সারাদেশ
  চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে কল্লোল সুপার মার্কেট ‘ভাঙার চেষ্টার’ অভিযোগ;
  15-07-2024
চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে কল্লোল সুপার মার্কেট ‘ভাঙার চেষ্টার’ অভিযোগ তুলেছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।রোববার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সস্মেলনে মাহমুদুলের বিরুদ্ধে মার্কেট ভাঙার জন্য সিটি করপোরেশনকে ‘ব্যবহারের’ অভিযোগও তোলা হয়।নগরীর প্রবর্ত্তক মোড়ের কল্লোল সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, মার্কেট নিয়ে একাধিক মামলা করেছেন তারা। এ অবস্থায় আদালত অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও সাবেক মেয়র মার্কেটটি ভেঙে বহুতল ভবন নির্মাণের চেষ্টা করছেন।সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর দাবি, তিনি মার্কেটটি কিনে নিয়েছেন। সাংবিধানিক অধিকার হিসেবে তিনি যেকোনো সম্পত্তি কিনতেই পারেন। কে কার কাছ থেকে দোকান নিয়েছেন, সেটা তাদের ব্যাপার।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে দোকান মালিক খোকন মজুমদার বলেন, “কল্লোল সুপার মার্কেটের মূল মালিক আতিয়া বানু নামে এক নারী। তিনি ১৯৮৮ সালে সিডিএ থেকে পাঁচতলা বিশিষ্ট বাণিজ্যিক ভবন নির্মাণ করার অনুমতি নিলেও ভবন নির্মাণ করতে পারেননি।“পরে তিনি সালামির ভিত্তিতে বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ব্যবসায়ীর কাছে দোকানের পজেশন হস্তান্তর করেন তিন তলা মার্কেট নির্মাণ করেন। পাশাপাশি আতিয়া বানু তার প্রতিনিধির মাধ্যমে দোকান মালিকদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করতেন।”খোকন মজুমদার বলেন, একপর্যায়ে একাধিক মালিক দোকান ভাড়া দাবি করায় তারা ২০১৯ সালের জুলাই মাসে আদালতে ঘর ভাড়া মামলা করেন, যা এখনও বিচারাধীন।সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম ক্রয়সূত্রে মার্কেটের মালিকানা দাবি করে মার্কেটটি ভাঙার চেষ্টা করছেন। জলাবদ্ধতার অভিযোগ তুলে সিটি করপোরেশনকে ব্যবহার করে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে মার্কেটের দক্ষিণ পশ্চিমাংশ ভাঙার চেষ্টা করা হয়। এ নিয়ে আন্দোলনের মুখে সিটি করপোরেশনের তৎকালীন প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন ব্যবসায়ীদের বক্তব্য শুনে সেখান থেকে মালামাল সরিয়ে নেওয়ার আদেশ দেন।পরবর্তীতে তারা আদালতে মামলা করলে আদালত মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেন বলে ভাষ্য ব্যবসায়ীদের। এদিকে কল্লোল সুপার মার্কেটের মালিকানা দাবিদার মাহমুদুল মার্কেটটি বন্ধক রেখে একটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছেন অভিযোগ করে লিখিত বক্তব্যে খোকন মজুমদার বলেন, গত ২৪ জানুয়ারি ব্যাংকটির পক্ষ থেকে দোকান মালিকদের উচ্ছেদের জন্য লিগ্যাল নোটিস দেওয়া হয়। পরে ব্যবসায়ীরা সেটির উত্তর দিয়ে আদালতে পুনরায় মামলা করলে আদালত ব্যাংকটির বিরুদ্ধে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করে।সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ীরা জানান, সুবিচার পেতে তারা চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন, সিডিএ ও ফায়ার সার্ভিসে স্মারকলিপি দিয়েছেন।জাতীয় পার্টির সাবেক নেতা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রথম মেয়র ছিলেন। এছাড়া তিনি চট্টগ্রামের বাঁশখালী আসনে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যও ছিলেন।

মােঃ জানে আলম সাকী,

ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।