সারাদেশ
  ধর্ষণ মামলায় ভৈরব সার্কেল কর্মরত এএসপি নাজমুস সাকিবকে গ্রেফতার না করায় বাদীর ক্ষোভ
  17-09-2025
ধর্ষণ মামলায়   ভৈরব সার্কেল  কর্মরত   এএসপি নাজমুস সাকিবকে গ্রেফতার  না করায় বাদীর ক্ষোভ 
আদালত প্রতিবেদকঃ  ধর্ষণ মামলার চার মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও কিশোরগঞ্জ জেলার   ভৈরব সার্কেল  কর্মরত  এএসপি নাজমুস সাকিবকে গ্রেফতার  না করায় বাদীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ।গতকাল  মঙ্গলবার ঢাকার কোর্ট রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনে   সংবাদ সম্মেলনে মামলার বাদী জনতা ব্যাংকের নারী কর্মকর্তা এই অভিযোগ করে। সংবাদ সম্মেলনে বাদী আরো বলেন, এএসপি নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে  ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার বিষয়টি   স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব,   পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকার ডিআইজি ও কিশোরগঞ্জ জেলার  পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে জানানোর পর তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যার ফলে  মামলার তদন্তকে প্রভাবিত করে যাচ্ছে।  আসামি কর্মরত থাকায়  ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হবেন বলে মনে করেন এবং  বাদী এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।  গত ২০ মে  ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এ মামলাটি  করলে  ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. শওকত আলী, শাহবাগ থানাকে এজাহার হিসাবে গ্রহণ করার নিদেশ দেন।  মামলার অভিযোগ বলা হয়, বাদীকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণ করে  সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিব।  বাদী বলেন,  ২০২৩ সালের ১৯ জুন ফেসবুক গ্রুপ `পাত্রী চেয়ে পোস্ট করে আসামি নাজমুস সাকিব। সেই পোস্টের সূত্র ধরে ২০২৩ সালের জুন মাসে বাদীর সঙ্গে আসামির পরিচয় হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।  আসামি তার পূর্বের বিয়ে ও সন্তান থাকার বিষয়টি গোপন রেখে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। পরবর্তী সময়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে।চলতি বছরের  ৪ এপ্রিল রাতে বাদীর বাসায় অবস্থান আসামি জোর  করে  ধর্ষণ  করে।  বাদী  ইতি মধ্যে জানতে পারে আসামি  অন্য এক নারীকে বিয়ে করেছে, এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামি তাকে বিয়ে করবেনা বলে অস্বীকৃতি জানান এবং মামলা করলে নানা রকম ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেন। বাদী সংবাদ সম্মেলন আরও বলেন, আসামি  সাকিবের প্রথম স্ত্রী ইসরাত রহমান ও দ্বিতীয় স্ত্রী মুক্তা এর আগেও তার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন ও যৌতুক আইনে মামলা দায়ের করেছিল সেই সব মামলায়  কয়েক মাস জেলও খেটেছে। সেই সময় আসামি বিরুদ্ধে  বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে  চাকরি থেকে সাময়িক দরখাস্ত করা হয়েছিল। গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আওয়ামী লীগ শাসন আমলে বঞ্চিতের শিকার দাবি করে আবার চাকরিতে যোগদান করে।