সারাদেশ
  মন্ত্রী-এমপির বাড়িসহ কুমিল্লাজুড়ে বিভিন্ন স্থাপনায় লুটপাট-আগুন;
  06-08-2024
  • শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর সোমবার কুমিল্লাজুড়ে মন্ত্রী ও এমপির বাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ হয়েছে। মনোহরগঞ্জে পোমগাঁও গ্রামে এ দিন বিকেলে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের বাড়িতে আগুন দেন বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় পাশের আরেকটি ভবনেও আগুন দেওয়া হয়। সেখানে মন্ত্রীর ভাতিজা ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম থাকতেন। মন্ত্রীর বাড়ি থেকে সব মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

এ ছাড়াও বেলা সাড়ে ৩টার দিকে কুমিল্লা নগরীর প্রাণকেন্দ্র কান্দিরপাড়ে বিজয় মিছিল করে রামঘাট এলাকায় অবস্থিত মহানগর আওয়ামী লীগের অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে বিক্ষুব্ধ জনতা। একই সময় নগরীর মুন্সেফবাড়ি এলাকায় অবস্থিত কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহারের বাড়িতে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ জনতা কুমিল্লা ক্লাবেও হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেন। এ সময় কয়েকটি গাড়িও আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। নগরীর পুলিশ লাইনসের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়েছে। লুটপাট করা হয়েছে রেশন স্টোরের মালামাল। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের কার্যালয় আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে জেলা দেবিদ্বার থানায়ও। এ সময় পুলিশের কয়েকটি গাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হয়। দেবিদ্বারে পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন গুলিবিব্ধ হওযার খবর পাওয়া গেছে।জেলার মুরাদনগরের এমপি জাহাঙ্গীর আলম সরকারের মুরাদনগরের কোম্পানীগঞ্জ ভবন, মুরাদনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা হয়। এ ছাড়াও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়, নগরীর টমছমব্রিজ মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স, মুরাদনগর ও কোতয়ালি মডেল থানা, নাঙ্গলকোট রেলওয়ে ষ্টেশন, নাঙ্গলকোট থানা, নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগ অফিস, নাঙ্গলকোট পৌর মেয়র আবদুল মালেকের বাসভবন, নাঙ্গলকোট উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন কালুর বাসভবন, লাকসাম পৌর মেয়রের কার্যালয় ও বাসভবন হামলা ভাঙচুর লুটপাট শেষে বিভিন্ন স্থানে আগুন দেওয়া হয়। কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ সহিদ, ২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গাজী গোলাম সারোয়ার শিপনসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বাসায় হামলা চালানো হয়। এ ছাড়া ৩ আগস্ট নগরীর পুলিশ লাইনসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনার সময় একটি বাড়িতে শিক্ষার্থীরা আশ্রয় চেয়েছিলেন। গ্রিন লিফ স্কুলের সামনের সেই বাড়িতেও ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ জনতা। কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম একাধিক সংবাদ মাধ্যমকে  বলেন, জেলার বিভিন্ন স্থাপনা ও থানায় হামলা চালানো হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ কাজ করছে।  

 মােঃ জানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।