ইসলাম
  স্বেচ্ছাশ্রমে নান্দনিক রুপে সেজেছে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান
  21-01-2024
মাঘের কন কনে হাড় কাঁপানো শীতে স্বেচ্ছাশ্রমে তুরাগ নদীর  তীরে চলছে ইজতেমার কাজ। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ছুটে  আসা হাজারো  মুসল্লিরা স্বেচ্ছায় যোগ দিচ্ছেন ইসতেমার প্রস্তুতির কাজে। মুসল্লীদের কেউ কেউ তৈরি করছেন চটের ছাউনি দেওয়ার প্যান্ডেল,কেউ বা বিদেশি মেহমানের জন্য টিনের ঘর। কেউ কেউ তৈরি করছেন কাঁচা-পাকা টয়লেট।কেউ ইজতেমা ময়দানে নামাজের দাগ কাটছেন, কেউ বিদ্যুত সংযোগের কাজ করছেন, কেউ প্যান্ডেলের চট সেলাই করছেন, কেউ করছেন খুঁটির ওপর চট টাঙানোর কাজ। আবারে অনেককে ময়দান পরিষ্কার করতে দেখা গেছে। মঞ্চ তৈরির কাজেও ব্যস্ত ছিলেন অনেকে।  এসব কাজে বৃদ্ধ ও যুবকসহ বিভিন্ন বয়সের মুসল্লিরা স্বেচ্ছাশ্রমে অংশ নিয়েছেন। রোববার (২১ জানুয়ারি) সকালে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র। মুসল্লিদের নিরাপত্তাসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে তৎপর স্থানীয় প্রশাসনও।  আগামী ২ ফেব্রুয়ারি (শুক্রবার) বাদ ফজর থেকে আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুই পর্বের ৫৮তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। শীত মাড়িয়ে এবার দেশ বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের আগমন বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের সম্পূর্ণ মাঠ ইতোমধ্যেই খুঁটি বসানো শেষ হয়েছে। নামাজে দাগ কাটাও প্রায় শেষের দিকে। বিভিন্ন খিত্তায় ভাগ করা হয়েছে ময়দানটি। ইজতেমা ময়দানের পশ্চিম পাশের সামিয়ানা টাঙানোর কাজ প্রায় শেষ। মাইকের জন্য বৈদ্যুতিক তার স্থাপনের কাজও শুরু হয়েছে। গুলিস্তান ট্রেড সেন্টারের (জুতার মার্কেট) আরাফাত হোসেন বলেন, আমরা স্বেচ্ছায় ৭০ জন এসেছি ইজতেমা মাঠে। আমরা ভাগ করে কাজ করছি। আমাদের মতো দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে শতশত লোক কাজ করছেন।  গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলা থেকে আসা সাবেক স্কুল শিক্ষক সামসুল হক হোসেন বলেন, প্রতি বছর এখানে মাঠ প্রস্তুতির কাজে আমরা আসি। এবার আসলাম। রাতে কাজ শেষে চলে যাবো।এদিকে বিশ্ব ইজতেমা সফল ও সুশৃঙ্খল রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহবুব আলম। এছাড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয় ও সিটি করপোরেশন থেকে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।
 আতাউর রহমান সোহেল
গাজীপুর প্রতিনিধি: