স্টাফ নিউজ: ২০১৭ সালে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার জন্য কুমিল্লা কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন নগরীর ৪নং ওয়ার্ড ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র। সেই জিডিতে তিনি সাবেক ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কিছু চিহ্নিত ব্যক্তিসহ কয়েকজন স্থানীয় দুর্বৃত্তের নাম উল্লেখ করেছিলেন (জিডি নং: ১৫৭,তারিখ:-০৩.০৫.২০১৭ইং)। কিন্তু নিরাপত্তার আশায় করা সেই জিডি তার জন্য আশীর্বাদ নয়, পরিণত হয় দীর্ঘমেয়াদি এক দুঃস্বপ্নে।
পরের বছর ২০১৮ সালের ২৮ জুন ফের একটি জিডি করেন শুভ্র (জিডি নং: ১৫৩৮)। এরপর থেকেই তার ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিমসার এলাকায় তার ওপর হামলা হয়, কিন্তু কোতোয়ালী থানায় তখন মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানায় পুলিশ। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হন। সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য ‘স্যার গ্রুপ’ নামক একটি চক্র তার বাসার সামনে ককটেল হামলা চালায়। একপর্যায়ে তিনি পরিবার নিয়ে শহর ছেড়ে যেতে বাধ্য হন।
ভুয়া ওয়ারেন্ট, জারিকারক ও পুলিশের ছদ্মবেশ ধারন করে চাঁদা চেয়ে এক সময় দুই ব্যক্তি নিজেকে আদালতের লোক পরিচয়ে আল আমিন ও মতিন নামের দুই ব্যক্তি বাসায় গিয়ে ভুয়া ওয়ারেন্ট কাগজ দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং টাকা দাবি করে। পরবর্তীতে সাংবাদিক মওদুদ আবদুল্লাহ শুভ্র তাদের কে জিজ্ঞাসা করেন কিসের ওয়ারেন্ট মামলা ছাড়া নোটিশ,সমন তদন্ত ছাড়া ওয়ারেন্ট হয় কি ভাবে? চ্যালেঞ্জ আসলে তারা বলে কুমিল্লা পুলিশ অফিসের সুত্র শাখায় একটা কাগজ ধরিয়ে খোজ খবর নিতে বলে।পরবর্তীতে একটা সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র উক্ত ওয়ারেন্ট গ্রেপ্তারি আইন জীবির পরামর্শে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মহোদয়ের বরাবরে মিথ্যা ওয়ারেন্ট বিরুদ্ধে লিখিত ভাবে অভিযোগ দাখিল করেন।পুলিশ সুপার অফিস আবেদনের রিসিভড কপির স্মারক নাম্বার- ৯৪৬১/২য়। তারিখ:-২৯.০৭.২০২৩ইং।পরবর্তীতে কুমিল্লা পুলিশ সুপার উক্ত লিখিত ওয়ারেন্ট এবং তথ্য অপ প্রচার মুলক বিভ্রান্তি সহ ষরজন্ত্র প্রতিকার চেয়ে যে আবেদন টি করেন।তাহা পুলিশ সুপার কুমিল্লা আমলে নিয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি সদর মডেল থানাকে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার আদেশ প্রদান করেন।অত:পর কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ উক্ত পুলিশ সুপার অফিস হতে আগত অভিযোগ টি কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের মাধ্যমে তদন্ত করে দেখেন সংলিস্ট ওয়ারেন্ট টি সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াটো জালিয়াতি করে তৈরি করেছে। এই মর্মে তদন্ত প্রতিবেদন রিপোর্ট কুমিল্লা কোতোয়ালি সদর মডেল থানার স্মারক নাম্বার:- ৮৬৯৬, তারিখ:- ১৪. ০৯.২০২৩ ইং স্মারকে তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন রিপোর্ট পুলিশ সুপার কুমিল্লার বরাবরে পাথান।
উক্ত বিষয় ও ঘটনার উপর ভিত্তি করে কুমিল্লা সিনিয়র জ্যুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দ্রুত বিচার আইনে চাদাঁবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৩জন পুরুষ ও একজন মহিলাসহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে। যার নাম্বার দ্রুত সিআর ৩৬/২৪, তাং-১৯-০৮-২০২৪। যাহা পিবিআই এর তদন্তাধীন রয়েছে। অত:পর কুমিল্লা কতোয়ালী থানায় জখমি সহ বিবিধ অপরাধ এর উপর ভিত্তি করে ৮জনের নাম উল্লেখ কওে অজ্ঞাত ৪-৫ জনকে আসামী করে অপর আরেকটি জিডি করা হয় যার নাম্বার- ৪১/৮৫০, তাং-১৪-১১-২৪। এই অভিযোগের মূলে আসামীদেও গ্রেফতার করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। তারপর থেকে স্যারগ্রুপের সদস্যরা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয় দিয়ে প্রকাশ্যে চাদাঁ দাবী শুরু করে। বিভিন্ন দেশীয় ও অগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে শুভ্রের