করোনাভাইরাস সংক্রমনের হার আবারও বাড়ছে। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও।
"আপনার মৃত্যু সবার কাছে একটি সংখ্যা হলেও, আপনার পরিবারের কাছে কিন্ত আপনিই একটি পৃথিবী।"
আক্রান্ত ব্যাক্তির হাঁচি, কাশি এমনকি কথা বলার মাধ্যমেও করোনাভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই মাস্ক পড়ার কোনো বিকল্প নাই। তবে নিয়ম মেনে মাস্ক না পড়লে তেমন কোনো সুরক্ষাই কিন্তু পাওয়া যাবেনা।
সঠিকভাবে মাস্ক ব্যাবহারের নিয়ম: মাস্ক দিয়ে নাক এবং মুখ ভালোভাবে ঢেকে শক্ত করে বাঁধুন যেন মাস্ক ও মুখের মাঝে ফাঁকা স্থান সর্বনিম্ন থাকে। মাস্ক ব্যাবহার করার সময় হাত দিয়ে মাস্কের সামনের ভাগে হাত দেয়া যাবেনা। বার বার মাস্ক ধরে ঠিক করা যাবেনা। মাস্ক পরার আগে এবং খোলার পর অবশ্যই সাবান পানি দিয়ে কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড হাত ধুতে হবে। মাস্ক খোলার সময় পিছনে হাত দিয়ে ফিতা বা কানের পিছনের রিবন ধরে খুলতে হবে।কোনো ভাবেই মাস্কের সামনে হাত দেয়া যাবেনা। সার্জিক্যাল মাস্ক পুনরায় ব্যাবহার করা যাবেনা।তাই ব্যাবহার করার পরে জীবাণুমুক্ত করে (আধা ঘন্টা সাবান পানিতে ভিজিয়ে রেখে অথবা ৭০% এলকোহল স্প্রে করে) ঢাকনাযুক্ত পাত্রে ফেলে দিতে হবে।
সার্জিক্যাল মাস্ক সর্বোচ্চ ৬ ঘন্টা আর এন-৯৫ মাস্ক ৮ ঘন্টা ব্যবহার করা যাবে। কাপড়ের মাস্ক হলে আধা ঘণ্টা সাবানপানিতে ভিজিয়ে রেখে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে আবার ব্যবহার করতে পারবেন। প্রতিবার হাঁচি কাশি দেয়ার পরে মাস্ক ভিজে গেলে ফেলে দিন অথবা সাবান দিয়ে ধুয়ে আবার ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন যাদের পক্ষে সার্জিক্যাল মাস্ক ব্যাবহার করা সম্ভব না তারা গেঞ্জি কাপড় দিয়ে তিন লেয়ারের মাস্ক বানিয়ে বা কিনে নিতে পারেন। তাহলে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে বার বার ব্যাবহার করতে পারবেন।
কোনো মিরাকল না ঘটলে করোনাভাইরাস কিন্তু এতো তাড়াতাড়ি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবেনা। ভ্যাক্সিন আশায় বসে থাকাটাও কতোখানি যুক্তিপূর্ণ তা সময়ই বলে দিবে। তাই সুস্থ্য থাকতে হলে করোনাকে মেনে নিয়েই আমাদেরকে নতুন ভাবে জীবনযাপন করতে অভ্যস্ত হতে হবে।
লেখক : ডা. কাকলী হালদার, সহকারী অধ্যাপক মাইক্রোবায়োলজি বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ।
|