সারাদেশ
  গাড়ি পোড়ানোর মামলায় মির্জা আব্বাস দম্পতিসহ ১৬৭ নেতাকর্মী অব্যাহতি
  14-10-2025

আদালত প্রতিবেদকঃ  গাড়ি পোড়ানোর মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস দম্পতিসহ  ১৬৭ নেতাকর্মীকে অব্যাহতি দিয়েছে আদালত।গতকাল সোমবার পুলিশের দেওয়া  চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ    সাব্বির ফয়েজ   ১৬৭ নেতাকর্মীকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। অব্যাহতি পাওয়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে আরো আছেন  বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী  মহিলা  দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ১দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রশিদ হাবিব, মিডিয়া উইংয়ের শামসুদ্দিন দিদার, নির্বাহী কমিটির সদস্য আমিনুল ইসলাম ও নিপুণ রায়, যুবদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মজনু, ঢাকা দক্ষিণের ছাত্রদলের সভাপতি জহির উদ্দিন তুহিন।মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল ফকিরাপুল থেকে নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ে যায়। নবী উল্লাহ নবী ও কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে আরও দুটি মিছিল একই দিক থেকে আসতে থাকে। সর্বশেষ মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ৮-১০ হাজার লোক একটি মিছিল নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে।তারা নয়াপল্টনে ভিআইপি রোড বন্ধ করে মিছিল ও শো-ডাউন করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে।মামলায় বলা হয়, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ জনতাবদ্ধ হয়ে বিএনপির পার্টি অফিস থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে নয়পল্টনের ভিআইপি রোডে হকাস গাড়ির শো রুমের পাশে রাস্তায় পুলিশের একটি সরকারি ডাবল কেবিন পিকআপ পুড়িয়ে আনুমানিক ৬০ লাখ টাকার ক্ষতি করে।পুলিশের উপর আক্রমণ করে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারি কাজে বাধা দিয়ে অতর্কিতভাবে পুলিশকে আক্রমণ করে তাদের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। তারা রাস্তায় সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। ওই সময় আসামিরা সেখানে কর্তব্যরত পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে সরকারি কাজে বাধা দিয়ে আক্রমণ করে তাদের উপর বারবার ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।আসামিরা রাস্তার পাশে ডিউটিরত এসির (পেট্রোল-মতিঝিল) সরকারি মিটসুবিসি প্রাইভেট কারে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে পোড়া গাড়ির আনুমানিক মূল্য ৩৫ লাখ টাকা। আসামিদের নিক্ষেপিত ইটের আঘাতে কয়েকজন পুলিশ আঘাতপ্রাপ্ত হন। মারাত্মক আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের হাসপাতালে ভর্তি করেন।আসামিরা ঘটনাটি ঘটিয়ে সরকারবিরোধী বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় থেকে পুলিশ হাসপাতাল ক্রসিং পর্যন্ত ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তারা রাস্তায় চলাচলরত সাধারণ জনগণের উপর আক্রমণ করে প্রাইভেট কারসহ রাস্তায় আটকে পড়া আরো অনেক গাড়ি ভাংচুর করতে থাকে। পুলিশের যানবাহনে অগ্নি সংযোগ করে পুলিশের কর্মক্ষমতা ব্যাহত করার জন্য অন্তর্ঘাতমূলক কার্য সম্পাদন করে।