পেশাগত কাজের সাইটে তারা পিছু পিছু যায়। ৪ জানুষারী ২০২৫ সন্ত্রাসীরা পিস্তলের বাট দিয়ে শুভ্রকে আঘাত করে আহত করে। এবিষয়ে কতোয়ালী থানায় আরেকটি অভিযোগ করা হয়। যার নাম্বার এসডিআর, রেকর্ড নাম্বার-২৬/২৫। সর্বশেষ স্যার গ্রুপ অনলাইনে বিভিন্ন হ্যাকিং এর মাধ্যমে ক্ষতি করার চেষ্টা চালায়। দুটি নাম্বার থেকে চাদা দাবী করে আসছে বিভিন্ন নাম্বার থেকে দুটি নাম্বার বিশেষ করে ০১৯৭১০৭৩৫৮৪ ও ০১৭০৪২৭২৯৬১। এবিষয়ে একটি জিডি হয় যার নাম্বার ২২২ তাং-০৩-০২-২৫ পরবর্তীতে জিডির তদন্তের আই ও এসআই ফিরোজ হোসেন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা খুজে পায় ওআসামীদেও শনাক্ত করতে পারেন। তিনি বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-০১ কুমিল্লা স্মারক নাম্বার ২৩৮৯ তাং-১৭-০৩-২৫জিডিতে বর্ণিত সকল আসামীদের সকল অপরাধ তদন্তের অনুমতি প্রার্থনা করেন। আদালত ডিআর ৫২৬/২৫, তাং-১৯-০৩-২৫ ইং মূলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদেশ প্রদান করেন। অতপর তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত প্রতিবেদন রিপোর্ট কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায়স্মারক নাম্বার ২৮২৬ তাং-০৬-০৪-২৫ইং অনুমতি নিয়ে আদালতে একটি নন এফআইআর মামলা করার জন্য প্রসিকিউশন দাখিল করে।যার নাম্বার ২৪/২৫ নন জিআর মামলা নাম্বার ২০/২৫তারিখ ০৭-০৪-২৫ রজু হয়। যাহা আসামীদেও প্রতি সমন সহ প্রয়োজনিয় ব্যাবস্থা গ্রহন করে।
অত:পর এই সংগীয় স্যার গ্রুপ চক্র কাকতালীয় ভাবে খবর পেয়ে যায় এবং মটরসাইকেল ও বিভিন্ন গাড়ি নিয়ে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন অপরাধে আশ্রয়ে বিভিন্ন ছদ্মবেশী সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ শুভ্র দায়ের করা কুমিল্লা জজ কোর্ট দ্রুত বিচার আইনের মামলা,দ্রুত সি আর-৩৬/৩৪, তারিখ :-১৯. ০৮.২০২৪ ইং চাঁদাবাজি ও বিবিধ অপরাধ সহ কুমিল্লা কোতোয়ালি সদর মডেল থানার এফ আই আর ( মামলার) নাম্বার-৪১, জি আর -৮৫০, তারিখ-১৪.১১.২০২৪ইং প্রত্যাহার করানোর জন্য এবং মামলার গতিবিধি স্থগিত করার জন্য বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন উপায়ে সামাজিক পরিসরে ভিত্তিহীন রাজনৈতিক তথ্য অপব্যাখ্যা মুলক বিভ্রান্তি এবং ধর্মীয় তথ্য বিভ্রান্তি ছড়িয়ে সাংবাদিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ি মওদুদ আব্দুল্লাহ দিশেহারা ভাবে পিছু নেয়। তাকে মিথ্যা মামলা, গুম-খুন করে হয়রানীর প্রচেষ্টা চালায়।তারা জায়গায় হ্যালমেট পরিহিত নাম্বার প্লেট বিহীন মোটর বাইক সহ সি এন জি এবং অটোজোগে আসামী পক্ষের পরোক্ষ লোকজন নারী পুরুষ কু-চক্রিয় মহল নানা প্রকার ষরজন্ত্র করে ফেইক ফেসবুক আই ডি খুলে নানা তথ্য অপ প্রচার করছে আবার অপরদিক থেকে এই সব ঘটনা সীকার করে মামলা প্রত্যাহার এবং চাদা দিলে আর করবে না বলে হুমকিও দেয়।তাছাড়াও আসামী পক্ষের ইন্ধনদাতা ও মদদদাতারা সাংবাদিক মওদুদ আব্দুল্লাহ ফেসবুক আই ডি একাধিক বার হ্যাকিং সহ তাহার ব্যবহার করা মোবাইল নাম্বার whatsapp ও ইমু নাম্বার তথ্য হ্যাকিং করে নিয়ন্ত্রণ ইতিমধ্যে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। অপরাধীর দল চলমান অপরাধ দমন এবং পরোক্ষ স্যার নামীয় সন্ত্রাসী চক্রের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ কল্পে নিজ ও নিজ পারিবার- পরিজনদের সার্বিক আনতগত সুরক্ষা ও প্রশাসনিক নিরাপত্তা চেয়ে কুমিল্লা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরামর্শে ভিক্টিম আরেকটি জিডি করে যার নাম্বার ২২৪২,তাং-২৯-০৫-২৫ যা অনলাইনে অনলাইননে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভাবে ভবিষ্যতের জন্য রেকর্ডভুক্ত করা হয়। এর আগে শুভ্র পুলিশ সুপারকে সকল ধরনের অভিযোগ উল্লেখ করে একটি অভিযোগ করেন। যার স্মারক নং-২৪৮৩/এম, তাং-১২-০৪-২৫। বিষয়গুলো পুলিশ সুপারের জনাব নাজির আহম্মেদ খান নজরে আসলে তিনি বিষয়টি আমলে নিয়ে থানার অফিসার ইনচার্জকে কুমিল্লা কোতোয়ালি জনাব মইনুল ইসলাম সাহেব আসামী সহ আসামী পক্ষের ইন্ধনদাতা ও মদদদাতা সন্ত্রাসী দ্রুত আইনের আওতায় গ্রেপ্তার নির্দেশ প্রদান করেন।
|