সারাদেশ
  দীর্ঘ ৯ মাস চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে ছিল মদভর্তি কনটেইনার, খোঁজ রাখেনি কাস্টমস!
  07-09-2024
চট্টগ্রাম বন্দরে জব্দ করা হয়েছে কনটেইনারভর্তি মদের চালান। মদভর্তি কনটেইনারটি ৯ মাসের বেশি সময় বন্দর অভ্যন্তরে পড়েছিল। চালানটি খালাসের জন্য কাস্টমসের এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এট্রিও সাবমিট করে সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান। শতভাগ রপ্তানিমুখী গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের ফেব্রিক্স ঘোষণায় মদের এ চালান আমদানির মাধ্যমে ১২ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়েছে বলে জানায় কাস্টমস। অভিযোগ উঠেছে, ৯ মাস ধরে বন্দরের অভ্যন্তরে মদভর্তি কনটেইনার পড়ে থাকলেও দীর্ঘ সময়েও কেন কাস্টমস বিষয়টি শনাক্ত করতে পারেনি। কাস্টমসের তথ্য বলছে, গত চার মাস আগেই চালানটির শুল্কায়ন হয়েছে। একই সঙ্গে কাস্টমসের এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমেও ফেব্রিক্স ঘোষিত চালানটি খালাস দেখানো হয়েছে। কাস্টমসের ভাষায় এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেম থেকেও চালানটি ‘এক্সিট’ দেখানো হয়েছে। তবে বন্দর থেকে বের না হওয়ায় বন্দরের সিটিএমএস (কনটেইনার টার্মিনাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) থেকে কনটেইনারটির অবস্থান শনাক্ত হয়। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার ফাইজুর রহমান একাধিক সংবাদ মাধ্যমকে  বলেন, ‘পুরো মদের চালানটি আমদানি থেকে শুল্কায়ন পর্যন্ত একটি সিন্ডিকেট কাজ করেছে। আমাদের সতর্ক অবস্থানের কারণে তারা বন্দর থেকে চালানটি খালাস নিতে পারেনি। কাস্টমস কমিশনারের দাবি, চালানটি শুল্কায়নের ক্ষেত্রে কাস্টমসের এক কর্মকর্তার পাসওয়ার্ড হ্যাক করা হয়েছিল। পাসওয়ার্ড হ্যাক করে শুল্কায়ন করা হলেও চালানটির অ্যাসেসমেন্ট ফি ও ভ্যাট হিসেবে সরকারি পাওনা কাস্টমসের ব্যাংক হিসেবে জমা হয়েছে। তবে ৯ মাস আগে চালানটি বন্দরে আসা এবং চার মাস আগে শুল্কায়ন প্রক্রিয়া শেষ হলেও চালানটি চিহ্নিত ও আটকাতে এত সময় কেন লাগলো জানতে চাইলে কমিশনার সাংবাদিকদের  বলেন, ‘পুরো বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। চালানটি আমদানিতে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। যারা জড়িত তাদের সবাইকে আমরা জনসম্মুখে হাজির করবো।’
মােঃ জানে আলম সাকী, 
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।