বিনোদন
  টানা ঈদের ছুটিতে কক্সবাজারে লাখ লাখ পর্যটক, হোটেলে কক্ষ না পেয়ে ভোগান্তি
  15-04-2024
এবার কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে এসেছেন অন্তত পাঁচ লাখ পর্যটক। পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের টানা ছুটিতে ঘুরতে এসেছেন তারা। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকাল থেকে বাড়তে শুরু করে পর্যটকের সংখ্যা। শনিবার (১৩ এপ্রিল) এই সংখ্যা পাঁচ লাখ ছাড়িয়ে যায়। এতে জমে উঠেছে পর্যটককেন্দ্রিক ব্যবসা-বাণিজ্য। তবে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের আগমনে তাদের হোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউজে জায়গা দিতে বিপাকে পড়েছেন মালিকরা। সবগুলো হোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউজ এবং কটেজের কক্ষ আগাম বুকিং হয়ে যাওয়ায় অনেকে ভোগান্তি পড়েছেন। কেউ কেউ একাধিক হোটেল ঘুরে কক্ষ না পেয়ে ফিরে গেছেন। কক্সবাজারে পর্যটকের রাতযাপনের জন্য হোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউজ ও কটেজ আছে সাড়ে পাঁচ শতাধিক। এসবে দৈনিক ধারণক্ষমতা এক লাখ ২৮ হাজার। শুক্রবার ও শনিবার; দুদিনে পাঁচ লাখ পর্যটক আসায় হোটেল-রিসোর্টে কক্ষ পাননি বেশিরভাগ। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে দুর্ভোগে পড়েন তারা। কক্সবাজার হোটেল গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বিভিন্ন গণমাধ্যমকে  জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত হোটেল ও গেস্টহাউজগুলোর ৯০ শতাংশ কক্ষ অগ্রিম বুকিং হয়েছিল। অবশিষ্ট ২০ শতাংশ কক্ষ বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে বুকিং হয়ে যায়। ফলে শুক্রবার যারা এসেছেন; কক্ষ পাননি। এদিন অন্তত দুই লাখের বেশি পর্যটক এসেছেন। একইভাবে শনিবার আরও দুই লাখের বেশি পর্যটক আসেন। সবমিলিয়ে দুদিনে পাঁচ লাখের মতো পর্যটক আসায় অনেকে হোটেলের কক্ষ পাননি। শুক্রবার সকাল থেকে বাড়তে শুরু করে পর্যটকের সংখ্যা
হোটেল মালিক ও পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, গত বছর ঈদের টানা পাঁচ দিনের ছুটিতে সৈকতে সাড়ে চার লাখ পর্যটকের সমাগম ঘটেছিল। হোটেল-রেস্তোরাঁসহ নানা খাতে তখন ব্যবসা হয়েছিল হাজার কোটি টাকার। এবার চার লাখ পর্যটক সমাগমের আশা করেছিলেন তারা। কিন্তু তা ছাড়িয়ে গেছে। সৈকতের পাশাপাশি কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ, টেকনাফ, রামু, চকরিয়া ও মহেশখালীর বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীর ভিড় বেড়েছে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে চাঙাভাব ফিরেছে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত পর্যটকের সমাগম থাকবে। সেভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার বিকালে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা গেছে, পর্যটকের ঢল। সুগন্ধার দুই কিলোমিটার সৈকতে হাজারো পর্যটক। উত্তর দিকে সিগাল থেকে লাবণী পয়েন্ট পর্যন্ত দুই কিলোমিটারে ভিড় করেছেন আরও কয়েক হাজার পর্যটক। সুগন্ধার পূর্বদিকে কলাতলী সৈকতের এক কিলোমিটারে আছেন আরও কয়েক হাজার। এর মধ্যে অনেকে সৈকতে গোসলে নেমেছেন। পরিবার-পরিজন নিয়ে আনন্দে মেতেছেন আরও অনেকে। সবমিলিয়ে সৈকতজুড়ে দেড় থেকে দুই লাখ পর্যটক দেখা গেছে।
 
মােঃ জানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।