সারাদেশ
  সেনাবাহিনী ও পুলিশ পাহারায় কক্সবাজার থেকে ঢাকা ফিরেছেন আটকেপড়া পর্যটকরা;
  25-07-2024

দেশজুড়ে সংঘর্ষ ও সহিংসতার আগে কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে টকেপড়া পর্যটকরা ফিরতে শুরু করেছেন।মঙ্গলবার জেলা প্রশাসনের বিশেষ ব্যবস্থায় ৭১টি বাসসহ ছোট-বড় শতাধিক যানবাহন করে তাদের ঢাকায় নেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমকে  জানিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল গনি ওসমানি।সকালে সেনাবাহিনী ও পুলিশ পাহারায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার পর্যটক বহনকারী যানবাহন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায় বলে জানান তিনি।এর আগে রোববার জেলা প্রশাসনের অনুমতি পেয়ে প্রায় সাড়ে চার হাজার পর্যটক বাড়ি ফিরেছেন।সোমবার আরও কয়েক হাজার পর্যটক আবেদন করলে তাদের বাড়ি ফেরার উদ্যোগ নেয় জেলা প্রশাসন।পাঁচ থেকে ছয় দিন আগে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ঘুরতে গিয়ে আটকা পড়েন সাত হাজারের বেশি পর্যটক। পরে সারাদেশে সহিংসতা, তার পরিপ্রেক্ষিতে যানবাহন চলাচল বন্ধ ও কারফিউ জারি করলে তারা সেখানে আটকা পড়েন।এতে হোটেল-মোটেলগুলোতে দেখা দেয় খাবার সংকট। ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় লেনদেনসহ পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগে ভোগান্তিতে পড়েন আটকেপড়া লোকজন। যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকরা। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ১৬ জুলাই সারা দেশে কোথাও কোথাও আন্দোলনকারী এবং সরকার দলীয় সংগঠন ও পুলিশের ত্রিমুখী সংঘর্ষের মধ্যে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। বুধবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোটা সংস্কারের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, সহিংসতার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। পরে রাত পৌনে ৮টার দিকে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সংঘর্ষে খুনের দায়ে জড়িতদের বিচার ও সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে বৃহস্পতিবার সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন` কর্মসূচি ঘোষণা আসে আন্দোলনকারীদের পক্ষে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘শাটডাউন` কর্মসূচির প্রথম দিন সারাদেশে হতাহতের ঘটনা ঘটে। ওই দিন মধ্যরাতে থেকে বন্ধ হয়েছে যায় সব ধরনের ইন্টারনেট সেবা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার রাত ১২টা থেকে সারাদেশে কারফিউ ঘোষণা করে সরকার। মোতায়েন করা হয় সেনাবাহিনী।

মােঃ জানে আলম সাকী, 

ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।