বিনোদন
  কক্সবাজারে ৯০ শতাংশ হোটেল কক্ষ খালি
  12-03-2024
কক্সবাজারের অর্থনীতি পর্যটন নির্ভর। পর্যটক সমাগমের ওপরই পর্যটন সংশ্লিষ্ট এই শিল্পের অন্তত ২১ ধরণের ব্যবসা সচল থাকে শহরটিতে। রমজানকে সামনে রেখে বর্তমানে কম সংখ্যক মানুষ বেড়াতে আসছেন দেশের অন্যতম এই পর্যটন কেন্দ্রটিতে। ফলে মৌসুম শেষ না হলেও এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। কক্সবাজারে পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও চার শতাধিক রেস্তোঁরা রয়েছে। পর্যটক কমে যাওয়ায় ৯০ শতাংশ হোটেলেরই কক্ষ খালি যাচ্ছে এখন।  
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে শহরের হোটেল-মোটেল জোনের কয়েকটি হোটেল ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ হোটেল কক্ষ ফাকা। তারকা মানের হোটেলগুলোতে পর্যটক নেই। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজান মাসে পর্যটক শূন্যতা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা। কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার বলেন, ‌‌‘এখন প্রায় ৯০ শতাংশ হোটেলের কক্ষ খালি রয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাস। পর্যটকদের আনোগোনা আরও কমে যাবে। তারপরও যারা বেড়াতে আসবেন তাদের জন্য হোটেল কক্ষের ওপর ৬০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। এক হাজার থেকে দেড় হাজারের মধ্যে যেকোনো ধরণের কক্ষে থাকতে পারবেন পর্যটকরা।’ কয়েকজন হোটেল মালিক বলেন, রমজানে খুবই অল্প সংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার ভ্রমণে আসেন। অনেকের কক্সবাজার আসার ইচ্ছা থাকে, কিন্তু অতিরিক্ত খরচের কারণে তারা আসতে পারেন না। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে হোটেল-মোটেল কক্ষে বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়। প্রতিবছর রোজার একমাস শহরের অনেক হোটেল-রোস্তারাঁ অঘোষিতভাবে বন্ধ থাকে। এ সময় কর্মচারীদের এক মাসের বেতন-বোনাস দিয়ে অনেকটা ছুটিতে পাঠানো হয়। কেউ কেউ হোটেল-রেস্তোরাঁতে সংস্কার ও রঙের কাজ করেন। ঈদের সময় হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো পুনরায় খোলা হয়। গত বছরের নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর এবং চলতি বছরের ৮ মার্চ পর্যন্ত হোটেল-রেস্তোরাঁগুলো ব্যবসা ভালো হলেও রমজান মাসের মন্দা সামলাতে প্রস্তুত সবাই। 
সৈকতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও হোটেল-রেস্তোরাঁর কর্মচারীরা বলেন, মালিকপক্ষ কোনোমতে জমানো টাকা দিয়ে রমজান মাস কাটিয়ে দিতে পারবে। কিন্তু কষ্টে থাকবে কর্মচারীরা। একজন বিচ বাইক  চালক বললেন , সৈকতে পর্যটক না থাকলে আমরা বিচ বাইক নিয়ে সৈকতে নামতে পারি না। বাসায় বসে থাকতে হয়। রমজান মাসে পর্যটক থাকবে না। আমাদের বাসায় বসে অবসর সময় কাটাতে হবে এ নিয়ে কিছুটা চিন্তিত। সৈকতে ঝিনুক ছাতা মার্কেটে  এক ব্যবসায়ী 
 বলেন, গত শুক্রবার কিছু পর্যটক এসেছিল। আজ থেকে পর্যটক কমে যাবে। কিছুই করার নেই। রমজান মাস কোনো রকমভাবে কাটিয়ে দেব।
 মােঃজানে আলম সাকী,
ব্যুরো চীফ, চট্টগ্রাম।