হচ্ছে, ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক সহ উপজেলার  বিভিন্ন সড়কে অন্তত দেড় থেকে দুই হাজার অটোরিকশা চলাচল করে। এসব অটোরিকশার অধিকাংশ চালকের লাইসেন্স নেই, নিবন্ধনও নেই। স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও পুলিশকে ম্যানেজ করে অটোরিকশাগুলো চলাচল করছে। অটোরিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,  প্রতিদিন মালিককে ভাড়া দিতে হয় ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। উপজেলার এমসি বাজার এলাকায় একটি ইউর্টান রয়েছে। ইউর্টানে ঘুরার সময় সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকে অটোরিকশা। ফলে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন যানবাহনকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়। এতে বিপুল কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়। স্থানীয়রা জানিয়েছে, মহাসড়কে নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও ব্যস্ততম ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর পৌর সভার গড়গড়িয়া মাস্টার,সিএনবি,মাওনা চৌরাস্তা,রঙিলা বাজার,এমসি বাজার,নয়নপুর বাজার, জৈনা বাজার সহ উপজেলার অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে বেপরোয়া গতিতে রাতদিন বিরামহীন অটোরিকশা চলছে। অধিকাংশ অটোরিকশাচালকই অদক্ষ। অনেকেরই অক্ষরজ্ঞান নেই। এতে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটছে। থানা পুলিশের তথ্যমতে, গত বছর অটোরিকশা দুর্ঘটনা হয়েছে প্রায়  শতাধিক। এতে নিহত হয়েছেন শিশুসহ কমপক্ষে ৩০ জন। আহত হয়েছেন শতাধিক। শ্রীপুর পৌরসভার বাসিন্দা আরিফ  হোসেন জানান, অদক্ষ চালকরা গাড়ি চালানোর ফলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সড়ক-মহাসড়ক। ফলে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। আরেক বাসিন্দা রুবেল  সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে নিয়মিত অভিযানের দাবি জানান। অটোরিকশাচালকদের অভিযোগ, ড্রাইভিং লাইসেন্স করাতে বিআরটিএ অফিসে গেলে নানা জটিলতায় পড়তে হয়। এ ছাড়া লাইসেন্স থাকলেও সড়কে থাকা পুলিশি ঝামেলার শিকার হন তারা। তাই লাইসেন্স ছাড়াই মাসিক চুক্তির মাধ্যমে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। মাসিক চুক্তি এবং স্ট্যান্ডে থাকা দালালের মাধ্যমে এককালীন অনুমতি নেন তারা। এ ছাড়া বিভিন্ন অজুহাতে সড়ক-মহাসড়কে চাঁদা দিয়ে চলতে হচ্ছে তাদের। দুর্ঘটনা রোধে চালকদের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি দক্ষ চালকদের হাতে গাড়ি তুলে দেওয়ার জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান উপজেলা শ্রমিক লীগের একাধিক নেতা।মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুহাম্মদ মাহবুব মোর্শেদ জানান, পুলিশ অটোরিকশা মালিক-চালকদের কাছ থেকে কোনো আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করে না। অনেকে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে তাদের কাছ থেকে সুবিধা নিচ্ছে। পুলিশ এ ব্যাপারে সতর্ক রয়েছে। বেপরোয়া গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসন নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে।
  গাজীপুর প্রতিনিধি: