মোঃ রফিকুল ইসলাম,সাতক্ষীরাঃ সাতক্ষীরায় এক স্কুল পড়ুয়া মেয়েকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় বাঁধা দেওয়ায় মা’কে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে প্রতিপক্ষ। গত সোমবার (৬ অক্টোবর) বিকালে সদরের দহাকুলা গ্রামে এঘটনা ঘটে।
এঘটনায় ওই মেয়ের মা দহাকুলা গ্রামের মীর মাহমুদুল্লাহর স্ত্রী মাছাঃ হালিমা বেগম জানান, পার্শ্ববর্তী এলাকার মাঃ শহিদুল ইসলামের ছেলে মাঃ শরীফ হাসন (২০) দীর্ঘদিন আমার নাবালিকা মেয়েকে উত্যক্ত করে আসছে। আমার মেয়ে সাতক্ষীরা নবারুন উচ্চবালিকা বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীতে লেখাপড়া করে। স্কুলে যাতায়াতের পথে আজেবাজে কথা বলে, প্রেমের সম্পর্কের নামে নানা ভাব কন্যাকে বিরক্ত করে। এরি ধারাবাহিকতায় গত কাল বিকেলে আমার মেয়ে প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়ে রাস্তায় আসলে বখাটে শরীফ হাসন ও তার ভাই মাঃ আল আমিন হাসন তাকে জোরজবরদস্তি ইজিবাইকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় আসপাশের লোকজন দেখে তাদের বাঁধাদেয় ও আমার মেয়েকে রক্ষা করে। এ’খবর শুনে আমি সেখানে উপস্থিত হয়ে মেয়েকে নিয়ে বাড়িতে যাতে চাইলে ওই বখাটে সন্ত্রাসীরা দহাকুলা চাষাপাড়া এলাকার শহিদুল ইসলামের দুই ছেলে শরীফ হাসান ও আল আমিন হাসান ও তাদের সঙ্গে থাকা শহিদুল ইসলাম ও তার ছেলে ইমান আলীসহ আরও ৩-৪ জন দেশীয় অস্ত্র বাঁশের লাঠি, লোহার রড, শাবল নিয়ে আমার উপরে অতর্কিত হামলা চালায়।
|